একটি কোম্পানি তে সিভি দিতে যাওয়ার অনুভূতি।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালোই আছি। তো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটি কোম্পানিতে চাকরীর জন্য সিভি দিতে যাওয়ার অনুভূতি। এই সার্কুলার দেখেছিলাম কিছু দিন আগেই। তো আমি আর আমার বন্ধু মিলে সেখানে যাই। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি।
কিছুদিন আগে আমাদের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দের একটা মেসেঞ্জার গ্রুপে একটা সার্কুলার দিলো। যেখানে দেখলা ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নিবে ৬০ জন এর মতন। আমিও ভাবলাম যেহেতু চাকরী একটা দরকার তাই সিভি দিয়ে আসবো। হঠাৎ একদিন আমার এক বন্ধু আমান আমাকে বললো যে যাবো কিনা। তাকে বললাম যাওয়া তো দরকার । অনেক লোক নিবে। আমারো চাকরীর খুব দরকার। স্টিমিট এর আয় দিয়ে হচ্ছেনা। খুব কষ্ট হচ্ছে। চাকরীতে ঢুকলে অনেক ভালো হবে। তাই ওকে বললাম যাবো। যেহেতু আমার আগে থেকেই প্ল্যান ছিলো সিভি দিয়ে আসার। ২ দিন যাবো ঠিক করেও আর যাওয়া হয়নি। মাঝে তো আমি গ্রামে যাই নানুর সাথে। গ্রাম থেকে যেদিন আসলাম ভাবলাম সেদিনই দিতে যাবো। আর সেদিনই ছিলো জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। আমি ঢাকা পৌছে আমার বন্ধু কে কল করে জানাই। ও বলে ঠিক আছে তুই আয় আমিও প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি বাসায় এসে ফ্রেশ হয়েই প্রস্তুতি নিয়ে এক দৌড় মারলাম।
বাসা থেকে বের হওয়ার আগেই সামনের দিকে একটি দোকানে সিভি মেইল করে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম যেনো সেখানে যেয়ে সোজা প্রিন্ট করতে পারি। সময় যেনো কম অপচয় হয়। তো সেই দোকানে যথারীতি সিভি প্রিন্ট করে নিয়ে খামে ভরে বাস স্ট্যান্ড এর দিকে যাত্রা শুরু করলাম। ইতিমধ্যে আমার বন্ধু এসে অপেক্ষা করছে আমার জন্য। আমার দেড়ি হতোনা গ্রাম থেকে ঢাকায় আসতে লেগেছে ৩.৫ ঘন্টা। অথচ ঢাকার জ্যাম এ পড়ে বাসায় আসতে আরো লেগেছে ৩ ঘন্টা। এবার বুঝেন কি একটা অবস্থা। কি আর করা এটাতেই আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তো আমি একটু জোরে হেঁটে চলে গেলাম। বেশি জোরেও হাঁটতে পারছিলাম না কারণ সেই চাঁদপুর থেকে ঢাকা এসে না জিরিয়েই আবার সিভি দিতে বার হয়েছি। আমান এর সাথে দেখা হলো। তারপর কোন বাস এ যাবো এটা ভাবছিলাম। দুইদিক দিয়ে যাওয়া যায়। আব্বুর কাছ থেকে একদিক দিয়ে যাওয়ার কথা শুনে এসেছিলাম। আমান অন্যদিক দিয়ে যাওয়ার কথা বলতেছে। তখন আমি ফোন বের করে গুগল ম্যাপ এ দেখলাম কোন দিক দিয়ে কাছে। তারপর বাসে চরে রওনা দিলাম।
বনানি আসার পর জ্যাম এর জন্য বাস থেকে নেমে গেলাম। তারপর হাঁটা শুরু করলাম। বনানির ভিতর দিয়ে হাঁটা শুরু করেছিলাম। রাস্তা ফাকাই ছিলো। রিকশা কে জিজ্ঞেস করেছিলাম একটু সামনেই বলে ৪০ টাকা। তাও যেখানে যাবো সেখানে না। তাই রাগ করে হেঁটেই চলা শুরু করলাম। গল্প করতে করতে হাঁটছিলাম তাই ভালোই লাগছিলো। আর ভালো লাগবেই না বা কেনো। এতো সুন্দর যায়গা যে। আমি হাঁটতে হাঁটতে ছবি তুলছিলাম আর সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। ভিতরে গাড়ি চলাচল মোটামোটি থাকলেও মানুষ এর চলাচল খুবই কম ছিলো। একদম নিস্তব্দ এক এলাকা মনে হবে সেখানে গেলে। তো রিকশা যেখান পর্যন্ত চলে সেখানে চলে আসলাম। দূরত্ব দেখে আমি অবাক। মাত্র এইটুক রাস্তা রিকশাওয়ালা ৪০ টাকা চাইলো। যেখানে ২০ টাকাই বেশ মনে হয়। অবশ্য ঐ এলাকার বড়লোক মানুষ সব এসব দেখেনা তারা। হেঁটে এসে ভালোই হয়েছে।
