যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
আজ - বুধবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে যেখানে আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চাই মহান একুশে ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমাদের বিদ্যালয়ে উদযাপিত বিশেষ মুহূর্ত। তাই চলুন আর দেরি না করে এখনি আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করে দেয়।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
গতকাল ছিল মহান একুশে ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আর এই দিনটিকে উদযাপন করার জন্য আমাদের বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী তারা নিজের মতো করে তৈরি হয়ে এসেছিল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে সাতটার সময়। যেহেতু আমরা তাদেরকে বলে রেখেছিলাম স্কুলে উপস্থিত হয়ে প্রথমে এসেম্বলি ক্লাস এরপর শুরু হবে আমাদের কাঙ্খিত শোভাযাত্রা । ছাত্র-ছাত্রীরা যে যার মতো করে সুন্দর করে সে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করার জন্য বিভিন্ন কার্ড তৈরি করে এনেছিল কেউ আবার ছাপিয়ে এনেছিল অনেক কার্ড। দিনটিকে উদযাপন করার জন্য অনেক ছাত্র-ছাত্রী ফুল এনেছিল অনেকেই কপালে বেধে এসেছিল মহান একুশে ফেব্রুয়ারি অমর হোক লেখা ফিতা। আমি প্রথমে মনে করেছিলাম হয়তো এত ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে উপস্থিত হবে না তবে আমি যখন স্কুলে পৌছালাম তার পূর্বে দেখে অনেক ছাত্র-ছাত্রী এসে উপস্থিত। সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীর সুন্দর ভাবে ড্রেস পড়ে এসেছিল অর্থাৎ ফরমাল ড্রেজপরে এসেছিল তাই বেশ ভালো লাগছিল দেখতে। একে অপরের সাথে সুন্দর সোহাদ্যপূর্ণ আচরণ ও কথাবাত্রা মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করার চেষ্টা করলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
বিদ্যালয়ের ম্যাডামরা সকল ছাত্র-ছাত্রীদের বুকে কালো সিট লাগিয়ে দিয়েছিল। কারণ আমরা জানি এই দিনে সকলের বুকের বাম পাশে কালো সিট এর চিহ্ন রাখতে হয় এবং বিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখতে হয় কারণ এই দিন আমাদের মাতৃভাষাকে রক্ষা করার জন্য অনেক বাংলার বীর সন্তান নিজের তাজা প্রান রাজপথের ঢেলে দিয়েছিল স্বৈরাশ শাসক সরকারের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মাতৃভাষার দাবীতে রাজপথে নেমে। তাই আমরা তাদের শরণার্থী সম্মানার্থে এই দিনটাকে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করে থাকি। আর এই নিয়ম শৃঙ্খলা মান্য করায় তার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের পূর্ব দিক থেকে বলে রেখেছিলাম এই দিনটাতে আমার কিভাবে উদযাপন করবো আর তোমার কিভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। দিনটাকে সুন্দরভাবে উদযাপন করার জন্য আমরা বিদ্যালয়ে একটি মিটিং করেছিলাম। শিক্ষক মন্ডলের মধ্য থেকে একটি মিটিং করেছিলাম এসেম্বলি ক্লাস, র্যালির সাথে চিত্র অংক রচনা ও কবিতা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করার জন্য। চিত্র অংকন রচনা ও কবিতা প্রতিযোগিতায় যারা ফাস্ট ও সেকেন্ড হবে তাদের পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছিলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
প্রতিদিনের ন্যায় প্রথমে এসেম্বলি ক্লাস হল। প্রধান শিক্ষক বক্তব্য রাখলেন মহান একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে। আমি সমস্ত ছেলে মেয়েদের একুশের কার্ডগুলো উঁচু করে রাখতে বললাম ফটো উঠানোর জন্য। এরপরে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে যে ব্যানার্জি তৈরি করে এনেছিলাম তা ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে ধরিয়ে দিলাম। ছাত্র-ছাত্রীদের ভালোভাবে সাজিয়ে নিলাম এবং বুঝিয়ে বললাম কিভাবে রেলি করতে হবে। আর প্রত্যেকজন শিক্ষকদেরকে বলা হলো তারা নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করবে