যখনই মনে হয় আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু ঠিকঠাক। তখনই কোথা থেকে একটা সমস্যা আবারো ঘিরে ধরে। প্রতিনিয়তই চেষ্টা করি সবকিছু সামলে নেয়ার জন্য, কিন্তু আমিও তো মানুষ সবকিছু সামলে নিয়ে আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তারপরেও চেষ্টা করি, কারণ আমার কাছে মনে হয় চেষ্টা করলে তার কোন একটা উপায় আমি অবশ্যই পাবো। বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখছি তল পেটের ব্যথার কারণে বড় ছেলের সঠিকভাবে ঘুমাতে পারে না। বেশ কয়েকবার গরম পানি এবং গ্রামে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। একটু ভালো হলে আবারো আগের অবস্থা। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। তাই আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাকে নিয়ে বড় ডাক্তারের কাছে যাব।
 |
 |
আমার কোথাও যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলে আগে সংসারের কাজগুলো শেষ করতে হয়। তারপরে কোথাও বের হতে হয়। আসলে সবার ক্ষেত্রে কি এমন হয়। যাইহোক যার যার সংসার তার তার সমস্যা এটাই স্বাভাবিক। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম মাথা ভর্তি টেনশন। মাঝে মাঝে চিন্তা করি সন্তান গুলোকে এই পৃথিবীতে নিয়ে এসেছি, তার পর থেকে শুধুমাত্র দায়িত্বটা কি একা আমার। যাইহোক এর উত্তর আমি আজ পর্যন্ত পাইনি। রান্না-বান্না শেষ করতেই এগারোটা বেজে গেল, এর পরে তাড়াতাড়ি করে ছেলেকে গোসল করালাম নিজে গোসল করে, ঘর থেকে বের হতেই বারোটা বেজে গেল। গাড়ির জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম।
দুপুর হয়ে যাওয়ার কারণে গাড়ি ও পাচ্ছিলাম না। দীর্ঘ প্রায় ৩৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর একটা সিএনজি পেয়ে গেলাম। এরপর সোজা চলে গেলাম সদরে, তারপর ওখানে গিয়ে হসপিটালে ঢুকে পড়লাম। সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম। যাইহোক অবশেষে আমার সিরিয়াল আসলো ডাক্তারের সাথে কথা বললাম এবং ছেলেকে দেখালাম। তিনি বললেন আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে হবে। তাহলে সমস্যাটা কোথায় তিনি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। এরপর আবার চলে গেলে অন্য আরেকটা জায়গায় ওখানে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর জন্য সিরিয়াল দিয়েছিলাম। সব জায়গায় সিরিয়াল দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে আমার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে গেছে, তার উপরে প্রচণ্ড গরম।
 |
 |
কিন্তু কিছুই করার ছিল না যাইহোক অবশেষে আল্ট্রাসনোগ্রাফি রুমের মধ্যে ছেলেকে নেয়া হলো। ওখানে নেয়ার পর তার কান্না শুরু হয়ে গেল, সে ভেবেছে তার সাথে কোন কিছু করবে তার কান্না দেখে ডাক্তার আমাকে ডেকে নিলেন। এরপরে আমি তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলাম। যাই হোক আলহামদুলিল্লাহ সঠিক ভাবে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করিয়ে ওকে রুম থেকে বের করলাম। এবার অপেক্ষা করতে হবে রিপোর্টের জন্য। এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর রিপোর্ট হাতে পেলাম। তারপর আবার ডাক্তারের কাছে গেলাম। ডাক্তার রিপোর্ট দেখে বললেন আলহামদুলিল্লাহ কোনো সমস্যা নেই, তবে ও পানি কম খাওয়ার কারণে ওরে। সমস্যাটা হচ্ছে আর ওর শরীরে ভিটামিনের পরিমাণটা অনেকটাই কম। যার কারণে তলপেট ব্যথা হচ্ছে। যাইহোক অবশেষে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ নিয়ে বাড়িতে ফিরতে অনেকটা সময় পার হয়ে গেল।
 |
 |
একটা টেনশনের মধ্যে ছিলাম কি হবে কি হতে চলেছে। যাই হোক আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া যে তেমন কোন সমস্যা নেই। আশা করি ঔষধ খেলে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। সবাই অবশ্যই ছেলের জন্য দোয়া করবেন। ওকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে আমি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এত পরিমাণে গরম তার উপরে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকা সত্যিই কষ্টকর। যাই হোক তারপরেও সঠিকভাবে বাড়িতে ফিরে আসতে পেরেছি এটাই হচ্ছে বড় কথা। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সর্ব প্রথম আল্লাহর কাছে প্রার্থনা রাখি আপনার ছেলে খুবই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। সন্তান অসুস্থ হলে মায়ের কি অবস্থা হয় এটা আমরা অনুভব করতে পারছি। তবে আপনার লেখা পড়ে এটাও বুঝতে পারলাম সব সমস্যার জন্য আপনাকে ছুটে বেড়াতে হয়। আসলে আমরা সবাই চাই সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে তবে সৃষ্টিকর্তা আমাদের পরীক্ষা নিয়ে থাকে কিছুই করার নেই দেখবেন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
সবকিছু সামনে নিয়ে আসলে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যেই তো জীবনের আসল মানে খুঁজে পাওয়া যায় তবে চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সব সমস্যার সমাধান আমরা করতে না পারলেও চেষ্টা আমাদের করতেই হবে আসলে পরীক্ষা দিতে দিতে মানুষ একটা সময় জীবনের আসল মানেটা খুঁজে পাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
বাড়িতে ছেলেমেয়ে শরীর অসুস্থ থাকলে মায়েদের একদমই ভালো লাগেনা। আপনি আপনার সংসারের সমস্ত কাজ ছেড়ে আপনার বড় ছেলেকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছেন। আসলে সন্তানদের ইস্যু হলে কখন তাকে সুস্থ করে তোলা যায়, সেই চিন্তায় আগে মাথায় ঘোরে। আপনি সংসারের সমস্ত কাজকর্ম সেরে ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। সমস্ত কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। যাইহোক আপনার ছেলে সুস্থতা কামনা করি খুব তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
একেবারে ঠিক বলেছেন সন্তান অসুস্থ হয়ে গেলে মায়ের মাথা ঠিক থাকে না কখন তাকে সুস্থ করে তুলবো এটা নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে ওঠে আমি আমার সংসারের কাজ ফেলে রেখে নয় বরঞ্চ সব কাজ সম্পন্ন করে তারপরে গিয়েছিলাম আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু ঠিকঠাক আছে জানতে পারি আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম দোয়া করবেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।