রাশমেলা উপলক্ষে দিনাজপুর কান্তজীর মন্দিরে যাওয়া
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শনিবার, ২৩ ই নভেম্বর ২০২৪ ইং
আসলে বাঙালিদের সব সময় বিভিন্ন উৎসব লেগেই থাকে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের উৎসবের মধ্য আমরা বাঙ্গালীরা জীবন যাপন করার চেষ্টা করি। ঠিক অনুরুপ ভাবে রাশ বাঙালিদের একটি প্রাচীনতম উৎসব।আর এই রাশ উৎসব কে ঘিরেই বাংলাদেশ এবং ভারত সহ পৃথিবীর আরো অনেক গুলো দেশের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মেলা এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। অন্যান্য সব উৎসবের মতোই বাঙালিরা এই রাশ উৎসব পালন করে থাকে।আর ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এই উৎসবের মধ্যে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করে। আমরা বাঙ্গালী জাতি, আমরা সব সময় মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করি। বাঙালি জাতি মানেই একে অপরের সাথী। আমি ছোট বেলায় আমাদের পাঠ্য বইয়ের মধ্যে কান্তজীর মন্দির পড়ছিলাম।আর তখন থেকেই আমার কান্তজীর মন্দির দেখার খুবই ইচ্ছা।
আর যেহেতু দিনাজপুর জেলা আমাদের পাশের একটি জেলা। আমাদের বাসা থেকে খুব একটা বেশি দূরে নয়।তাই আমি সেখানে দীর্ঘ দিন ধরে যাইতে চাই। কিন্তু যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠেনি কোনদিন। বেশ কিছু দিন আগে আমি দিনাজপুর সরকারি কলেজের মধ্যে ভর্তি হয়েছিলাম। তখন থেকেই আমার ইচ্ছা যে, এবছর কান্তজীর মন্দিরের মধ্যে মেলা শুরু হলে আমি আর মিস করবো না।তাই আমি আমার সব বন্ধু বান্ধবীদের কাছে থেকে কান্তজীর মন্দিরের খোঁজ খবর নিতাম। বেশ কিছু দিন আগে আমি জানতে পারলাম, কান্তজীর মন্দিরের মধ্যে রাশমেলা শুরু হয়েছে। এটা শুনার পর আমি ভীষণ খুশি। কেননা আমি দীর্ঘ দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম এই মেলার জন্য। যাইহোক, আমি এই মেলা দেখতে যাওয়ার জন্য আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু কে বলেছিলাম। তারা সকলেই আমার সাথে মেলায় যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়।
আমরা একদিন সকল বন্ধুরা বসে তারিখ ফিক্সড করে নিলাম। আমরা গত শনিবার সেখানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে বেরিয়ে আসি। আমরা সকল বন্ধুরা একত্রিত হয়ে একটি অটোরিকশা ঠিক করলাম। আমাদের কলেজ থেকে কান্তজীর মন্দিরের দুরুত্ব ছিল কিছু টা দূরে। আমাদের কলেজ মোড় থেকে কান্ত বাজার অটোরিকশা গুলো প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। যাইহোক, অটোরিকশা চালক আমাদের কে অল্প কিছু সময়ের মধ্যে কান্তজীর মন্দিরের গেইটের সামনে পৌছে দেয়। আমরা সেখানে নেমে দেখতে পারলাম প্রচুর পরিমাণ মানুষের ভীড় জমে উঠেছে। তবে, দিনের বেলার থেকে রাতের বেলা একটু বেশি ভীড় জমে যায়। আমরা দিনের বেলা গিয়েও সেখানে প্রচুর পরিমাণে ভীড় দেখতে পারছিলাম। এরপর আমরা আমাদের সকল বন্ধু সহ কান্তজীর মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করলাম।
মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করে দেখতে পারলাম মন্দিরের সামনে প্রচুর পরিমাণে ভীড় জমে গিয়েছে। অনেকেই অনেক জায়গা থেকে এই মন্দির দেখার জন্য গিয়েছে সেখানে।আমি প্রথম বার গতকাল এই মন্দির টি দেখার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে মানুষের ভীড়ের কারণে তেমন ভালো ভাবে দেখা হয়নি। যাইহোক, মন্দিরের দেয়ালের সাইটে বিভিন্ন ধরনের মূর্তি দেখা যাচ্ছিল।আর মন্দির টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ পুরনো একটি মন্দির। তবে, কিছু কিছু জায়গার মধ্যে মন্দিরের দেয়ালের নকশা গুলো খুলে পড়ে গিয়েছে। মন্দির টি দুর থেকে দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। তবে, দুর থেকে মন্দিরের নকশা গুলো তেমন একটা দেখা যায়না।আর এই মন্দিরের রাশমেলা উপলক্ষে চলবে পুরো এক মাস ধরে রাশমেলা।আর এই রাশমেলা দেখার জন্য আমাদের মতো অনেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চলে আসেন।
আজকের ব্লগ টি এখানেই শেষ করছি, আবার খুব তাড়াতাড়ি আরেকটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
X promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মন্দিরটি দেখেই বেশ পুরনো এবং ঐতিহ্যমন্ডিত মনে হচ্ছে ভাই। এই মন্দিরটি আসলে টেরাকোটা শিল্পের। পোড়ামাটির এইসব মন্দিরগুলি আজও বাংলার গর্ব হিসাবে চিহ্নিত। পশ্চিমবাংলার বিষ্ণুপুরে এমন অসংখ্য মন্দির আজও রয়েছে। রাস উপলক্ষে রাধা কৃষ্ণের এই মন্দিরের মেলা জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। এইজন্যই বলা হয় ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আসলে উৎসব মানেই আনন্দে মেতে ওঠার সময়।
দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দির ঐতিহাসিক একটা জায়গা আমি বইয়ে পড়েছিলাম। সাধারণত উৎসব কে কেন্দ্র করে এখানে মানুষের এমন ভীড় জমে উঠে। বেশ লাগল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।