"মেট্রোরেল ভ্রমণ কাহিনী - ১ম পর্ব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৮ ই এপ্রিল, মঙ্গলবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।কিছুদিন আগে আমি, আমার জীবনের প্রথম মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছি আমার এক ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে। নতুন নতুন জায়গা থেকে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য জীবনে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমি ভ্রমণ করতে খুবই পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই নতুন নতুন জায়গাতে ঘুরে বেড়ানোর প্রচন্ড অভ্যাস হয়েছে। কিন্তু এখন পড়াশোনার চাপে খুব একটা ভ্রমণ করা হয় না।তারপরও চেষ্টা করি নতুন নতুন জায়গাগুলো ভ্রমণ করে অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য। আমার জীবনের প্রথম মেট্রোরেলে ভ্রমণ কাহিনী আমি আপনাদের সাথে কয়েকটি পর্ব আকারে শেয়ার করব।
কয়েকটি ছবি নিয়ে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ঢাকার ভিতরে প্রচন্ড যানজট করানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার মেট্রোরেল প্রকল্প হাতে নিয়েছিল অনেকদিন আগেই। মেট্রোরেল প্রকল্পের আগারগাঁও থেকে নর্থ উত্তরা পর্যন্ত কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে কারণে কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ এর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছেন। আর উদ্বোধনের পর থেকে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ মেট্রোরেল চলাচলের সুবিধাটা পাচ্ছে। ঢাকাতে মেট্রোরেল উদ্বোধন করার পর থেকেই ইচ্ছা ছিল মেট্রোরেলে ভ্রমণ করার। আর কিছুদিন আগেই আমার সেই ইচ্ছাটা পূরণ করলাম। আমি আজকে আপনাদের সাথে আমার জীবনের প্রথম মেট্রোরেলে ভ্রমণের - ১ম পর্ব শেয়ার করব।
মেট্রোরেল ভ্রমণের দিনে সকালে দিকে আমার ঘুম ভাঙার আগেই হঠাৎ করেই আমার পিসির ছেলে ভাই অর্গ ফোন দিল আমার কাছে। অর্ঘ্য ফোন দিয়ে বলছে যে দাদা তুমি কোথায় আছো ? তো আমি বললাম যে আমি তো মেসে আছি, তুমি কোথায় আছো ? তখন অর্ঘ্য বলতেছে যে আমি তো ঢাকাতে আসছি আমার সাথে আজকে কি একটু দেখা করতে পারবা। আমি তখন বললাম যে তাহলে তুমি আমার মেসে চলে আসো দেখা হবে। তখন অর্ঘ্য বলল যে দাদা আমি তো মেসে যেতে চাচ্ছি না আমার ইচ্ছা মেট্রোরেল ভ্রমণ করার।
তখন আমিও অর্ঘ্য কে বললাম আমারও তো ইচ্ছা আছে, কিন্তু তেমন লোক পায়না বলে যাওয়া হয় না। তারপর আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে তুমি কোথায় আছো আমাকে বলো ? আমি সেখান থেকে তোমাকে নিয়ে মেট্রোরেল ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে বের হচ্ছি দুজনে। তখন অর্ঘ্য বলেছে দাদা আমি শ্যামলীতে আছি। তখন আমি বললাম যে তুমি ওখানেই থাকো আমি কিছু সময় পরে তোমার সাথে দেখা করছি।
তারপর আমি ঝটপট ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে সকালের খাবার না খেয়েই বের হয়ে পড়লাম। আমার বাসা মোহাম্মদপুরে তাই শ্যামলীতে যেতে খুব একটা বেশি সময় লাগছিল না খুব অল্প সময়ে এই চলে গিয়েছিলাম। তারপর শ্যামলীতে গিয়ে অর্ঘ্য সাথে দেখা করে দুজন একসাথে মেট্রোরেল ভ্রমণের জন্য শ্যামলী থেকে একটি রিক্সা নিয়ে আগারগাঁও মেট্রোরেলের স্টেশনের দিকে রওনা দিই।
শ্যামলী থেকে মোটামুটি ১০ মিনিটের ভিতরেই আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। মেট্রোরেল স্টেশনের সামনে গিয়ে বেশ ফুরফুরি মেজাজ লাগছিল। তারপর আমি আর অর্ঘ্য দুজনে মিলে চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে মেট্রোরেল স্টেশনের উপরের দিকেও উঠে গেলাম।
