Better Life With Steem || The Diary game || 19 February 2025 ||
![]() |
---|
আমি পারবো না আমাকে দিয়ে হবে না, আমি এই কাজ কখনোই করিনি। আদৌ কি পারবো? এই চিন্তা করা মানুষ গুলোই কিন্তু দিন শেষে সফলতা অর্জন করতে পারে। কোন কাজের প্রতি আপনি যখন আগ্রহ প্রকাশ করবেন। তখন সেই কাজের শেষে কি আছে সেটা দেখার চেষ্টা করুন, দেখবেন আপনার মুখের হাসিটা অনেক বেশি মূল্যবান হবে। বিশ্বাসের জায়গায় শুধুমাত্র তাকেই রাখা উচিত। যে মানুষটা বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে পারে। সবাই আপনার বিশ্বাসের মর্যাদা দিবে এমনটা কখনোই আশা করবেন না। কিছু মানুষ আপনার বিশ্বাস নিয়ে খেলতে শুরু করবে, বর্তমান পরিস্থিতি এমন হয়ে গেছে।
নিজের মনের কথা গোপন করার জন্য মনের মধ্যে একটা কবর খুড়ে ফেলুন। যাতে করে নিজের মনের কথা অন্য কারো কাছে প্রকাশ করতে না হয়, আর যদি প্রকাশ করতে হয় তাহলে একমাত্র আল্লাহ তাআলার কাছে প্রকাশ করুন। তাও সেটা তাহাজ্জুদ নামাজের সময়। দেখবেন আপনি একদিন দুইদিন তিনদিন আপনার মনের কথা সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রকাশ করবেন। তিনি নিশ্চয়ই আপনার সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। হয়তো বা তার সাহায্য পেতে আপনার কিছুটা সময় দেরি হবে। তবে তিনি যদি সাহায্য করা শুরু করে দেন, তাহলে আপনি আপনার জীবন এমন ভাবে পরিবর্তন করতে পারবেন। যেটা আপনি কখনো কল্পনাও করেননি।
![]() |
---|
ভোর পাঁচটার সময় ঘুম ভেঙে গেল, চারপাশে উঠে দেখি কোন মানুষের কোন শব্দ নেই। কুয়াশা টিপটিপ বৃষ্টির মতো পড়েই যাচ্ছে। বাহিরে গিয়ে অজু করে নিয়েছিলাম ঠান্ডার পরিমাণটা নেই বললেই চলে। তবে চারপাশে কুয়াশার কারণে কোন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এরপর ঘরে এসে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে নিয়েছিলাম। মনটা খুব খারাপ এত কষ্ট করে টাকা জমিয়ে, সেই টাকা দিয়ে যখন মুরগি কিনলাম সেখান থেকে মুরগি মারা গেল আরও একটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কি করব বুঝতে পারছিলাম না। নামাজ পড়ে শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি, আল্লাহ যেন বাকি গুলোকে ঠিক রাখে।
কোন কাজ করতে গেলে হতাশা আমাদেরকে ঘিরে ধরবে এটা আমি বিশ্বাস করি। তবে নিজের কষ্টের কিছু হারিয়ে গেলে অনেক বেশি কষ্ট লাগে। সেটা যারা হারিয়েছে তারাই বুঝতে পারে। তাই আমার কাছেও হয়তোবা এমনটা লাগছে। একটু পরেই দেখলাম ফজরের আজান দিল তারপর নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম নামাজের বিছানায়। তারপর ছেলেদেরকে ঘুম থেকে তুলে দিয়েছিলাম সকালে আরবি পড়তে যাওয়ার জন্য। ওরা নিজের মতো করে বেরিয়ে গিয়েছিল আমিও ওদের পেছনে গিয়ে, একটু এগিয়ে দিলাম। তারপর আরো কিছুক্ষণ বাইরে হাঁটাহাঁটি করলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
সবজি বাগানে গিয়ে অনেক বেশি খারাপ লাগছে। শশুর মশাই সবজি গুলো রোপন করেছিল, কত সুন্দরভাবে সবজিগুলো ধরে আছে মরিচ গাছে ফুল দেখা দিয়েছে। কিন্তু মানুষটা আজকে তিন দিন যাবত বিছানায় পড়ে আছে। তারপর বাহিরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে চলে আসলাম, ঘরে এসে সকালের জন্য সবার খাবার তৈরি করেছিলাম। আমি আবার সবজি বাগানে গেলাম কিছু সবজি নিয়ে আসার জন্য। পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি আমার শ্বশুরমশাই আমার সাথে, সবজি বাগানে। জিজ্ঞেস করলাম কেন গিয়েছেন বলল এগুলো একটু দেখতে এসেছি, ঘরে থাকতে আর ভালো লাগছে না।
![]() |
---|
![]() |
---|
তারপর গিয়ে দুপুরের রান্না বান্না জন্য সবকিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। এদিকে মা কল করেছিল ছোট মাছ পেয়েছে পুকুরে আমি যেন ছোট মাছগুলো নিয়ে আসি। আমি ছোট মাছ অনেক বেশি পছন্দ করি এটা মা জানে, কিন্তু এই মুহূর্তে যাওয়াটা সম্ভব না। তবে আমি আমাদের সদরে যাব আরো দুই তিনটা মুরগী নিয়ে আসব এবং কবুতর পালন করার জন্য জাল নিয়ে আসবো। তাই মা'কে বললাম সদরে আসার জন্য। রমজান আসছে ওনারা কিছু কেনাকাটা রয়েছে। মা বলল ঠিক আছে। আমি রান্নাবান্না সবকিছু রেডি করে রান্না করে নিয়েছিলাম। তারপরে বাড়িতে আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে, গোসল করে আমাদের সদরের উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলাম।
![]() |
---|
