"ছবিটি Canva দিয়ে তৈরি"
শুভ সকাল 🌅
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো রেসিপি পোস্ট:)- মেয়ের জন্য খিচুড়ি রান্না।
আমার মেয়ে জান্নাতুল লিয়ার এখন বয়স চলে ৭ মাস ১০ দিন। তাই তো এখন থেকে মাঝে মধ্যে বারতি খাবার খাওয়ার চেষ্টা করছি। যদিও তেমন একটা খিচুড়ি খেতে চায় না। এর পরে ও মাঝে মধ্যে খাওয়ানো হয়। আল্লাহর রহমতে আপনাদের সবার দোয়ায় আমার মেয়ে ভালো আছে। সবাই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। চলুন এবার মেয়ের জন্য খিচুড়ি রান্না শুরু করা যাক।
উপাদান | পরিমাণ। |
মসুরের ডাল | আধা কাপ। |
আতপ চাল | আধা কাপ। |
আলু | একটি। |
কুমড়ো | সামান্য। |
গাজর | একটি। |
মুরগির মাংস | সামান্য। |
হলুদ | সামান্য। |
- প্রথমেই আমি আলু গাজর এবং কুমড়োর খোসা ছাড়িয়ে নিলাম। এর পরে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। এবার আমি সব গুলো কে গ্রেটার দিয়ে গ্রেট করে নিলাম। তার পরে একটা মুরগির মাংসের টুকরো ছিলো। সেটাকে আমি ব্লেন্ডার করে নিলাম।
- এবার আমি একটি বলের মধ্যে ডাল এবং চাল নিয়ে ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। এবার আমি চাল এবং ডাল ছোট পাতিলের মধ্যে নিয়ে নিলাম। এবারে আমি গ্রেট করে রাখা কুমড়ো গুলোকে দিয়ে মিশিয়ে নিলাম।
- এবার আমি গ্রেট করে রাখা গাজর দিয়ে মিশিয়ে নিলাম। তার পরে এবার আমি গ্রেট করা আলু দিয়ে মিশিয়ে নিলাম। তার পরে সব গুলোকে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম।
- এখন আমি ব্লেন্ডার করে রাখা মুরগির মাংস দিয়ে দিলাম। তার পরে সব গুলো কে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিলাম। এবার আমি পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। এবার আমি চুলায় পাতিল বসিয়ে দিলাম। এর পরে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখলাম। কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে নিলাম। আবারো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখলাম।
- ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে নিলাম। তার পরে আবারও ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখলাম। কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে দেখলাম সব কিছু সিদ্ধ হয়েছে। এবার আমি ঘুটনি দিয়ে ভালো করে খিচুড়ি গুলোকে ঘুটনি দিয়ে দিলাম। এর পরে এখানে খিচুড়ি রান্না শেষ করলাম।
- মেয়ের জন্য খিচুড়ি রান্না করা হয়েছে। এবার আমি পরিবেশন করার জন্য বাটিতে উঠিয়ে নিলাম। এর পরে খিচুড়ি ঠান্ডা হলে আমার মেয়েকে খাওয়ানো হয়। যদিও অল্প খেয়েছে তবে যা খেয়েছে এতেই আমি খুশি। আমি আমার মতো করে আমার মেয়ের জন্য খিচুড়ি তৈরি করার চেষ্টা করেছি। কোন ধরনের ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। রেসিপি দেখে আপনাদের কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন? আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
বিভাগ | রেসিপি পোস্ট। |
ডিভাইজ | realme 9 |
বিষয় | মেয়ের জন্য খিচুড়ি রান্না। |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
ফটোগ্রাফার | @limon88 |
.gif)

আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টিমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। আমি এখন বর্তমানে জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকা উত্তরায় থাকি। আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছি এবং পাশাপাশি স্টিমিট এ কাজ করে আসছি। আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার তিন বছর। এখন আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আমি সত্যিই গর্বিত আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকতে পেরে। স্টিমিট আর আমার বাংলা ব্লগ আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে, তাই যতদিন স্টিমিট রয়েছে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথেই থাকবো। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো। আল্লাহ হাফেজ 💞



https://twitter.com/HouqeLimon/status/1790545878606041371?t=iOsyAyBEDEruQE_COZPZ5Q&s=19