এভাবে ২০ মিনিট এর মতন হাঁটতে হাঁটতে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌছে গেলাম। আসলে গুগল ম্যাপ অনেক সহজ করে দিয়েছে আমাদের। নাহলে মানুষ কে জিজ্ঞেস করতে করতে অনেক সময় লেগে যেতো। অথচ গুগল ম্যাপ এ দেখে দেখে অনেক সহজেই গন্তব্য বের করে ফেলা যায়। আমরা সে অফিস এ নিচ তালায় সিভি রাখলাম। তাদের কাছ থেকে জানলাম আরো অনেকেই সিভি রেখে গেছে আমাদের মতন। তারপর আমরা সেখানে কিছু ছবি তুলে বাসার দিকে রওনা দিলাম। বাসায় এসে আমি একটু রেস্ট নিতে পেরেছিলাম। খুব দুর্বল লাগছিলো।
তো এই ছিলো আজকে। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হলো জানাবেন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গুগল ম্যাপ আজকাল বেশ উপকারে আসছে। অচেনা কোন জায়গায় গেলে খুব সহজেই রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায়। আগেকার সময় মানুষ ঠিকানা নিয়ে নিয়ে একে অন্যকে জিজ্ঞাসা করতো কোথায় সেই ঠিকানা। তবে সময়ের সাথে সাথে সব কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। যাই হোক ভাইয়া আপনি যেহেতু হেঁটে গিয়েছেন এতটা পথ তাইতো আপনার বেশ দুর্বল লেগেছে। সিভি যেহেতু জমা দিয়েছেন তাই দোয়া করি আপনার চাকরিটা যেন হয়ে যায়। আসলে আমাদের বাস্তব জীবনের চলার পথটা বড়ই কঠিন। হয়তো অল্প আয় দিয়ে এই জীবনটা চালানো কঠিন হয়ে যায়।
হুম আপু। একদম ঠিক বলেছেন। গুগল ম্যাপ আসলেই খুব উপকারী একটি এপ। আগে কোথাও গেলে অবস্থা খারাপ হয়ে যেতো। বিশেষ করে আমার মত বোকা মানুষ দের জন্য। অথচ সেসব জিনিশ এখন কতটা সোজা হয়ে গেছে।
আর বলিয়েন না,ঢাকা শহরে বের অনেক সময় লোকেশন না চিনার কারনে রিক্সাওয়ালারা সুযোগ নেন।সে দিন কাঁঠালবাগানের ঐখানে গিয়েছিলাম লোকেশন না চিনার কারনে রিক্সা ঠিক করলাম,ও মা পরে দেখি ২ মিনিটের মাথায় চলে আসলাম😂।না চিনলে এমনই হয়।আর হ্যা আসলেই গুগল ম্যাপের জন্য অনেক কিছু সহজ হয়ে গিয়েছে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো। ধন্যবাদ
হ আপু। আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এইটুকু রাস্টা যেখানে ২০ টাকাই বেশি হয়ে যায় সেখানে ৪০ টাকা চায় শুধু মাত্র আমরা চিনিনা দেখে।
গুগল ম্যাপের কারণে এখন মানুষ হারিয়ে গেলেও নিজের গন্তব্য ঠিক বের করে ফেলতে পারে। এটি আসলে আমাদের জন্য যে কত উপকারী তা বলে বোঝানো যাবে না। রিক্সাওয়ালা মামাদের কথার কি বলবো ভাইয়া, একদিন একটা অচেনা জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল। চিনি না বলে রিক্সাওয়ালার কাছে উঠেছি, ওই বেটা আমাকে তিন রাস্তা ঘুরিয়ে ঐখানে নিয়ে গেল ।কিন্তু আসার সময় অন্য পথে ৫ মিনিটে হেঁটে চলে আসতে পেরেছি😳। দোয়া করি ভাইয়া যেন আপনার চাকরিটা হয়ে যায়।
একদম ঠিক। এখন মানুষ হারিয়ে গেলেও গন্তব্য ঠিক বের করে ফেলতে পারে। সত্যি এটি আমাদের জন্য অনেক উপকারী।
এইতো ভাই জীবনের আসল যুদ্ধে নেমে পড়েছেন। কপাল ভালো থাকলে দ্রুতই হয়ে যাবে না হয় সিভি দিতে দিতে নিজের কাছেই একসময় অসহনীয় লাগবে। আশাকরি এই চাকরি টা আপনার হয়েছে যাবে। ঢাকার মধ্যে এই যানজট সমস্যার কোনো সমাধান নাই। একেবারে অতিষ্ট করে দেয়।।
নারে ভাই কপাল আর ভালো কি করে । অনেকদিন ধরে ঘুরতেছি চাকরীর জন্য। ব্যবস্থাই হয়না।
হুম ভাই। জ্যাম এর কারণে আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়।