ফার্স্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
ফার্স্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুডের সাথে আমরা সবাই খুব ভালোভাবে পরিচিত।ঝটপট তৈরি করে নেওয়া যায় এই খাবার।এছাড়াও আমাদের আশেপাশের রেস্টুরেন্ট গুলোতে প্রতিনিয়ত তৈরি করা হয়ে থাকে অস্বাস্থ্যকর জাঙ্ক ফুড,যেটা হাইড্রোজেন যুক্ত তেলের তৈরি হয়ে থাকে।এই খাবার গুলোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট,চিনি, লবণ যা আমাদের শরীরের স্থূলতা বাড়িয়ে দেয়।আমরা চাইলেও সহজেই এই খাবারগুলো পরিত্যাগ করতে পারিনা।কম বেশি সবারই পছন্দের তালিকায় রয়েছে এসকল জাঙ্ক ফুড আইটেম।এজন্য আমাদের শরীরে দেখা যাচ্ছে নানা ধরনের ব্যাধি।
আমরা যদি একটু পিছনের দিকে ফিরে যাই অর্থাৎ ঊনবিংশ শতাব্দীর আগে তখন সমস্ত খাবার ঘরেই তৈরি করা হতো।তখন মানুষ সুস্থ থাকতেন এবং বেশিদিন বেঁচে থাকতেন ।বর্তমান আমাদের অসুস্থ থাকার পিছনে মূল কারণ হচ্ছে এই অস্বাস্থ্যকর ভেজালযুক্ত খাবার।আজকে আপনাদের সাথে হঠাৎ এই ফার্স্ট ফুড খাবার নিয়ে আলোচনা করতে এলাম এজন্য ।আমার এক কাজিন যে কিনা এই ফার্স্ট ফুড আইটেম খুব পছন্দ করে।তাছাড়া বয়স অনুযায়ী ওজন অনেকটাই বেশি।এতো অল্প বয়সে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়তো এবং শরীর দিয়ে রক্ত আসতো।এজন্য ঢাকা বেশ নামকরা কিছু হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছিল ।কিন্তু সময় বেশি হয়ে যাচ্ছিল তারপরেও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠছিল না।
সর্বশেষ এই একমাস যাবত ইন্ডিয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে।ইন্ডিয়া যেকোনো রোগের চিকিৎসা একদম গোড়া থেকে করা হয়।প্রথমে অনেকগুলো টেস্ট দিয়েছিল আমার কাজিনকে এরপর তারাও একই রোগের কথা বলেছে যে পেটে আলসার ঘা হয়েছে।বাংলাদেশেও সর্বশেষ স্কয়ার হাসপাতালে দেখানো হয়েছিল সেখানেও একই রোগের কথা বলেছিল।আমাদের বাংলাদেশেও একটু বড় বড় হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা কিন্তু অনেকটাই উন্নত।যেহেতু অনেকটা দেরি হয়ে যাচ্ছিল তাই আর অপেক্ষা করেনি মামা।এখন যে চিকিৎসা নেওয়া হচ্ছে আশা করছি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।আপনারা ফার্স্ট ফুড এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করবেন বন্ধুরা।অধিক মাত্রায় অস্বাস্থ্যকর ফার্স ফুড গ্রহণ অনেকসময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়ায়।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date-12 December,2023
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

এই খাবারগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ জানি বুঝি কিন্তু কন্ট্রোল করতে পারিনা।
অনেকবার নিজে নিজে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি এই খাবারগুলো খাব না।
বারবারই ব্যর্থ হয়েছি এখন পর্যন্ত চলছে সেই আগের মতই।
তবে আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো তথ্যবহুল আলোচনা করেছেন।
ভালো থাকতে হলে অবশ্যই এই জাতীয় খাবারের প্রতি কন্ট্রোল করতে হবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
বেশ সুন্দর তো আপু। দারুন ছিল আজকের পোস্টটি। আপনি কিন্তু বেশ গুছিয়ে ফাস্ট ফুড খাওয়ার অপকারিতা আমাদের জন্য শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে বেশ অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
