নিরামিষ কলার মোচার ঘন্ট❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো কলার মোচার ঘন্ট রেসিপি।
আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।কলার মোচায় রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ
বয়সের ছাপ দূর করে: মোচা খেলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়া থেকে রক্ষা করে এবং অ্যালঝাইমার্স ও পারকিনসন্সেরও ঝুঁকি কমে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে কলার মোচা লো গ্লাইসেমিক সূচক খাদ্য, যা ডায়াবেটিসের মাত্রা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করে।
সংক্রমণ প্রতিরোধ করে: কলার মোচার পুষ্টিগুণ অপরিসীম।আর আমি এই পুষ্টিগুণে ভরপুর কলার মোচা রেসিপি শেয়ার করেছি।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
১.কলার মোচা |
---|
২.আদা বাটা |
৩.জিরা বাটা |
৪.লবন |
৫.হলুদ |
৬.গরম মসলা |
৭.তেজপাত |
৮.মরিচের গুড়া |
প্রথম ধাপ
প্রথমে কলার মোচা থেকে ছড়া গুলো বের করে নিতে হবে এবং কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
কুঁচি করে নেয়ার পর কলার মোচা গুলো ভাপ দিয়ে নিতে হবে ভালো করে।
তৃতীয় ধাপ
ভাপ দেয়া নেয়া হলে চুলায় কড়াই বসাতে হবে এবং তাতে তেল দিয়ে গরম করে নিতে হবে।তেল গরম হয়ে গেলে তাতে গোটা জিরে ও তেজপাতা ফোঁড়ন দিতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
এখন ফোঁড়ন দেয়া কড়াইয়ে ভাপিয়ে রাখা কলার মোচা গুলো দিতে হবে এবং তাতে হলুদ,লবন দিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে। কাঁচা মরিচ ফোঁড়ন দিতে ভুলে গেছিলাম জন্য এখন দিয়েছিলাম।
পঞ্চম ধাপ
এরপর লবন হলুদ দিয়ে ভাজা কলার মোচায় জিরে বাটা ও আদা বাটা দিতে হবে ও আবার নারাচারা করে কষিয়ে নিতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন মসলা দিয়ে কলার মোচা গুলো সুন্দর করে কষানো হয়ে গেলে অল্প মতো জল দিয়ে ঢাকা দিতে হবে।বেশি জল দেয়ার দরকার নেই কারণ ভাপ দিয়ে নেয়া আগে থেকেই তাই তারাতাড়ি সিদ্ধ হয়ে যাবে।
সপ্তম ধাপ
এবার ঢাকা খুলে গরম মসলা দিয়ে নারাচারা করে নামিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার নিরামিষ কলার মোচা রেসিপি।
অষ্টম ধাপ
এবার কলার মোচা গুলো পরিবেশের জন্য নামিয়ে নিতে হবে।
পরিবেশনের জন্য তৈরি
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার নিরামিষ মোচার ঘন্ট রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজ এপর্যন্তই। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
দিদি, কলার মোচার পুষ্টিগুণ অনেক অনেক বেশি। আর তাইতো হাতের কাছে কলার মোচা পেলে আমার বাসাতেও কলার মোচা দিয়ে রেসিপি তৈরি করা হয়। খেতেও ভীষণ ভালো লাগে। তবে দিদি আপনার রন্ধন প্রণালী আর আমার রন্ধন প্রণালী কিছুটা ভিন্ন। বিশেষ করে কলার মোচা রেসিপিতে গরম মসলার ব্যবহার আমার একদমই জানা নেই। আপনার তৈরি নিরামিষ কলার মোচার ঘন্ট রেসিপি দেখে শিখে নিলাম তৈরীর পদ্ধতি। পরবর্তী সময়ে অবশ্যই চেষ্টা করবো এভাবেই তৈরি করে খাবার। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া ভিন্নতা আছে কারণ আমি তো পেঁয়াজ ব্যাবহার করিনি। নিরামিষ ঘন্ট করেছি তাই গরম মসলার ব্যাবহার করতে হয়েছে।
কলার মোচার যেকোনো রেসিপি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনার তৈরি রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। অনেকদিন হলো কলার মোচার তৈরি কোন রেসিপি খাওয়া হয় না। এত লোভনীয় একটা রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমারও কলার মোচা খেতে খুব ভালো লাগে আপু।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
কলার মোচা দিয়ে এত মজাদার ভাবে ঘন্ট রেসিপি প্রস্তুত করা যায় আসলে আমার জানা ছিল না।
তবে আজ আপনার কাছ থেকে নতুন ধরনের এক রেসিপির আইডিয়া পেলাম।
প্রস্তুত প্রণালী এবং ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব মজা হবে খেতে।
হ্যাঁ ভাইয়া সত্যি খুব মজা হয়েছিল খেতে।
বাহ আপু আপনি আজকে আমার প্রিয় রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন কলার মোচার ঘন্ট রেসিপি। আসলে এই রেসিপি আমি খেতে বেশ পছন্দ করি। আমার জন্য আমার আম্মু প্রায় কয়েকদিন পরপর এই রেসিপি তৈরি করে থাকে। আসলে গরম গরম এই রেসিপি ভাত দিয়ে খেতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর প্রত্যেকটি স্টেপ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার জন্য আন্টি কলার মোচা মাঝে মাঝে রান্না করে জেনে খুব ভালো লাগলো।
কলার মোচা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এভাবে কলার মোচার ঘন্ট তৈরি করে খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। যে কেউ তা চাইলে সুন্দরভাবে তৈরি করে নিতে পারবে। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন কলার মোচা শরীরের জন্য উপকারী।
কলার মোচায় পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকে। এটাই আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। ডায়রিয়া রোগীদের জন্য এটি একটু বেশি উপকারী।
যাই হোক রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে।
হ্যাঁ আপু অনেক উপকারী কলার মোচা।
আপু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে কলার মোচার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। কলার মোচার ঘন্ট এভাবে কখনো খাওয়া হয়েছে কিনা মনে করতে পারছি না। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু সত্যি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল কলার মোচা ঘন্টা গুলো।
কলার মোচার ভাজি খেয়েছি কিন্তু এভাবে ঘন্ট খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার এই রেসিপি আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি কখনো ভাজা খাইনি কলার মোচা একদিন খেয়ে দেখবো।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
কলার মোচায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। আজকে একটা ভাবি আমার মাকে একটি কলার মোচা দিয়ে গেছেন। এভাবে রান্না করতে বলবো মাকে। বেশ লোভনীয় লাগছে নিরামিষ মোচার ঘন্ট দেখতে। ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ এভাবে খেয়ে দেখবেন ভীষণ ভালো লাগবে।