পাট পচন দেওয়ার অনুভূতি।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৭/০৮/২০২৪) রোজ: শনিবার।
💞 শুভ রাত্রি 💞
আপনারা জানেন আমি ইতিপূর্বে আমার এই ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা অর্থাৎ এইচএসসি বোর্ড পরীক্ষার জন্য আমি সাময়িক ছুটি নিয়েছি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আবার কাজের ধারাবাহিকতাই ফিরে আসার চেষ্টা করছি।
তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
পাট বাংলাদেশের অর্থকারী ফসলের মধ্যে একটি। পাট দিয়ে প্রতিবছর অনেক বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। তাই পাটকে অর্থনৈতিক ফসল বলা হয়। এখন পাটের সময়। এখন প্রতিটি জায়গায় পাট কেটে সেগুলো পচন দেওয়ার সময়। তো পাট যখন জমি থেকে কাটা হয়ে যায়। তখন জমি থেকে পাট গুলো আটি বাধা হয়। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পার্টগুলো খুব সুন্দর করে আঁটি বাঁধা হয়েছে। এরপরে এই পার্টগুলো নির্দিষ্ট একটি স্থানে পছন্দ দিতে হয়।
এইতো কয়েকদিন আগে আমাদের পুকুর পাড়ে দেখছি অনেককে পাট নিয়ে এসেছে। মূলত এখানে তারা পাট পচন দিবে। এই সময় খালে এতটাই চাপ থাকে যে পাট পচন দেওয়ার জায়গা ও পাওয়া যায় না। তবে আমাদের পাটগুলো আমাদের নিজ পুকুর এই পচন দেওয়া হয়েছে। আপনারা উপরের ছবিটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন। পুকুরের মধ্যে দুইজন খুব সুন্দর করে সারিবদ্ধভাবে পাটের আটিগুলো একত্রে বেঁধে রাখছে।
এভাবে এক শাড়ির উপরে আবার অন্য একটি শাড়ি দিয়ে পাট গুলো আরো বড় ভাবে সাজানো হচ্ছে। কেননা এই পার্টগুলো ভালোভাবে পচন দিতে হবে। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন দুইজন খুব সুন্দর করে পাট পচন দেওয়ার জন্য পুকুরে নেমে তারা পাটের আর্টিগুলো খুব সুন্দর করে সাজিয়ে নিচ্ছে। পাট গুলো এভাবে সাজিয়ে নেওয়ার কারণ হচ্ছে। যাতে পার্টগুলো হারিয়ে না যায়। কেননা এ পার্টগুলো যখন পাটখটি থেকে আঁশগুলো আলাদা করা হবে । তখন যেন এই পার্টগুলো এলোমেলো ভাবে না থাকে এজন্য মূলত এভাবে সাজানো হয়ে থাকে। তাছাড়া পাট যাতে ভালোভাবে পচে তার জন্য এইভাবে পাটগুলো সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো হয়।
পাট গুলো যখন সাজানো হয়ে থাকে তখন দেখলে যেন মনে হয় পানিতে পাটের নৌকা ভেসে উঠেছে। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেকগুলো পার্ট একসাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। এই পার্ট গুলো যখন পানিতে ভেসে ছিল ঠিক ঐ মুহূর্তে আমি উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি।
এবার হচ্ছে মূল কাজ। আপনারা সকলেই জানেন কাসা পার্ক গুলো যদি ভালভাবে না পচে তাহলে পাটের এই আঁশ আলাদা করা যায় না। এর জন্য পাট গুলো পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। পাট গুলো পানিতে ডুবিয়ে রাখার জন্য আমরা পাটের উপরে বিভিন্ন রকম ভারী জিনিসপত্র দিয়ে থাকি। তবে কৃষকরা যেটা করে সেটা হচ্ছে প্রথমে পাটের আঁশ যাতে কালো না হয় তার জন্য ভালো পানি ব্যবহার করে। মানে পরিষ্কার পানিতে পার্ট পচন দেয়। এরপরে পুকুরে নিচের যে কাদা রয়েছে তা পাটের উপরে দেয়। এই কাদাগুলো যাতে পাটের গায়ে না লাগতে পারে তার জন্য প্রথমে পাটের উপরে পলিথিন কাগজ বা বস্তা বিছিয়ে দেওয়া হয়। এর কারণ হচ্ছে পাটের যে আঁশ পাওয়া যাবে সেগুলো যাতে কোনরকম কালো আকার ধারণ না করে। কেননা এই পার্টের আঁশ যতো পরিষ্কার এবং সোনালী বর্ণের হবে তার দাম ততো বেশি হবে। তবে আপনারা উপরের ছবিটিতে দেখতে পারছেন পাটের উপরে খুব সুন্দর করে পলিথিন কাগজ এবং বস্তাগুলো বিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে যখন পাটের উপরে বস্তা এবং কাগজ দেখিয়ে দেয় ওই মুহূর্তে উপরের ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি। এভাবে খুব সুন্দর করে পাটের উপরে পলিথিন কাগজ সহ বস্তা বিছে দেওয়ার পরে পুকুরের নিচের অংশের কাদা উপরে দেয়া হয়। কাদাগুলো এমন ভাবে দেয়া হয়ে থাকে যাতে পাটগুলো সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে থাকে। কেননা এ পার্টগুলো যদি পানিতে অর্থাৎ পানির উপরে ভেসে থাকে তাহলে সেই পাট কখনো পোচবে না। আর পাট যদি না পচে তাহলে তা থেকে আশ আলাদা করা যাবে না। তো এভাবে খুব ভালোভাবে কাদা দিয়ে পাট গুলো ডোবানো হয়। এভাবে ১০ থেকে ১৫ দিন পরে এই পার্ট গুলো ধোয়া হয়। ধোয়া হয় বলতে বোঝায় পাট গুলোর পাটখটি এবং আশ গুলো আলাদা করা হয়। আর এগুলো যখন আমি দেখেছিলাম তখন আমার খুবই ভালো লেগেছিল। আর সেই ভালোলাগা থেকেই ছবিগুলো আমি সংগ্রহ করেছি। আর সেগুলোই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পাট পচনের পদ্ধতিটি সার্বিকভাবে সুন্দর ব্যাখ্যা করে তুলে আনলেন সকলের সামনে। শহরে থাকার দরুন এতসব বিষয় জানা ছিল না। শুধুমাত্র পাটজাত দ্রব্যের জিনিস ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু পাটের পচন দেয়ার বিষয়টি এখন জানলাম। সত্যিই এ যেন নদীতে নৌকা ভাসার মতো দেখলে মনে হচ্ছে। আমরা যেসব দ্রব্য ব্যবহার করি তার পিছনে কত যে নিরলস পরিশ্রম জুড়ে থাকে তা আমরা জানতেও পারি না। অনেক ধন্যবাদ এমন পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহিত দেওয়ার জন্য।