বাচ্চাদের জন্য এরকম মজাদার ভাবে খিচুড়ি তৈরি করলে অনেক ভালো হয়। আসলে বাবু খেতে না চাইলেও, প্রতিদিন একটু একটু তৈরি করে মুখে দিবেন তাহলে অভ্যাস হবে। কারণ অভ্যাস যদি না করা হয় তাহলে বাচ্চারা আর খেতে চায় না। তাই প্রতিদিন অবশ্যই একটু একটু মুখে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনার মেয়ের জন্য খিচুড়ি তৈরি করেছেন আর আমাদের মাঝে এটা শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।
আপনার মন্তব্য সব সময়ই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
বাহ্ ভাই আপনার মেয়ের জন্য খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি বলতে নিজের জন্য থেকেও কারো জন্য কিছু তৈরি করলে সেটা অনেক ভালো লাগে। আপনার তৈরি খিচুড়ি রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। খিচুড়ি আমি ভীষণ পছন্দ করি বৃষ্টির দিনে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিতভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
খিচুড়ি খেতে আমিও পছন্দ করি ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
দারুণ তো!!আপনার মেয়ের জন্য খিচুড়ি রান্না করেছেন এবং সেটি আমাদের মাঝে শেয়ার করে নিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। বিভিন্ন রকম সবজি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে বাচ্চাদের খাওয়ালে সেটা থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা 🧡
আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। ভালো থাকবেন
আপনার মেয়ের জন্য খিচুড়ি রান্না করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। মাশাআল্লাহ আপনার মেয়ের বয়স ৭ বছর ১০ মাস। এই সময় বাড়তি খাবার খুবই দরকার। আপনার খিচুড়ি রান্নার পদ্ধতি দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধাপে ধাপে সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার মেয়ের জন্য শুভকামনা রইল।
দোয়া করবেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
মেয়ের জন্য দারুণ সব পুষ্টিকর সবজি ও ডাল দিয়ে চমৎকার সুন্দর পুষ্টিকর খাবার খিচুড়ি রান্না করেছেন ভাইয়া।বাচ্চাদের এই বয়সে এরকম করে পুষ্টিকর বারতি খাবার দেয়া দরকার। আমিও মেয়েকে এভাবে রান্না করে খাওয়াতাম। খিচুড়ি গুলো ভীষণ সুন্দর হয়েছে। মুরগির মাংস দেয়ার কারণে পুষ্টি ও স্বাদ দুটোই দ্বিগুণ হয়েছে নিশ্চয়ই। ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে রেসিপিটি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করে সব সময়ই উৎসাহ দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনি দেখছি আপনার মেয়ের জন্য নিজের হাতে খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনি দেখছি রান্না করতে বেশ ভালোই পারদর্শী। আপনি বেশ কয়েকটি উপকরণের সংমিশ্রণে এতো সুন্দর একটি খিচুড়ি রেসিপি তৈরি সম্পন্ন করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছিল।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
বাহ দেখতে দেখতে মামনির সাত মাস হয়ে গেলো। আমার মনে হচ্ছে সেই দিন শুনলাম আপনার বাবু হয়েছে। আর এখন অলরেডি সাত মাস পার হয়ে যাচ্ছে। যেহেতু সাত মাস পার হয়ে যাচ্ছে,সেহেতো বাড়তি খাবার খাওয়ানো দরকার। এই সময় বাবু রা খিচুড়ি খেতে খুব পছন্দ করে। আপনাকে দেখলাম বিভিন্ন প্রকার উপকরণ দিয়ে খিচুড়িটা রান্না করেছেন। রেসিপিটা অনেক সুন্দর হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দোয়া করবেন আপু আপনার মেয়ের জন্য দোয়া এবং শুভ কামনা রইলো।
খুব সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন ভাইয়া। আসলে এই ধরনের খিচুড়ি খেতে বাচ্চারা অনেক বেশি পছন্দ করে। আমিও মাঝে মাঝে এমন খিচুড়ি তৈরি করি আমার ছেলের জন্য। আপনার খিচুড়ি তৈরি করার প্রক্রিয়াটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে বিশেষ করে মাংসের টুকরোগুলো ইউনিক ভাবে দিয়েছেন সেটা অনেক ভালো লাগলো। এমন সুন্দর একটি রেসিপি দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।