গাছ লাগান,প্রাণ বাঁচান!Go Green!
![]() |
---|
জ্ঞান হবার পর থেকে নিজের বাড়িতে গাছপালা পরিবেষ্ঠিত হয়ে বেড়ে ওঠা।
ফুল, ফল আরো কত রকমের গাছ বাড়িতে ছিল, বলে শেষ করা যাবে না!
কারণ প্রকৃতি নিজের ইচ্ছেমতো অনেক রকমের শাক পাতা সহ আয়ুর্বেদিক গুণাগুণ সম্পন্ন ঔষধি গাছ এমনিতেই জন্ম নিত।
তাই এই সীমিত পরিসরে থাকার অভ্যেস আমার শৈশব থেকে ছিল না।
আর ঠিক সেই কারণে আধুনিক হলেও, ফ্ল্যাটের বদ্ধ পরিসরে বসবাস আমার ভীষণ রকম অপছন্দের তালিকাভুক্ত!
এখন যেখানে এই ফ্ল্যাটে সীমিত পরিসরে আমাদের চলা ফেরা করতে হয়, শরীরচর্চা করতে হয়, বাড়ির ক্ষেত্রে যে খোলা পরিবেশ ছিল সেটা আজ বিলুপ্তির পথে বিশেষ করে শহরে।
বর্তমানে সকলে ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে গাছ নামিয়ে নিচ্ছেন, আমি যে ফ্ল্যাটে থাকি সেখানে কোনো ব্যালকনি নেই, তাই ইচ্ছে থাকলেও গাছ রাখার কোনো ব্যবস্থা এই ফ্ল্যাটে নেই।
তবুও এক প্রকার জোর করেই নিচের ফ্ল্যাটের মহিলা আমাকে কয়েকটি গাছ দিয়েছেন।
![]() |
---|
এরমধ্যে রয়েছে ঘৃতকুমারী গাছ, জোয়ান গাছ আর কারি পাতা গাছ।
আমার দুটি শয়ন কক্ষের একটির এক প্রান্তে জায়গা করে, তাদের রেখেছি।
বাড়িতে গাছ সাধারণত টবে রাখার প্রয়োজন হয় না, তবে ফ্ল্যাটে নিরুপায়।
খানিক সবুজ তবুও গৃহে প্রবেশ করেছে এটা খানিক মন ভালো রাখার রসদ সরবরাহ করছে;
ওই প্রবাদের মতন নাই মামার চাইতে, কানা মামা ভাল!
এবার শুরু হলো অনলাইন থেকে গাছ খোঁজার পালা! দেখলাম শয়ন কক্ষে পিস লিলি রাখা যায়, তাই কিনে ফেললাম।
![]() |
---|
আমাজন থেকে কিনলাম কারণ, গাছটি যে ঘরে আমরা রাতে ঘুমাই সেখানে রাখা সম্ভব, এবং এই গাছ ঘরের আবহাওয়া বিশুদ্ধকরণ এ সহায়ক।
শৈশব থেকে গেছো মেয়ে নামে পরিচিত কাউকে যখন কেউ কয়েকটি গাছ দিয়ে উস্কে দিয়ে যায়, তখন মাথায় আর কিছু কাজ করে না!
ঠিক সেই কারণে মনে হলো দেখা যাক ঘরের মধ্যে রাখা যায় এমন গাছের খোঁজ করা যাক, আর সেখান থেকেই এই গাছটি সম্পর্কে বিশদ বিবরণ জানতে পারলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
আমার ঘরের নতুন সদস্য |
---|
প্রকৃতির ভারসাম্য যেখানে নড়বড়ে, সেখানে দাঁড়িয়ে একটু সবুজের ছোঁয়া তাও এই নির্জীব কুঠুরির মধ্যে যেনো একটা অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে।
ব্যস্ত শহরের কোলাহলের মাঝে, ধুলো ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে যেখানে পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইড ভরে দিচ্ছে, সেখানে একটু বিশুদ্ধ বাতাস পেতে কে না চায়?
