The March contest #1 by sduttaskitchen|Children are replicas of the almighty.
![]() |
---|
প্রতিটা শিশুর মধ্যেই আমি মনে করি স্রষ্টার বসবাস রয়েছে। কেননা শিশুর এমন কিছু কার্যকলাপ থাকে যেটা দেখে আমরা মুগ্ধ হয়ে যাই। তারা আমাদের সাথে এমন কিছু আচরণ করে, যেটা আমাদেরকে আবারো মনে করিয়ে দেয় এই পৃথিবীতে স্রষ্টা আছে এবং তিনি সবকিছু দেখছেন। আজকের প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তুটা ঠিক এইরকম। ইনশাল্লাহ অবশ্যই প্রতিযোগিতার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করব। তার আগে অবশ্যই আমাদের ম্যাম কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। যিনি কিনা এত সুন্দর বিষয়বস্তু নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন।
@rasel72 @jahidul21, @hafizur46n
প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে, অবশ্যই আমি আমার তিনজন বন্ধুকে এখানে আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আপনারা এখানে অংশগ্রহণ করুন এবং আপনাদের মনের অনুভূতি শেয়ার করুন।
অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি শিশুদের মধ্যে সৃষ্টিকর্তার প্রতিরূপ কিছুটা রয়েছে। তবে সবটা নয়! এর কিছু কারণ আমি আপনাদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করব। কেন আমি বিশ্বাস করি। আমার বড় ছেলে যখন ছোট ছিল তখন আমার সাথে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছিল। যেটা আমাকে এখনো তাড়া করে বেড়াচ্ছেন। ঘটনাটা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন, কেন আমি বিশ্বাস করি শিশুদের মধ্যে সৃষ্টিকর্তার প্রতি রুপ রয়েছে।
আমি একদিন সকালবেলা কাজ করছিলাম। কিন্তু আমার কাজ করার আগ্রহটা খুব কম ছিল। তারপর আমার ছেলে হঠাৎ করে আমাকে বলে উঠলো তুমি যদি এই কাজটা সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে না পারো, তাহলে সামনে তোমার বিপদ আছে। কথাটা আমি অতটা গায়ে লাগাইনি। আমার মনে হচ্ছিল আমার ছেলে আমার সাথে মজা করছে। কিন্তু পরবর্তীতে যখন ঘটনাটা সত্যি হলো তখন আমার মনে হয়েছিল, ছেলের কথা অনুযায়ী আমার কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করা উচিত ছিল। তাহলে আর এত বড় বিপদের সম্মুখীন আমাকে করতে হতো না।
![]() |
---|
ওখান থেকেই আমি বিশ্বাস করি যে, অবশ্যই বাচ্চাদের মধ্যে সৃষ্টিকর্তার কিছুটা প্রতিরূপ রয়েছে। কারণ তারা মাঝে মাঝে এমন কিছু কথা বলে, যেটা সত্যি হয়ে যায় আবার এমন কিছু আচরণের মাধ্যমে, আমাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করে। আমাদের সামনে বিপদের সংকেত আছে।
Lessons that elder must teach their children. |
---|
প্রতিটা মানুষের অবশ্যই তার সন্তানদেরকে কিছুতো শেখানো উচিত। যাতে করে তারা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনটাকে অবশ্যই সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে পারে। তবে তাদেরকে সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি বর্তমান অবস্থান এবং ভবিষ্যতে তারা কি কি করবে, এই বিষয়গুলো অবশ্যই শেখানো উচিত। এতে করে দেখা যায় তার অভিভাবক তার বাবা-মা তার পাশে না থাকলেও। তারা কিন্তু তাদের সমস্যাগুলো সামলে নিতে পারে এবং সঠিকভাবে এই পৃথিবীতে বসবাস করতে পারে।
বড়দেরকে সম্মান করা।
অবশ্যই নারীদেরকে সম্মান করা।
অবশ্যই নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে। যাতে তারা সব সময় সত্য কথা বলে, বড়দেরকে সম্মান করে ছোটদেরকে স্নেহ মায়া মমতা করে এবং বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ। করে কারণ বিপদের সময় তারা যদি ধৈর্য ধারন না করে। তাহলে তারা কখনোই এই পৃথিবীতে সঠিক ভাবে টিকে থাকতে পারবে না।
সামাজিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা দিতে হবে। সমাজের মধ্যে চলাচল করতে গেলে বিভিন্ন মানুষের সাথে আমাদের চলতে হয়। তাই সমাজের প্রতিটা মানুষকে সম্মান করতে হবে। সবার সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। কোন মানুষ বিপদে পড়লে অবশ্যই তাকে সাহায্য করতে হবে। বন্ধুদের সাথে মিলেমিশে থাকতে হবে এবং চারপাশের পরিবেশটাকে অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এই শিক্ষাগুলো একটা শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।