যেন রেলি ঠিক থাকে। সুন্দর কিছু নিয়ম শৃঙ্খলা এবং স্লোগান শিখিয়ে দেওয়া হলো সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে। কিছুটা সময় ধরে প্র্যাকটিস করে নিলাম যেন তারা ঠিকভাবে বলতে পারে। আপনারা অনেকেই জানেন আমাদের জান্নাতুল ম্যাডাম স্কুল ছেড়ে চলে গেছেন এবং তার পরিবর্ত নতুন একজন পুরুষ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শিক্ষকের নাম রানা। উনি আমার পূর্ব পরিচিত একজন মানুষ। উনি খুব সুন্দরভাবে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সাজিয়েছিলেন কিভাবে আমাদের চলতে হবে। যাই হোক আমি জান্নাতুল ম্যাডামকে খুব মিস করছিলাম। তাই মনের মধ্যে কিছুটা খারাপ লাগার অনুভব করছিল। তারপরে সকলের সাথে মানিয়ে নিয়ে আজকের এই দিনটা যেন সুন্দরভাবে উদযাপন করা হয় সেই চেষ্টা করেছিলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
এরপর আমি নিজ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম গেটের মুখে দাঁড়ানোর এবং দুই পাশ দিয়ে যেন দুইটা র্যালি বের হয়ে যায়। যেহেতু অনলাইন অর্থাৎ facebook ও youtube এ ফটো ও ভিডিও আপলোড করতে হয় আমাদের অর্থাৎ আমি আর মোস্তাফিজুরের দায়িত্ব অনলাইন সংক্রান্ত কাজ তাই আমাদের বিশেষ কোনো দায়িত্ব দেয়া ছিল না নিজ থেকে গ্রহণ করে নিতে হয় সমস্ত কিছুর মধ্য থেকে। আমি আর মুস্তাফিজুল ব্যস্ত ছিলাম এই সমস্ত বিষয়গুলোতে এবং যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল শৃঙ্খলা কমিটির তাদের কাজ পরিচালনা করেছিলাম। আমরা স্কুল থেকে দুইটা লাইন রাস্তার উপরে নিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে দাড় করে দিলাম এবং সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের আলাপ করে দিলাম এটা হাইরোড তাই আমাদের খুব সাবধানে চলতে হবে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে। ছাত্র-ছাত্রীরা একুশে ফেব্রুয়ারির ব্যানার্জি হাতে রাখল এবং নিজ নিজ দায়িত্ব মতো অবস্থান করল সঠিক নিয়ম মেনে। আমি সামনে থেকে তাদের জন্য ফটোগ্রাফি আর ভিডিও শুরু করলাম। হয়তো ভিডিওটি আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারতাম কিন্তু সেখানে একুশের গান বাজলো যার জন্য কপিরাইট হতে পারে তাই আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারলাম না ভিডিওটি। ৮ মিনিটের একটা ভিডিও করা হয়েছিল দুই কিলো পথ অতিক্রম করা হয়েছিল রালিটার। আর তার মধ্য থেকে একটু একটু করে ভিডিও করে দেখেছিলাম বিশেষ বিশেষ স্থানে। যাইহোক তার মধ্য থেকে আরো অনেক ফটোগ্রাফি রয়েছে যা আমি পুনরায় আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/7) Get profit votes with @tipU :)
দিনটিকে আমরা খুবই দারুণভাবে উদযাপন করেছিলাম। আসলেই একটু বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয় আমাদেরকে। তারপরও যে সকল বিষয়গুলো আমি এবং আপনি দারুন ভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি এর জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে লাখো শুকরিয়া।
কিছু করার নেই আমরা তো ফাঁকি দিতে পারি না কারণ সচেতন বিবেক রয়েছে আমাদের
মামা আপনি এবং মুস্তাফিজুর রহমান আপনাদের স্কুলে ছোট বাচ্চা ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার মধ্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছেন। আসলে আমাদের সবার উচিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সম্মান প্রদর্শন করা। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে দায়িত্ব পালন করে দিনটি সুন্দর ভাবে উদযাপন করার জন্য।
একদম মনের কথা বলেছ মামা
অনেক ভাল একটি উদ্যোগ নিয়েছেন আপনারা।এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আমাদের ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানতে পারবে আরো ভালভাবে।ধন্যবাদ সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ তাদের মাঝে ইতিহাস তুলে ধরা আমাদের একান্ত দায়িত্ব