যারা বাস্তু শাস্ত্রে বিশ্বাসী তারাও এই গাছটি ঘরের অভ্যন্তরে রাখতে পারেন, যদিও আমার গাছটি কেনার উদ্দেশ্য ঘরের বায়ুর বিশুদ্ধতা বৃদ্ধি।
সত্যি বলতে যেহেতু আমি ফল খেতে ভীষণ ভালবাসি যদি নিজের বাড়ি থাকতো, অনেক পছন্দের গাছ সেখানে রাখতাম তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আজকের গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর সময় আমাদের সকলের উচিত সবুজের উপস্থিতি বৃদ্ধি করা।
স্কুলে পড়বার সময় আমাদের শিক্ষিকারা আমাদের দিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে গাছ লাগাতে বলতেন, সেই সময় ক্লাস হচ্ছে না এই মজায় দিন কাটলেও আজকের দিনে বুঝতে পারি সেই সময় কেনো তারা এই কাজগুলো আমাদের দিয়ে করিয়েছিলেন।
আজকে এই ছোট্ট পরিসরে কয়েকটি গাছ রাখতে পেরে মনে হচ্ছে, হয়তো নিজের পাশাপশি আমিও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছি।
এখন ঘরে আমি একলা আছি এই অনুভূতিটা কাজ করছে না, কারণ গাছের প্রাণ আছে আর তার সাথে মনের কথা এখন থেকে ভাগ করে নিতে পারবো।
মানুষের মতো অনুভূতি বিক্রি করে এরা ধনী হবার প্রয়াস করবে না, এরা আমার নিঃস্বার্থ এবং একান্ত আপন বন্ধু।
যার থেকে বাঁচার রসদ হিসেবে অক্সিজেন পাবো, সাথে নিজের দেওয়া কার্বন ডাই অক্সাইড সে সাদরে গ্রহন করবে সাথে জমা রাখা মনের কথা!


আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এত সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
আপনার পোস্টটি খুবই প্রেরণাদায়ক, শহরের কোলাহলে সবুজের অভাব বোধ হয়, এটা সত্য কথা, কিন্তু আমরা শহরের মানুষ যদি একটু সচেতন হই, তাহলে প্রকৃতি কিছুটা হলেও আবার নতুন জীবন পাবে!
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো! প্রকৃতির প্রতি আপনার ভালোবাসা এবং সচেতনতা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক আমাদের জন্য। গাছের উপস্থিতিতে যেমন আমাদের মনকে শান্তি এনে দেয়, ও আমরা মানুষ যখন এটি গুরুত্ব দিবো, তখন প্রকৃতিও আমাদের জন্য আরো সুন্দর হয়ে উঠবে।
আমাজন থেকে আপনি যে গাছটি কিনেছেন এই গাছটির বিশেষ গুণ দেখে অনেক ভালো লাগলো। প্রতিটা গাছেরে নিজস্ব কোন গুণ থাকে,গাছ শুধু পরিবেশের জন্যই নয়, আমাদের মন ও আত্মার জন্যও উপকারী। এত সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আপনার জন্য সময় শুভকামনা রইল দিদি।
বর্তমান সময়ে বিল্ডিং আর চার দেওয়ালের মাঝে এবং ইন্টারনেট দুনিয়ায় ডুবে থেকে যেন সবুজ গাজপালা থেকে বহু দূর চলে যাচ্ছি। যেখানেই একটু ফাকা জায়গা, বাগান দেখায় যায় কিছু দিন পর দেখা যায় সেখানে গাছপালা কেটে ভবণ তোলার প্রতিযোগিতা চলতে। প্রকৃতি যে কিভাবে বাচবে, আমাদের অক্সিজেন কোথা থেকে আসবে কেউ এটা ভাবে না৷
ছেট বেলায় স্কুলগুলেোতে আমাদের দিয়ে পরিবেশ রক্ষায় নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করা হতো। আজকে স্কুল গুলো থেকে সেটাও হারিয়ে গিয়েছে।
দিদি, আপনে ঠিকই বলেছেন আমাদের বিল্ডিং গুলো এখন এমন ভাবে তৈরি করা হয় ইচ্ছা থাকলেও যেন, গাছ লাগানো সম্ভব না। আমাদেরকে যারা ভালো রাখে, তাদেরকে আমরা পাশে রাখি না এটাই আমাদের দোষ।
আপনার রুমের নতুন সদস্য পিস লিলি গাছটি আমার কাছে নতুন নামটাও আওনার পোষ্ট থেকেই জানতে ও দেখতে পারলাম। অনেক ভালো লাগল পোষ্টটা পরে৷ ভালো থাকবেন দিদি সুস্থ থাকবেন। এভাবেই নিজের শখগুলে আগলে রাখুন। 🥰🙏🙏
আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। শহরের কোলাহলে যেখানে সবুজের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে, সেখানে আপনার মতো উদ্যমী মানুষের কাছ থেকে এমন সুন্দর চিন্তা দেখে মনে হলো, প্রকৃতির প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আরও বাড়ানো উচিত। গাছগুলোর প্রতি আপনার এই ভালোবাসা এবং তাদের সাথে সম্পর্কিত অনুভূতি অনেক গভীর এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। সবুজে ঘেরা পরিবেশ শুধু শরীরের জন্যই নয়, মনও শান্ত রাখে। বাস্তু শাস্ত্রের দৃষ্টিতেও গাছের গুরুত্ব অনস্বীকার্য, তবে আপনার মতো একজনের গাছ প্রেমে দৃষ্টিভঙ্গি আরও মনের মতো এবং মানবিক। আপনার এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় একটা ছোটো হলেও বড় পদক্ষেপ নেয়া হলো, যা আমাদের সবাইকে অনুসরণ করা উচিত।পরিশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।ভালো থাকবেন দিদি