রাস্তার মধ্যে গাড়ি পাওয়া যায়না দুপুরবেলা এটা আরেক ঝামেলা। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর একটা গাড়ি পেয়েছিলাম। যাওয়ার সময় আমার শাশুড়ি আমার ননদের জন্য কিছু সবজি দিয়েছিল, আমার ননদ সদরে থাকে বাসা ভাড়া নিয়ে তার ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানোর জন্য। তারপর আমি যাওয়ার সময় ওকে সবজিগুলো দিয়ে আমি সদরে চলে গেলাম। গিয়ে দেখলাম মা আমার আগেই দাঁড়িয়ে আছে বাজারে একটা দোকানে। আসলে মা এমন একজন মানুষ সন্তানের সকল ইচ্ছা পূরণ করার জন্য পাগলের মত হয়ে যায়।
![]() |
---|
ব্যাগ হাতে নিয়ে আমাদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।
হঠাৎ করে মা আমাকে দেখে হাত নাড়াতে লাগলো আর বলতে লাগলো আমি এতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি। তোমাদের এত দেরি হল কেন? আমি মা'কে বুঝিয়ে বললাম আমাদের গাড়ি পেতে অনেক বেশি দেরি হয়ে গেছে! তাই আসতে অনেক বেশি লেট হয়ে গেল! মা আমাকে বলল সকাল থেকে কিছুই খাইনি খুব খিদে পেয়েছে! তখন আমার ছোট ছেলে বলে উঠলো আম্মু আমিও তো কিছু খাইনি! সকালবেলা ওকে সামান্য পরিমাণে ভাত খাইয়ে ছিলাম। তারপর আমি একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম! মা বলছে তেহেরি খাবে গরুর মাংস দিয়ে তৈরি করা, অনেকদিন থেকেই বলছিল আসলে সময়ের অভাবে ওই বাড়িতে যাওয়া হয় না মা'কে রান্না করে খাওয়ানো হয় না! তাই আজকে রেস্টুরেন্ট থেকে মাকে তেহেরি খাইয়ে দিলাম।
মা তেহেরি খাচ্ছিল আমি মায়ের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। এত পরিমাণে ভালো লাগা কাজ করছিল যেটা বলে আপনাদেরকে বোঝাতে পারবো না। তারপর আমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগলো। আসলে প্রতিটা জিনিস খুঁজে কেনার জন্য কিছুটা সময় তা অবশ্যই ব্যয় করতে হয়। তারপর আমি আরো চারটা মুরগী নিয়েছিলাম, এক হাজার টাকা দিয়ে। আগের গুলোর চাইতে এগুলো একটু বড় আশা করি আল্লাহ তায়ালা যদি সবকিছু ঠিকঠাক রাখে তাহলে এগুলো ভালো থাকবে।
![]() |
---|
আমার বাইনান্স ওয়ালেট থেকে নেয়া স্ক্রিনশট
এরপরে মা বলল উনার জন্য একটা মুরগি কিনে দিতে, তাই আমি ওনাকে একটা মুরগি কিনে দিয়েছিলাম, প্রথম রমজানের রান্না করবে সেজন্য। তারপর ওনাকে গাড়িতে তুলে দিয়ে আমি একটা রিকশা নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে দেখছি শশুরের অবস্থা আগের চাইতেও আরো বেশি খারাপ। জিজ্ঞেস করেছিলাম কিছু খাবে কিনা কিন্তু বলল কিছুই খাবে না, আমি এসে আসরের নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। এর পরে হাঁস মুরগি গুলোকে খাবার দিয়েছিলাম। যে মুরগিগুলো কিনে নিয়ে এসেছিলাম, সেগুলো কে ও ঔষধ খাইয়ে দিয়ে খাবার দিয়েছিলাম।
একটু পরেই দেখলাম মাগরিবের আজান দিল, নামাজ পড়ে ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসলাম। আসলে বিভিন্ন রকম চিন্তায় কোন কিছু ভালো লাগছে না, আরো কিছু টাকার প্রয়োজন যেহেতু কবুতর কিনব তাই বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু টাকা ম্যানেজ করেছিলাম। বিভিন্ন জায়গা বলতে অনলাইনে কিছু কাজ করেছিলাম সেগুলো থেকে কিছু টাকা ম্যানেজ করে রেখে দিয়েছি। আরও কিছু টাকা লাগবে ইনশাল্লাহ আরো কিছুদিন পরে সেগুলো ম্যানেজ করে, তারপর কবুতর নিয়ে আসবো সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যে উদ্যোগ নিয়েছি যেন আল্লাহ তায়ালা সবকিছু ঠিক রাখে। আমি সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে করতে পারি। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Congratulations, your post was upvoted by @supportive.
আপনার সারাদিনের কর্মকাণ্ড আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম আপনাদের বাগানের সবজি গাছগুলো আপনার শ্বশুর মশাই রোপন করেছিল। কিন্তু এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো যে আপনার শ্বশুরমশাই খুব অসুস্থ। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।
ভালো থাকবেন আপু আপনি। ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।
সৃষ্টিকর্তা কখন কার সাথে কি করবেন এটা আমরা কেউ জানিনা তবে আমাদেরকে অনেক বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে আসলে শ্বশুর মশাই অনেক কিছুই রোপন করেছে মাঝে মাঝে এখনো যখন সুস্থ হয় যেদিন সেদিন আবারো কাজ করার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে কিন্তু আমরা তাকে অনেক ভালোবাসি উনি এখন বর্তমান সময়ে অনেক বেশি অসুস্থ যার কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে আছে আমি চেষ্টা করি কিছুটা গুছিয়ে নেয়ার জন্য।