বাচ্চাদের হাতে ভংয়কর ছুরি।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি সতর্কমূলক ব্লগ শেয়ার করবো। যাদের বাচ্ছা,যাদের ছোট ভাইবোন স্কুল মাদ্রাসা সহ যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে, এই ব্লগটি তাদের সবার জন্য একটি সতর্ক বার্তা।
আপনার আমার ছোট ছোট ছেলে মেয়ে ভাই বোনেরা স্কুল বা মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করে। তাদের ব্যাপারে অমাদের বেখয়াল হলে চলবে না। তাদের প্রতি সতর্ক না থাকলে ঘটতে পারে বড় ধনের কোন দূর্ঘটনা। আজকে আমি এমনি একটি ঘটনা নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হয়েছি। তবে এর মানে এই না যে, বাচ্ছাদেরকে সাথে নিয়ে গিয়ে স্কুল মাদ্রাসার বারান্দায় দাড়িয়ে থাকতে হবে বা গেস্ট রুমে বসে একে অপরের বাড়ির বদনাম করতে হবে। আমার ব্লগটির উদ্দেশ্য হলো বাচ্ছাদের ব্যাপারে সচেতন করা।
আমার অফিসের একজন কলিগ যার নাম আবু বকর। তার বাড়ি বরিশাল বিভাগের পটোয়াখালী উপজেলায়। তিনি আমাদের অফিসে ধীর্ঘদিন যাবৎ চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে তিনি ফেমিলি সহ নারায়গঞ্জেই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। তিনির এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলেটা বড় ও মেয়েটা ছোট। আজকে সকালে আবু বকর ভাই তার ছেলের ব্যাপারে একটি ভয়ংকর তথ্য শেয়ার করেন। আবু বকর ভাইয়ের ছেলের নাম হলো যুবায়ের আহমেদ। তার জন্ম ২০১৬ সালে। সেই হিসাবে তার বর্তমান বয়স আট বছর চলতেছে। যুবায়ের এলাকার একটি কিন্ডার গার্টেনে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করে।
সকাল সাতটার সময় নাস্তা করিয়ে যুবায়ের আহমেদের মা তাকে নিয়ে স্কুলে দিয়ে বাসায় চলে আসে। আর নয়টার সময় আবুবকর ভাই অফিসে আসার সময় ছেলেকে নাস্তা করার জন্য টাকা দিয়ে আসে। আর বারোটার সময় যুবায়ের আহমেদের মা গিয়ে আবার ছেলেকে বাসায় নিয়ে আসেন। এভাবেই সে স্কুলে আসা যাওয়া করে পড়াশোনা করে আসছে। আজকে সকালে সে স্কুলে যাওয়ার সময় ছোট একটি ছুরি স্কুল ব্যাগে ঢুকানোর সময় আবু বকর ভাই দেখে ফেলে। উপরের ফটোগ্রাফিতে যে ছুরিটা দেখতে পাচ্ছেন, সেটা হলো সেই ছুরি। ছুরিটা হাতে নিয়ে জিঙ্গেস করলো এই ছুরিটা সে কোথায় পেয়েছে। তখন যুবায়ের বলে সে না কি এই ছুরিটা কিনে এনেছে।
আবু বকর ভাই বলেন কিছুদিন আগে যুবায়ের এর নানা নানি তাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। কয়েকদিন তাদের বাসায় থেকে নানা নানি যাওয়ার সময় যুবায়ের ও তার বোনের হাতে কিছু টাকা দিয়ে যায়। সেই টাকা দিয়ে যুবায়ের ও তার এক স্কুল বন্ধু মিলে স্কুলের সামনে থেকে এই চায়না ছুরিটা কিনেছে। এগুলোকে বাংলাদেশে টিপ ছুরি বলে থাকে। গত কাল নাকি যুবায়ের এর ঐ বন্ধুর সাথে একই ক্লাশের অন্য একজনের সাথে মারামারি হয়েছে। এখন সেই বন্ধুর যুবায়ের কে তার ছুরিটা নিয়ে যেতে বলেছে। আজকে সকালে যুবায়ের ছুরিটা ব্যাগে করে নেওয়ার সময় আবু বকর ভাই দেখে ফেলে। তিনি ছুরিটা অফিসে নিয়ে এসে আমাদেরকে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলেন।
