জন্মদিন উদযাপন
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
৫ই জানুয়ারি, রবিবার।
হ্যালো ইনক্রেটেবল ইন্ডিয়াবাসী। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
.jpg)
সব বন্ধুরা বসে আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম, ফ্রেন্ডের গোডাউনে আমরা প্রায় সময় সন্ধ্যার পর আড্ডা দিয়ে থাকি। যেহেতু নতুন বাইক কিনেছি মাঝে মাঝেই রাতের বেলা হুটহাট করে কোথাও যাওয়া হয়ে ওঠে। কখনো নিজের ইচ্ছেতেই যেতে হয় কখনো বা অন্যজনের জন্য যেতে হয়। বন্ধুরা ঘুরতে যেতে চাইলে আসলে না করার মত অবস্থা থাকে না। মোটামুটি আমাদের তখন তিনটা বাইক ছিল একসাথে যদিও যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না কিন্তু আরেক বন্ধু যাবে তাই আমার বাইকটাও প্রয়োজন। প্রথমে কথা ছিল আমরা ৩০০ ফিট গিয়ে দেখাবো।
আমাদের সাথে আরও কয়েকটা ফ্রেন্ড যুক্ত হল ওরাও গাড়ি নিয়ে এসেছে, হঠাৎ অপেক্ষা করতে করতে শুনতে পেলাম যাদের জন্য অপেক্ষা করছি তারা কেক কিনতে গেছে। তারপর বুঝতে পারলাম আমাদের সাথে যে গ্রুপটা আসছে তাদের একজনের জন্মদিন। আমাদের বন্ধু আবার বড় ভাই ও বলা যায়, একটু রেসপেক্ট দিয়ে তাদের থেকে একটু আলাদাই থাকি আমরা, ভাইয়ের জন্মদিন আমরা শুনে খানিকটা ইতস্ত বোধ করি কারণ আমরা পূর্বে জানতাম না।
যাইহোক কেক কেনা এবং বাকি সবার জন্য প্রায় ৩০ মিনিট বাবদ আমাদের অপেক্ষা করতে হয়, এর মধ্যে মোটামুটি একে একে সবাই চলে আসে। এরপর সব বন্ধুরা আমরা আমাদের এলাকা থেকে রওনা শুরু হতাম। ৩০০ ফিট আমাদের এখান থেকে খুবই কাছে এবং এটা খুবই পপুলার একটা জায়গা বাংলাদেশের ঢাকার মধ্যে। বেশ খানিকটা রাইট করার পর অনেক ফাঁকা রাস্তা এবং অন্ধকার বেশ ভালই লাগে রাতের বেলা এই রোডগুলো দিয়ে ড্রাইভ করতে।
এরকম খালি জায়গায়ও জায়গায় জায়গায় রেস্টুরেন্ট এবং অনেকগুলো দোকান মেলা একটা রমরমাট ব্যাপার, এখানে সবাই প্রাইভেট কার মোটরসাইকেল এগুলো নিয়েই আসে, অটো রিক্সাও দেখা যায় সবাই এখানে আড্ডা দিতে একটু অবসর সময় কাটাতে এদিকে আসে। এখানে আমাদের এক ফ্রেন্ডের পরিচিত রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে পূর্বেই সব ডেকোরেট করা ছিল।
যাইহোক আমরা মোট ৫টা বাইকে ১১ জন ছিলাম, ট্রিপল করা একদমই ঠিক নয় তবে কি আর করার, যথা সময় আমরা আমাদের গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে পারলাম, এবং সেখানে বসে কিছুক্ষণ জন্মদিনের গান বাজানো হল সেই সাথে কেক কাটা এবং সবাইকে এক খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারপর আমরা এখান থেকে বের হয়ে আরো অনেকটা ভিতরে চলে গেলাম, পরবর্তীতে যেই জায়গায় গিয়েছি সেখানে আমি কখনো যাইনি কারণ এতটা ভিতরে আগে কখনো যাওয়া হয়নি।
যাই হোক হালকা পাতলা খাওয়া-দাওয়া এবং চায়ের আড্ডা বেশ ভালোই জমে ছিল আমাদের, নতুন জায়গায় এরকম শীতের কনকনে রাত চা খেতে বেশ ভালোই লাগছিল, যাই হোক বড় ভাইরা আরো অনেক রাত করবে তাই আমি আমার বন্ধুদেরকে একটু তাড়া দিলাম, তারাও চলে যেতে রাজি হল সবাইকে বিদায় জানিয়ে আমরা রাত এগারোটার সময় ওইখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম, এরকম ছোট ছোট আয়োজনে সব বন্ধুরা একসাথে হওয়া এবং নতুন একটা জায়গায় চমৎকার একটা চা খাওয়া দিন তাই মধুর হয়ে গেল।
এত সুন্দর একটি আনন্দ মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য প্রথমেই জানাই ধন্যবাদ। আপনার পোস্টটি পরে জানতে পারলাম আপনার এক বন্ধুর জন্মদিন ছিল, ভাইয়াকে সারপ্রাইজ এই আয়োজন আপনারা করেছেন। আপনাদের বন্ধু বান্ধবের ভালোবাসা দেখে অনেক ভালই লাগলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
হ্যাঁ হঠাৎ করে এরকম একটা আয়োজন করা হয়েছে, বন্ধু বান্ধবের সাথে এরকম ছোট ছোট স্মৃতিগুলো ভালই লাগে, আপনার মন্তব্য দেখেও খুব ভালো লাগলো আপনার অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার টুইটারের প্রমোশনাল লিংক