এক আত্মীয়ের বাসায় দাওয়াত খেতে যাওয়ার অনুভূতি।।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবার আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি অনুভূতিমূলক ব্লগ শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি মনযোগ সহকারে সবাই পড়বেন।
আমার এক বড় ভাইয়া ঢাকা সাইনবোর্ড এক মাদ্রাসায় আট বছর ধরে চাকরি করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভাদুঘর মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস তথা টাইটেল পাস করেছেন। আদবের উপরে ডিগ্রি নিয়েছেন। তিনি এখানে মাদ্রাসাতে চাকরিরত অবস্থায় বিবাহ করেছেন। কিন্তু তিনি এতদিন তার ফ্যামিলি ঢাকাতে আনেন নি। গত কয়েক মাস হয়েছে তিনি ঢাকাতে নতুন বাসা নিয়ে ফ্যামিলি নিয়ে এসেছেন। বর্তমানে উনার একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে রয়েছে। ভাই এবং আপু আমাদেরকে অনেকদিন ধরে দাওয়াত দিয়ে তাদের বাসায় যাওয়ার জন্য বলতেছে।
কিন্তু আমার অফিসের ব্যস্ততার জন্য ভাইয়ার বাসায় যাওয়া হয়না। তাছাড়া শুক্রবারেও আমার মেডিকেলের কোচিং থাকার কারণে অবসর সময় পাইনা। কিন্তু গতকাল আপু এবং ভাইয়া আমাদের দুইজনকে তাদের বাসায় যাওয়ার জন্য খুবই রিকুয়েস্ট করতেছে। যার ফলে চিন্তা করলাম আজকে তাদের বাসায় যাওয়া যাক।
আজকে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে আমি যাত্রাবাড়ী কোচিং এ চলে গেলাম। সেখানে দুইটি ক্লাস করেই আমি কোচিং সেন্টার থেকে বের হয়ে গেলাম। তার কারণ হলো আজকে আমাদের প্রাকটিক্যাল ক্লাস হয়নি। তারপর আমি সোজা বাসায় চলে আসলাম। যদিও বাসায় আসার সময় রাস্তার মধ্যে কিছুটা জ্যামে আটকে গেছিলাম, তারপরেও তেমন সময় লাগেনি। বাসায় এসে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে আমি আর আমার ওয়াইফ সাইনবোর্ডের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হই। আমরা বাসার সামনে থেকে একটি অটো নিয়ে ভুইগড় নামক স্টেশনে চলে যাই।
সেখানে গিয়ে আমরা কিছু ফল ফ্রুট আর বাচ্চাদের জন্য কিছু চকলেট চিপস নিয়ে নিলাম। তারপর সেখান থেকে একটি রিকশা করে সোজা ভাইয়ার বাসার সামনে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি ভাই এবং আপু আমাদের জন্য অপেক্ষা করতেছে। বাচ্চারা আমাদেরকে দেখে অনেক খুশি হয়েছে। দুইটার সময় আমাদের সামনে খাবার চলে আসলো। ভাইয়া আর আপু আমাদের জন্য অনেক প্রকারের খাবারের আয়োজন করেছেন।
আইটেমগুলোর মধ্যে রয়েছে টাকি মাছের ভর্তা, সবজি, কারফু মাছ ভুনা,ডিম ভুনা, দেশি মুরগি ভুনা, ডাউলের চচ্চড়ি আর রয়েছে আমার সবথেকে প্রিয় জিনিস দুই প্রকারের সালাদ। তাছাড়া আরো দুইটি আইটেম তারা করতে চেয়েছিল কিন্তু তাদের বাসায় গ্যাসের প্রবলেম থাকার কারণে সেটা করতে পারেনি। যাইহোক আমাদের রিজিকে যতটুকু ছিল ততটুকু আমরা খেতে পেরেছি। খাবারের স্বাদ অতুলনীয় ছিল, বিশেষ করে সবজি আর ডাউলের চচ্চড়িটা খুবই সুস্বাদু হয়েছে। যার ফলে এই দুইটা আইটেম আমি দুইবার করে নিয়েছিলাম।
তারপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ফল ফ্রুট কেটে দিলো, সেগুলো খেতে খেতে আসরের আযান দিয়ে দিলো। আমি আর ভাইয়া নামাজ পড়তে মসজিদে চলে গেলাম। নামাজ পড়ে এসে দেখি আপু চানাচুর, ছোলা বুট আর পিয়াইজু দিয়ে খুবই সুস্বাদু ঝালমুড়ি বানিয়েছে। তারপর আবার ঝালমুড়ি খেলাম। সেগুলো খেতে খেতে মাগরিবের আজান দিয়ে দিলো। তারপর আবার আমি আর ভাইয়া মাগরিবের নামাজ পড়তে মসজিদে চলে গেলাম। নামাজ পড়ে এসে বাসায় আসার জন্য রওয়ানা দিলাম, কিন্তু ভাইয়া ও আপু আমাদেরকে আসতে দিবেনা, তারা খুবই রিকুয়েস্ট করতেছে আজকের রাত্রটি তাদের বাসায় থাকতে। কিন্তু আমার জরুরী ভিত্তিতে কিছু কাজ থাকার কারণে আমি মাগরিবের পরে চলে আসলাম। আজকে দিনটা খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম হয়েছে। তবে খাওয়া দাওয়াও খুব ভালো হয়েছে।
বন্ধুরা আজকে আর বাড়াবো না। এখানেই আপানাদের কাছ থেকে বিদায় নিবো। আবার আগামীকাল অন্য কোন বিষয় নিয়ে হাজির হবো। ততক্ষন পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি-53 |
শিরোনাম | এক আত্মীয়ের বাসায় দাওয়াত খেতে যাওয়ার অনুভূতি।। |
স্থান | সাইনবোর্ড,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৯ / ১২ /২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এক বড় ভাইয়ার বাসায় বেশ ভালোই খাওয়া-দাওয়া করলেন দুজন মিলে। চুলায় গ্যাসের সমস্যা অনেক জায়গায়ই আছে।তারপরেও তাদের আয়োজন বেশ ভালো লেগেছে।সবাই আনন্দ নিয়ে বেশকিছু সময় কাটিয়েছেন। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
জী আপু দাওয়াতে খুব মজা করেই ভুড়ি ভোজন করলাম। ধন্যবাদ।
জী আপু ভাইয়া আরো দুইটি আইটেম করতে চেয়েছিল,কিন্তুু গ্যাসের সমস্যার কারনে পারেনি। ধন্যবাদ।
আত্মীয়ের বাসায় দাওয়াত খেতে যাওয়ার দারুণ অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভাইজান। যেখানে বাজার থেকে কিছুটা কেনাকাটা করেছেন, সেখানে উপস্থিত হয়েছেন, সুন্দর আলাপ-আলোচনা খাওয়া-দাওয়া সব মিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো বিস্তারিত জানতে পেরে।
জী ভাইয়া এক পোষ্টেই বিস্তারিত সব বর্ণনা করে ফেলেছি। ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া আমাদের বাসা থেকে বেশি দুরে না। ধন্যবাদ।
ঢাকা শহরে জ্যাম এটা একদমই স্বাভাবিক একটি বিষয়। সবসময়ই এরকম ঘটতে থাকে তারপরও যে দেরি হয়নি সেটাই ভালো। অবশেষে বড় ভাইয়ের বাসায় গেলেন এবং সেখানে ভালোই খাওয়া দাওয়া করলেন। সত্যি বলতে এ ধরনের আবদার গুলো না রাখলে নিজের কাছেও খারাপ লাগে। তাই মাঝে মাঝে অ্যাটেন্ড করতে হয় এ ধরনের দাওয়াতে। বিশেষ কাজ থাকার কারণে মাগরিবের পরে চলে আসছেন, তবে কাজ না থাকলে তো অবশ্যই থাকতে পারতেন ভাইয়ের বাসায়। আর আপনার আপু অনেক ভালোই আয়োজন করেছেন আপনাদের জন্য। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া এত ভাবে রিকুয়েষ্ট করছে,তাই না গিয়ে পারলাম না। ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া ঢাকার জানজট কখনো শেষ হবে না। দিন যত যায় জানজট ততই বাড়ে। ধন্যবাদ।
আপনি চাকরির পাশাপাশি ছুটির দিন কোচিং করার জন্যই আপনার সময় বের করা কষ্টকর হয়ে যায়। তারপরও কোচিং এর পার্টিক্যাল না থাকার কারণে সময় বের করে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যেতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। অনেক কিছু খেয়েছেন আত্মীয়ের বাসায় দেখছি। অনেকদিন পর সবাই মিলে এরকম আড্ডা দিলে ভালোই লাগে। ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত দেখে।
জী আপু চাকরি করে,অন্য কাজের জন্য সময় বের করা কঠিন। ধন্যবাদ।
জী আপু শুক্রবার ছাড়া আমি কোথাও যেতে পারি না। ধন্যবাদ।