লাইফস্টাইল পোস্ট: বন্ধুবান্ধব সহ একদিন রংপুর কাচ্চি ডাইনে
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ১৭ ই অক্টোবর ২০২৪ ইং
কাচ্চি ডাইন বাংলাদেশের মধ্যে একটি বড় প্রতিষ্ঠান। আপনারা হয়তো সকলেই কমবেশি কাচ্চি ডাইনের সাথে পরিচিত। বেশ কিছু দিন আগে আমার নিজের শহর রংপুরে কাচ্চি ডাইনের নতুন একটি ব্রাঞ্চ উদ্ভোধন করা হয়েছে। আসলে, আমি আগে ফেসবুকে ভিডিও এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বেশ কিছু শহরের মধ্যে এই কাচ্চি ডাইনের ভিডিও গুলো দেখতাম। এখন অবশেষে আমার নিজের শহর রংপুরে কাচ্চি ডাইন চালু হওয়ায় আমি অনেক বেশি খুশি। বেশ কয়েকদিন ধরে আমি রংপুর কাচ্চি ডাইনে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছিল না। বেশ কিছু দিন ধরে একটু ব্যস্ত সময় পার করছি। যতই দিন যাচ্ছে ততই কেন জানি ব্যস্ত হয়ে পড়ছি। আসলে ছেলেদের জীবন টা এমনিই মনে হয়। অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবন পরিচালনা করতে হয়।
তো একদিন হঠাৎ করে আমি কোন এক কাজের জন্য রংপুর শহরের মধ্যে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমি আমার সব কাজ সম্পন্ন করে আমার বন্ধুর মেসের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলাম। বেশ কিছু দিন ধরে আমার বন্ধুর সাথে তেমন একটা দেখা হয়নি।তাই ভাবলাম বন্ধুর সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে বাসায় যাবো।আমি বন্ধুর মেসে যাওয়ার জন্য আমার বন্ধু কে কল করে মেসের সামনে বের হতে বলি। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আমি আমার বন্ধুর মেসের সামনে চলে যাই। গিয়ে দেখলাম সে আমার জন্য মেসের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এরপর সে আমাকে তার রুমের মধ্যে নিয়ে যায়। রুমের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ সময় রেস্ট করলাম। রেস্ট করা শেষ করে ভাবলাম আজ বন্ধুদের কে সাথে নিয়ে কাচ্চি ডাইনের মধ্যে যাবো। এরপর আমি আমার বন্ধু কে কাচ্চি ডাইনের মধ্যে যাওয়ার জন্য বললাম।
সে আমার সাথে যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়। এরপর আমি আমার বন্ধু কে ফোন করলাম,সে ও এই মেসের পাশের মেসেই থাকে। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে সে ও বের হয়ে চলে আসে। এরপর আমরা মেস থেকে বের হয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়ালাম রিকশা নেয়ার জন্য। আমার বন্ধুর মেস থেকে রংপুর কাচ্চি ডাইনের দুরুত্ব খুব একটা কাছে নয়। এরপর আমরা তিনজন একটি রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম কাচ্চি ডাইনের উদ্যেশে। রিকশা করে যাওয়ার পথে রংপুর শহরের চারদিকের সুন্দর সুন্দর দৃশ্য গুলো উপভোগ করছিলাম।আর এরকম সুন্দর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বেশ কিছু সময়ের জন্য আমরা কাচ্চি ডাইনের মধ্যে এসে পড়লাম।
এরপর আমরা সকলে মিলে প্রবেশ করলাম কাচ্চি ডাইনের ভিতরে প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করার সাথে সাথেই আমাদের কে ওয়েবক্যাম জানায়। এরপর আমরা বেসিনে গিয়ে হাত ধুয়ে নিলাম।হাত ধোয়া শেষ করে দেখতে পারলাম, একটি সীট ও খালি নেই। প্রায় সব সীট একদম বন্ধ।আর কাচ্চি ডাইনের মধ্যে একটু ভীড় থাকে সব সময়। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি সীট খালি হয়ে যায়। আমরা তাড়াতাড়ি সীটের মধ্যে বসে পড়লাম। কেননা, যে কোন সময় আবার সীট বুকিং হয়ে যেতে পারে। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের মাঝে একজন কাচ্চি লোক চলে আসে এবং আমাদের মাঝে থেকে সে অর্ডার নিয়ে নেয়। আমরা তিনজন একটি করে বাসমতি চালের কাচ্চি অর্ডার দিয়েছিলাম।