চিন্তা করেন যদি এই ছুরি দিয়ে একজন অপর জনকে আঘাত করতো, তাহলে কি অবস্থা হতো। বাচ্ছা মানুষ তারা তো এত কিছু বুঝে না। কে কখন কোথায় আঘাত করে বসে, শেষে কলংকময় ইতিহাস রচিত হয়ে যেতো। আমি আবু বকর ভাইকে বলেছি স্কুলে গিয়ে যেন, যুবায়ের এর বন্ধু এবয় ঐ ছেলের সাথে কথা বলে জগড়া মিটিয়ে দেয়। আর স্কুলের মেডাম স্যারকে যেন বিষয়টা অবহিত করে আসে। আর দোকানদার কিভাবে ছোট বাচ্ছাদের কাছে এগুলো বিক্রয় করে। একবার চিন্তা করলো না, যদি এগুলো দিয়ে দূর্ঘটনা ঘটে, তাহলে ঐ দোকানদার ও ফেঁসে যেতে পারতো।
আমি কলেজে পড়ার সময় মেলা থেকে এমন একটি ছুরি কিনেছিলাম। এই ছুরি নিয়ে নানাবাড়িতে বেড়াতেও গিয়েছিলাম। সেখানে আম ছুলিয়ে খাওয়ার সময় মামা ছুরিটা দেখে আমার থেকে কেড়ে নেয়। মামা আমাকে আর ছরিটা দেয়নি। তিনি বলেন এটা দেখলে আমাকে পুলিশ ধরে ফেলতে পারে। সে জন্য আমিও আর তেমন কিছু বলি নাই। আমি তখন সব কিছু বুঝি তারপরও মামা আমার থেকে ছুরিটা নিয়ে গেছে। আর যুবায়ের মাত্র তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। এই বয়সে তারা ছুরি চিনে গেছে। আবার জগড়ার পরে ছুরি নিয়ে যায় আঘাত করতে। এই বিষয় গুলোর ব্যাপারে গারজিয়ানদের খুবই সতর্ক থাকা উচিত।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | বাচ্ছাদের হাতে ভংয়কর ছুরি।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৫/০৯/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
কি সাংঘাতিক কথা শেয়ার করলেন ভাইয়া।আসলে দোকানদার কিভাবে এই বিদেশি চাকু বিক্রি করে।বাচ্চারা তো অবুঝ ওদের দারা সব করা সম্ভব কারণ ভালো মন্দ বোঝার ক্ষমতা নাই।ভাগ্য ভালো দেখে ফেলেছে নইলে সত্যি ভয়ংকর ঘটনা হয়ে যেতো।এরকম ঘটনা আমার মেয়ের সাথেও ঘটেছিলো অন্য কোনদিন আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জী দোকানদার ছোট বাচ্ছাদের হাতে এটা বিক্রয় করা ঠিক হয়নি। ধন্যবাদ।
যতদিন যাচ্ছে তত এমন নিত্য নতুন জিনিসের আবির্ভাব ঘটছে বাজারে। তাই আমাদের সন্তানেরা কে কখন কি কিনছে কি ব্যবহার করছে না করছে এগুলো আমাদের খেয়াল রাখা প্রয়োজন। কারণ এই থেকেই তো দুর্ঘটনা সৃষ্টি হতে পারে খুব সহজেই। আর দুর্ঘটনার মত অনেক কিছুই কানে আসে। অনেক সুন্দর একটি সচেতন মূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আশা করব অনেকে এই বিষয়ে সজাগ হবে।
জী ভাইয়া সবার ছোট ছোট বাচ্ছাদের নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত। ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া ছুরি জিনিসটা ছোটদের কাছ থেকে দূরে রাখাই ভালো। কারণ ছোটরা ভালো-মন্দ কিছুই বিচার করতে বোঝেনা। তাছাড়া তারা যদি হঠাৎ করে কাউকে আঘাত করে দেয় তাহলে কিন্তু তার উঠে পড়ে লাগেনা। তবে তাদের অবশ্যই এটা নাগালের বাইরে রাখতে হবে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।