মেট্রোরেল স্টেশনের উপরের তলায় উঠে ভেতরের দিকে যাইতেই দেয়ালে বিভিন্ন রকমের তথ্য সংক্রান্ত ছবি দেখতে পেলাম। ছবিতে দেখলাম অনেক কিছুর রেস্ট্রিকশন রয়েছে এখানে। আমার কাছে এসব তথ্য সংক্রান্ত ছবিগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ লাগলো। তাই আমি ততগুলো ভালোভাবে দেখলাম এবং ছবি তুলে রাখলাম।
তারপরে আর একটু যাইতেই উপরের নির্দেশনা দেখে টিকিট কাটার জন্য নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে থাকলাম।
একটু আগাতেই আরও একটি তথ্য সংক্রান্ত ছবি দেখতে পেলাম। এই ছবিতে আগারগাঁও স্টেশনে কয়টি গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে সেসব নির্দেশনা দেয়া ছিল।
তারপর আরেকটি ছবিতে দেখলাম ভাড়া সংক্রান্ত অনেক তথ্য দেয়া রয়েছে। আমি ভাড়া সংক্রান্ত এসব তথ্যগুলো দেখার পরে মোবাইলে ছবি তুলে রাখলাম। তারপর আমরা আগারগাঁও থেকে উঠে সর্বশেষ স্টেশন উত্তরা উত্তর স্টেশনে যাব সেখানকার ভাড়া কত সেটা এই ভাড়া তথ্য সংক্রান্ত তালিকায় দেখে নিলাম তারপর টিকিট কাউন্টারের দিকে গেলাম। তারপর....
পরবর্তী অংশ "মেট্রোরেল ভ্রমণ কাহিনী- ২য় পর্বে" আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ০৩ রা এপ্রিল |
লোকেশন | ঢাকা, বাংলাদেশ |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার "মেট্রোরেল ভ্রমণ কাহিনী- ১ম পর্ব" ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon


ওয়াও দাদা তাহলে মেট্রোরেল চড়লেন ৷ বাংলাদেশের আরকেটি রোল মডেল হলো মেট্রোরেল৷ আপনি আপনার পিছি তো ভাইযের সাথে ঘুরাঘুরি করেছেন ৷ ভাল লাগলো মুহূর্ত গুলো৷ পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা দাদা ৷
হ্যাঁ দাদা, মেট্রোরেলে চড়ে ছোট্ট একটা স্বপ্ন পূরণ করলাম। আর ভালোলাগার মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
বাহ্,দারুন তো আপনি মেট্রোরেল চড়লেন।আপনার এক ছোট ভাইকে নিয়ে।আপনি আপনার অনুভূতি গুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আমার কাছে খুবই ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মেট্রোরেল ভ্রমণের কাহিনী গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম সেসব অনুভূতিগুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
খুবই সুন্দর তো আপনি মেট্রোরেল চড়লেন। আপনি তাহলে আপনার ভাইয়ের সাথে খুবই ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। তার সাথে খুবই ভালো ঘুরাঘুরি করেছেন তাহলে। আপনার অনুভূতির সেই বিষয়টা আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। সম্পূর্ণটা খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন বলতে হচ্ছে।
আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার মেট্রোরেল ভ্রমণ এর প্রথম পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।ভাইয়ের সাথে বেশ সুন্দর সময় করিয়েছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমাদের দেশ ডিজিটালের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে। আপনিও যে মেট্রোরেলে উঠতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। কারণ অনেকের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে পারেনি। তবে আপনি যে সেই সৌভাগ্য অর্জন করেছেন জেনে খুশি হলাম।
হ্যাঁ ভাই আমাদের দেশ ডিজিটাল এর দিকে আরও একটা ধাপ এগিয়ে গেল। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।