সে অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের মাঝে আমাদের অর্ডারকৃত কাচ্চি দিয়ে দেয়। এরপর আমরা খাওয়া শুরু করে দিলাম। আসলে, কাচ্চি ডাইনের কাচ্চির মধ্যে অথেন্টিক স্বাদ পাওয়া যায়, এই কথা টি একদম সত্য। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা টেবিলের মধ্যে বসে গল্প করছিলাম বেশ কিছুক্ষণ।আর কাচ্চি ডাইনের ডেকোরেশন টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে কাচ্চি ডাইনের প্রতিটি কর্মচারী গ্ৰাহকদের সাথে খুবই সুন্দর ব্যবহার করে। আর কাচ্চি ডাইনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভীড় হলে ও পরিবেশ টা অনেক বেশি সুন্দর। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় গল্প করার পর টাকা পেমেন্ট করে চলে আসি।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 12+12 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি অনেক সুন্দর করে আজকের কাচ্চি খাবার মুহুর্ত তুলে ধরেছেন। বন্ধু দের সাথে এভাবে খাওয়া দাওয়া করতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
রংপুরে আজও কখনো যাওয়া হয়নি তবে যদি যাই সেক্ষেত্রে এই কাচ্চি ডাইনিংয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। কারণ আপনার উপস্থাপন করা এই পোস্টটা দেখেই কাচ্চি ডাইনিং এ যাওয়ার অনুভূতিটা আরো বেশি বেড়ে গেল ইনশাল্লাহ যদি ভবিষ্যতে কোনদিন ওদিকে যাই একদিন ভ্রমণ করে আসবো।
বন্ধুদের সাথে অনেকদিন দেখা না হওয়াতে ম্যাচে দেখা করতে গিয়েছিলেন। আর সেখান থেকে সবাই কাচ্চি ডাইনে কাচ্চি খেতে চলে গেছেন। তবে কাচ্চি ডাইনে অনেক ভিড় হওয়ার শর্তেও খুবই সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। আর কাচ্চি খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল জেনে ভালো লাগলো। তিন বন্ধু মিলে অনেক আড্ডা দিয়েছেন বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার সুন্দর অনুভূতি ব্যাখ্যা করেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার এ দারুন একটি ব্লগ দেখে। খুব সুন্দর ভাবে বিস্তারিত বিষয় গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর ভাবে পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে কাচ্চি খাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। কিছুদিন আগে আমিও কাচ্চি ডাইনে কাচ্চি খেয়েছি। আপনার রংপুর কাচ্চি ডাইনে কাচ্চি খাওয়ার অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগে। খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত গুলো বেশ সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
এই পোস্টটি @httr4life এর মাধ্যমে টিম 5 দ্বারা আপভোট/সমর্থিত হয়েছে। আমাদের দল সম্প্রদায়ে যোগ করে এমন সামগ্রী সমর্থন করে৷
ধন্যবাদ আপনাকে
বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে যেতে কে না ভালোবাসা। আর সেই সাথে যদি প্রসঙ্গ আসে খাওয়া-দাওয়ার তাহলে তো আর কিছু বলারই থাকে না। আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো সুন্দর সময় আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কাচ্চি ডাইন। নামটা শুনেই যেন কিছুদিন আগের কথা মনে পড়ে গেল। মূলত আমিও গিয়েছিলাম কয়েকদিন আগে। কাচ্চি ডাইনের নাম যেমন ,প্রত্যেকটা আইটেমের স্বাদও তেমন। ওয়েটারদের বিহেভ অত্যন্ত নম্র। যাই হোক আপনার বন্ধুদের সাথে আপনার কাঙ্ক্ষিত কাচ্চি ডাইনে খাইতে গিয়েছিলেন শুনে ভালো লাগলো এবং ফটোগ্রাফি গুলি দেখে মনে হচ্ছে ভালোই সময় উপভোগ করেছেন। বন্ধুদের সাথে কাটানো এরকম সুন্দর মুহূর্তময় পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
কাচ্চি ডাইনের কাচ্চি সত্যিই অসাধারণ। আপনাদের রংপুর শহরে কাচ্চি ডাইনের নতুন আউটলেট হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। ডেকোরেশন টা বেশ সুন্দর। বন্ধুবান্ধবসহ দারুন কিছু সময় কাটিয়েছেন এবং খাওয়া-দাওয়া করেছেন। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।