মানুষ অল্পতেই অসুস্থ বা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার মূলে রয়েছে। ভেজাল জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া খাওয়ার কারণে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড খাবার যেগুলো চাহিদা অনুযায়ী সবাই বেশি খেয়ে থাকে। যেটার কারণে মোটা হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যেমনটা আপনার কাজিনের ক্ষেত্রে হয়েছে। সেজন্য সতর্ক থাকা উচিত। আর একটা উদাহরণ ভালো দিয়েছেন আগের যুগের মানুষ খাবার কম পেলেও তারা সুস্থভাবে অনেক দিন বেঁচে থাকতো। একদম সত্য কথা কারণ তারা ভেজালমুক্ত খাবার গ্রহণ করত।
জি ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন আপনি, ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ফাস্টফুড খাওয়াটা আসলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি জেনেও আমরা সবাই এই খাবারটির প্রতি অনেক বেশি ঝোঁক। কারণ বাঙ্গালীরা সবসময়ই অনেক বেশি ভোজন প্রিয় হয়। মুখে যেটা স্বাদ বেশি লাগবে সেটাই বাঙালিরা খেয়ে পেট ভরে ফেলবে। বেশ সুন্দর একটি সতর্কতামূলক পোস্ট করেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ইন্ডিয়াতে চিকিৎসা ব্যবস্থা বেশ ভালো। অতি দ্রুত আপনার মামার সুস্থতা কামনা করছি আপু।
আসলেই ভাইয়া ঠিক বলেছেন বাঙালি তো এটা থাকবেই।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে এখন ভেজাল মুক্ত খাবার পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য ।আর এখন অসুস্থতার হার বেশি। মাঝেমধ্যে আসলে বাহিরে গেলে আমাদেরও জাঙ্ক ফুড খাওয়া পড়ে। না খেয়ে মনে হয় পারিনা। আর এটা শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি। যাইহোক আপনার মামার সুস্থতা কামনা করছি যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার কাজিন মামা না আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকাল আমরা বেশ অভ্যস্ত হয়ে পরেছি ফাস্টফুড খেতে।যদিও আমরা প্রায় সবাই জানি ফাস্টফুড এর অপকারিতা সম্পর্কে।তবুও আমরা ফাস্ট ফুড খাচ্ছি। এই ফাস্ট ফুড খেয়ে আমরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি দিন দিন।তবু এ আসক্তি থেকে আমরা নিজেদের বিরত রাখতে পারছি না।নিজেদের সুস্থ রাখতে হলে ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর সময়োপযোগী পোস্ট এর জন্য।
জি আপু একদম,ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন শিক্ষানীয় বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। ফার্স্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুড আমাদের শরীরের জন্য খারাপ জেনেও আমরা এসব খাবারের প্রতি বেশি আকৃষ্ট। কারণ অন্য খাবারের তুলনায় এইসব খাবারে আমাদের মুখের স্বাদ অনেক বৃদ্ধি পায়। তবে চেষ্টা করব আপু এই জাতীয় খাবার না খেয়ে নিজেকে কন্ট্রোল করার জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি মনে করি ফার্স্ট ফুড জাতীয় খাবার গুলো স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি খারাপ। যদিও মুখের রুচি বেড়ে যায় খাওয়ার জন্য কিন্তু শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। আমি একটা জিনিস খুব খেয়াল করেছি সেটা হচ্ছে যারা ফার্স্ট ফুড জাতীয় খাবার বেশি খাই তাদের স্বাস্থ্য অনেক গুণ বেড়ে যায়। তাছাড়া অনেক ধরনের রোগের সম্মুখীন হতে হয়। আশা করি আপনার কাজিন খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। সুস্থতা কামনা করছি। সেই সাথে সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।