শীতে বাবার বাড়ি আসা
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব শীতে বাবার বাড়িতে ঘুরতে আসার মজার অনুভূতি । এবার অবশ্য স্কুল বন্ধের পরে বেড়াতে যেতে পারিনি । বাসায় অনেক ঝামেলা ছিল যার কারণে বাসা থেকে বের হওয়া হয়নি । তারপর আবার আম্মার শরীরটা বেশি ভালো না ভেবেছিলাম আম্মা আসবে আম্মাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে হবে । আরো অনেক কাজ রয়েছে সেজন্য । আম্মা আসবে বলে আমরা আর ছুটিতে আসিনি । কিন্তু অনেকদিন অপেক্ষা করার পর দেখলাম যে আম্মা আসলো না এবং আমরাও কোথাও বের হলাম না । তখন আর বাসায় বসে থাকতে ইচ্ছা করছিল না ।
এদিকে স্কুল খুলে গিয়েছে আর এই শীতের সময় কোন কাজ কাম কিছুই করতে ভালো লাগে না । কোথা দিয়ে যে সময়টা চলে যায় সেটা টের পাই না । ইদানিং কাজকামে একটু ঢিল দেওয়া হয়েছে কারণ সবসময় তো কাজকামের ভেতর দিয়েই থাকা হয় । এজন্য ছুটির সময়টা একটু ছুটি কাটানোর চেষ্টা করছি । আস্তে আস্তে কাজ করার চেষ্টা করছি । খুব শিগগিরই আবার রেগুলার হয়ে যাবো ভাবছি । কারণ এখানে কাজ না করলে ভালো লাগেনা । এদিকে ছেলের স্কুল খুলে গিয়েছে কিন্তু কিছুতেই বাসায় মন টিকছে না তাই স্কুল খোলার পরও ভাবলাম যে বাসা থেকে একটু বেরিয়ে আসি । কারণ এই শীতের সময়টা নিজের বাবার বাড়িতে না আসলে যেন ভালই লাগে না ।
এদিকে তানিয়া ওর ছেলেদের স্কুল নিয়ে অতিরিক্ত ব্যস্ত হয়ে পড়েছে । যদিও তানিয়া ওর শ্বশুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে এজন্য আর ও এবার কোথাও যাবে না বলে রাখল । কি আর করার আমি একাই আসার সিদ্ধান্ত নিলাম । এদিকে বিয়ের একটা দাওয়াত ছিল কিন্তু ছেলের বাবা সেই বিয়েতে যেতে রাজি হল না কারণ দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বিয়ে । তখন কি আর করার যাওয়া হবে না ভেবে আমি আর আমার ছেলে দুজনে মিলে ভাবলাম আমরা সপ্তাহখানেক এর জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে আসবো এবং আম্মাকে নিয়ে চলে আসবো ।
ছেলের স্কুল খুলল একদিন স্কুল করে পরের দিন ব্যাগ গুছিয়ে রওনা দিয়ে দিলাম বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে । আমার হাজব্যান্ড আমাদেরকে বাসে উঠিয়ে দিয়ে এসেছে । ছেলে যদিও বাবাকে রেখে আসতে চাচ্ছিল না বাসে ওঠার পরে খুব কান্নাকাটি করছিল । কিন্তু কিছুদিন আসার পরে আবার ঠিক হয়ে গিয়েছে । ওই বাসা থেকে বারবার বলছিল নানু বাড়িতে যাব এজন্য গাড়ি চলার কিছুক্ষণ পরে ও আবার স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল । আমরা বাসে ওঠার দুই ঘন্টার ভিতরে ফরিদপুরে এসে পৌঁছে গেলাম । প্রথমে ভেবেছিলাম আম্মাকে বলবো না বাসায় এসে সারপ্রাইজ দিব । কিন্তু তো আর হলো না আগে থেকেই বলে এসেছিলাম । বাস থেকে নেমে আমরা একটা অটো নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম । বাসে ওঠে শীতের ভিতরে বসে ছিলাম এ কারণে খুব একটা ছবি তোলা হয়নি । তারপরও মাঝেমধ্যে দুই একটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।যদিও তেমন একটা তোলা হয়নি তারপরও তুললাম ।দেখতে দেখতে আমাদের বেড়ানো শেষ হয়ে যাবে এবং আমরাও দু'একদিনের ভিতরে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিব।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শীতকালটা আসলেই একটু ঢিলেমির সময় কোন দিক দিয়ে যে সময় চলে যায় সেটা বোঝা বড়ই মুশকিল। মাঝে মাঝে এরকম ট্যুর দেওয়া ভালো। সব সময় বাসাতেই বসে থাকলে একঘেয়েমি লেগে যায়। যাই হোক আশা করছি সপ্তাহখানেক আপনার বাবার বাসায় খুব ইনজয় করবেন। শুভকামনা রইল আপু।
বেশ ভালোই করলেন আপু বাবার বাড়ি থেকে ঘুরে আসছেন। শীতের দিনে ঘোরাঘুরির মজায় আলাদা। শীতের দিনে ঘুরতে ভালো লাগে গরম লাগে না অস্থিরতা আসে না। বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘুরতে হয়। আর চারপাশে দৃশ্য গুলো খুব সুন্দর ভাবে ক্যাপচার করে শেয়ার করলেন। আপনার আজকের ব্লগটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।
বাবার বাড়ির সব সময় আসা যায়। যেখানে শীত বর্ষা কোন কিছু দেখাদেখি নেই। যাই হোক আপনি মায়ার টানে ছুটে এসেছেন যেন ভালো লাগলো। বাচ্চারা এমনটা একটু করবেই। বাবার জন্য খেলার সাথীদের জন্য মন খারাপ করতে পারে কিন্তু কয়েকদিন পর দেখা যাচ্ছে ঠিক হয়ে যাবে। যা হোক আর একটা ভালো লাগলো সুন্দরভাবে বাসে উঠে বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার বিস্তারিত জানতে পেরে।
বাবার বাড়িতে এই শীতে না গেলে আসলে ভালো লাগে না। মা কে দেখার জন্য মন ভীষণ ছটফট করে।আপু আপনি আর ছেলে বাবার বাড়িতে চলে গেলেন।দুএকদিন বেড়িয়ে মাকে নিয়ে ঢাকা এসে ডাক্তার দেখাবেন।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। আশাকরি সব ব্যস্ততা কাটিয়ে আমাদের মাঝে আবার অ্যাক্টিভ হয়ে যাবেন।অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।
শীতের সময় বাবার বাড়িতে আসার সুন্দর অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এই পোষ্টের মাঝে গাড়ির মধ্য থেকে ধারণ করা বেশ কিছু চিত্র দেখিয়েছেন আপনি। অনেক কিছু জানার সুযোগ পেয়েছি আপনার এই সুন্দর পোস্ট থেকে। আপনার হাসবেন্ড সাথে আসলে হয়তো আরও বেশি আনন্দিত থাকতো আপনার বাবুটা।