প্রত্যাশা
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
৬ই ফেব্রুয়ারি, বৃহঃস্পতিবার ।
হ্যালো ইনক্রেটেবল ইন্ডিয়াবাসী। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
প্রত্যাশা
আচ্ছা কখনো কি আপনি ভেবে দেখেছেন মানুষ কখন বেশি দুঃখ পায়? কোন কিছু হারালে, কোন কিছুর অপ্রাপ্তিতে কিংবা হৃদয়ের কোন শূন্যস্থান। অনেক সময় পাওয়া না পাওয়ার দরকার কোষাঘষি হিসেবে হেরে গেলেও মানুষ কষ্ট পায় না কিন্তু একই বিষয়ে যদি তার অগাধ প্রত্যাশা থেকে তখনই ওই মানুষটা কষ্ট পায়।
অর্থাৎ আপনি যদি কোন কিছু পাওয়ার আশা করেন সেটি আপনার হওয়ার প্রত্যাশা থাকে তখন সেটি যদি আপনি না পেয়ে থাকেন তখনই মনের মধ্যে একটা দুঃখের অনুভব সৃষ্টি হয়। যেমন ধরুন আপনি কোন একটা মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করলেন বিনিময়ে তার কাছ থেকে আপনি কোন কিছুই প্রত্যাশা করেননি, ওই মানুষটা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলেও আপনার কোন কিছুই যায় আসে না।
তবে ওই একই মানুষকে যদি আপনি প্রত্যাশা করেন আপনার বিপদেও সে পাশে থাকবে কিন্তু যখন আপনার প্রত্যাশাটা ভেঙে যায় তখনই আপনি কষ্ট পান। জীবনে চলার পথে সুখী হতে হলে অন্য কারো প্রতি অধীর প্রত্যাশী হওয়া যাবে না, কেননা কোন কিছুই এই পৃথিবীতে স্থায়ী নয়, ক্ষণস্থায়ী এই পৃথিবীতে কারো কাছ থেকে অতিরিক্ত প্রত্যাশা করলে সেইটাই মনের মধ্যে একটা দুঃখ একটা বেদনার অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে যদি না সেটা আপনার প্রত্যাশার মত আপনার কাছে ফিরে না আসে।
এই সমাজে আপনি ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে ভালোবাসাই পাবেন এমন কোন নিশ্চয়তা নেই, বেশিরভাগ সময়ে ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে ঘৃণা, সাহায্যের প্রতিদান হিসেবে তিরস্কার, কিংবা সম্পর্কের প্রতিদানে বেইমানি ইত্যাদি যে কোন কিছুই ঘটে যেতে পারে আপনার এই প্রত্যাশিত জীবনে।
তাই মানব জীবনের যে মূল্যবান সময়টুকু নিয়ে আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি সম্পূর্ণটাই নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে উৎসর্গ করতে হবে, বিনিময়ে আপনি ভালবাসার, শ্রদ্ধা, কিংবা তার কোন প্রতিদান পাবেন এই প্রত্যাশা যদি মনের মধ্যে বাসা বাঁধে তাহলে হতেও পারে আপনার মনের মধ্যে একটা অশান্তির সৃষ্টি হবে, কেননা যে কোন সময় আপনার প্রতিদান আপনার কর্মের বিপরীত হয়ে যেতে পারে।
অতিরিক্ত প্রত্যাশা মানুষের জীবনে কষ্ট নিয়ে আসতে পারে, করে মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা এবং হতাশার সৃষ্টি হয়। প্রত্যেকটা প্রত্যাশা মানুষ নিজের উপর এবং অপরের উপর একটা অদৃশ্য বল প্রয়োগের চেষ্টা করে, এতে করে অপর মানুষের সাথে সম্পর্কের বেশ একটা ভালো দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে যায়।
এই সংসার জীবনে নিজেকে সুখে রাখতে হলে প্রত্যাশা কন্ট্রোল করতে হবে, প্রত্যাশা এবং ইমোশন এই দুটো কন্ট্রোল করতে পারলে একজন মানুষের জীবনে উপকৃত সুখ আসা সম্ভব। অতিরিক্ত প্রত্যাশা বর্জন করতে পারলে একজন মানুষ তার জীবন উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে পারে এবং এভাবেই একজন সুখী এবং সফল মানুষ হতে পারে।


আপনার পোস্টটি সত্যিই খুব প্রেরণাদায়ক। প্রত্যাশার গুরুত্ব এবং তা নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে আপনি খুব সুন্দরভাবে নিজের চিন্তাগুলো প্রকাশ করেছেন। অতিরিক্ত প্রত্যাশা না রাখলে জীবনে শান্তি আসা সম্ভব। আশা করি সবাই এই মনের কথা থেকে কিছু শিখতে পারবে। এত সুন্দর একটা বিষয় বস্তু নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোষ্টের সারাংশ বুঝায় সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
বর্তমান সময়ে এই প্রত্যাশা নিয়ে অনেকবার মন খারাপ হয়েছে আসলে আমার কাছে মনে হয় কখনো প্রত্যাশা করা ঠিক না কারো কাছে যখন আমরা প্রত্যাশা করি তখন তারা আমাদের আশা ভেঙ্গে দিয়ে আমাদের নিরাশ করে দেয়।
যায় কিনা বলে আমাদের পাশে থাকবে দিনশেষে তাদের দেখা পাওয়াটা অনেক বেশি মুশকিল হয়ে যায় প্রত্যাশা ছেড়ে দিয়ে আমরা যদি আমাদের পরিশ্রমটাকে মূল্যায়ন করি অন্ততপক্ষে দিন শেষে কিছু হলেও পাব আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রত্যাশা নিয়ে আপনার মনের অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
কিন্তু কিছু করার নেই মানুষ হিসাবে আমাদের অন্য মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, শুধুমাত্র প্রত্যাশাটুকু না রাখলেই নিজেকে সুখী মানুষ হিসেবে পরিচয় দেয়া যায়।
খুব সুন্দরভাবে নিজের অনুভূতিগুলো শেয়ার করেছেন। সত্যিই, জীবনে সুখী হতে হলে প্রত্যাশাকে নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদের প্রতি অতিরিক্ত প্রত্যাশা মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা আমাদের সম্পর্ক ও মনোভাবকে প্রভাবিত করে। আপনার লেখায় যে দৃষ্টিভঙ্গি দেখানো হয়েছে, তা অনেককেই অনুপ্রাণিত করবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য, আপনার জন্য শুভকামনা রইল।