বাস্তব জীবনে দক্ষ হয়ে ওঠার জন্য তাকে অবশ্যই টাকা-পয়সার দিক দিয়ে শিক্ষা দিতে হবে। তাকে অভাব শেখাতে হবে। কারণ আপনি যদি আপনার শিশুকে অভাব না শেখান। তাহলে সে ভবিষ্যৎ জীবনে শুধুমাত্র খরচ করবে কখনো সঞ্চয় করবেনা। অভাবের সময় সে তার সময়টাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারবে না। তার জীবনের সমস্যাগুলো কিভাবে সে নিজে নিজে সমাধান করতে পারবে, সেই বিষয়ে তাকে সঠিক শিক্ষা দিতে হবে।
![]() |
---|
- সর্বশেষে আমি বলব অবশ্যই ধর্মীয় শিক্ষা। একটা শিশুর মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষা থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। তাহলে দেখা যাবে সে তার ধর্মের প্রতি অনুগত থাকবে। প্রতিনিয়ত ধর্মীয়ভাবে চলাচল করার চেষ্টা করতে পারবে এবং স্রষ্টার প্রতিকূলে থাকলে। সে নিজেও ভালো থাকবে এই পৃথিবীতে পরবর্তী জীবনেও ভালো থাকার চেষ্টা করতে পারবে। তাই ধর্মীয় শিক্ষা একটা শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Do you believe the home atmosphere is crucial for children's development?Explain your perspective on how it influences them. |
---|
বাড়িতে থাকলে শিশুরা নিজেদের মতো করে চলাফেরা করতে পারে। আসলে বাড়ির পরিবেশ শিশুদের বিকাশের ক্ষেত্রে কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে আমি মনে করি। কেননা বাহিরে থাকলে শিশুরা অনেক ধরনের মানুষের সাথে চলাচল করে, অনেক ভাষা তাদের সামনে প্রকাশিত হয়। তবে সবকিছু ভালো আবার সবকিছু খারাপ আমি কখনোই বলবো না। একটা শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য অবশ্যই বাহিরে পরিবেশ এবং বাড়ির পরিবেশ দুইটাই প্রয়োজন।
![]() |
---|
এক্ষেত্রে অবশ্যই আমি আপনাদেরকে ছোট্ট একটা ঘটনা শেয়ার করব। আমার মেজ ননদের ছেলেটাকে সে সব সময় বাড়িতে রাখতে পছন্দ করে। অর্থাৎ বাহিরের পরিবেশের সাথে সে তেমন একটা মিলতে দেয় না। যার কারণে বর্তমান সময়ে ছেলের অবস্থা তেমন একটা ভালো না। সে শুধুমাত্র বাড়ির মানুষের সাথে চলাফেরা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বর্তমান সময়ে তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হয়েছে। সে মাদ্রাসার কোন হুজুর কিংবা কোন ছাত্রের সাথে তেমন একটা কথা বলে না বা কারো সাথে খেলাধুলা করেন না। সবার সাথে মিলেমিশে থাকা এটা তার সহ্য হয় না।
একা থাকতে পছন্দ করে। কাউকে তার সাথে রাখতে পছন্দ করে না। এখন একটা মাদ্রাসার মধ্যে তো আর একটা ছাত্র পড়ানো হয় না, অনেক ছাত্র পড়ানো হয়। যার কারণে তারা অনেক বেশি সমস্যা হয়। এজন্যই তার মা আলাদা একটা বাসা নিয়ে তাকে নিয়ে সেখানে থাকে। তার পরেও দিনের বেলা তার অনেক সমস্যা হয়। সে সব ছাত্রের সাথে একসাথে বসে পড়াশোনা করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে না। তার এই ঘটনা থেকে আমি যতটুকু বুঝলাম। অবশ্যই একটা বাচ্চার জন্য বাড়ির পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কিন্তু আপনাকে আপনার বাচ্চার সুন্দরভাবে মানসিক বিকাশের জন্য, বাড়ির পরিবেশ এবং বাহিরের পরিবেশ দুইটাই প্রয়োজন।
এতে করে দেখা যায় একটা বাচ্চা তার বাড়ির পরিবেশের সাথে যেমন নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। ঠিক তেমনি বাহিরের পরিবেশের সাথেও নিজেকে সুন্দর ভাবে মানিয়ে নিতে পারবে। অনেকেই মনে করেন যে শিশুরা বাড়িতে থাকলে হয়তো বা তারা ভালো থাকবে। তাদের মন মানসিকতা ভালো থাকবে। হ্যাঁ এটা ঠিক কিছু ক্ষেত্রে তাদের ভালো হবে। কিন্তু প্রতিটা ক্ষেত্রে তাদের ভালো হবে না। কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা ও রয়েছে। আমি আমার ননদের ছেলের এই স্বভাব গুলো দেখে কিছুটা হলেও বুঝতে পারছি। একটা বাচ্চার জন্য বাহিরের পরিবেশ এবং বাড়ির পরিবেশ দুইটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমি ঠিক জানিনা প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর আমি সঠিক ভাবে দিতে পেরেছি কিনা? তবে নিজের জায়গা থেকে দেয়ার চেষ্টা করেছি। যদি ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। এই কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।