বন্ধুদের সাথে মেট্রোরেল ভ্রমণ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
|
---|
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি৷ আবারও চলে আসলাম আমার নতুন একটা পোষ্ট শেয়ার করার জন্য। গত পোষ্টে আপনাদের সাথে চাকরির পরিক্ষা নিয়ে আলোচনা করেছি, আজকে সেদিনেই মেট্রো রেল ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। সেটা নিয়ে আলোচনা করব।
সত্যি বলতে গত দেড় বছর ধরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে থাকলেও কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় নাই। কারণ, আসছি পড়াশুনা করতে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা হলেও সুযোগ হয় না৷ এডমিশন জীবনটা বদ্ধ জেলখানার মতো। হাজার স্বপ্ন বাসা বাধে কিন্তু পূরণে বাধা। তবে মাঝে মাঝে প্রয়োজনে অনেক জায়গায়ই যাওয়া হয়। এর মাধ্যমে যতটুকু চেনা যায় আর কি৷
১৫ তারিখ চাকরির পরিক্ষা দিয়ে বের হয়ে আমরা তিন বন্ধু সিদ্ধান্ত নিলাম এই সুযোগে মেট্রোরেল ঘুরে আসা যাক। পরিক্ষা হল থেকে বের হয়ে আমরা প্রথমে এয়ারপোর্ট বাস টার্মিনালে চলে গেলাম। এরপর সেখান থেকে বাসে করে চলে গেলাম ফার্মগেট। সেখান থেকে মূলত মেট্রোরেলে উঠব। বাস থেকে নেমে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে হেটে চলে গেলাম ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে। গিয়ে দেখি বিশাল বড় লাইন অনেকগুলো টিকিট কাটার। দুইটা লাইনে নিজে নিজে অটোমেটিক মেশিন থেকে টিকিট কাটা যাবে, অন্যটায় ম্যানুয়ালি মানে মানুষের কাছ থেকে কাটা যায়। আমি দায়িত্ব রত লোকের কাছ থেকে টিকিট কাটার জন্য লাইনে দাড়ালাম।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
বেশ কিছুটা সময় দাড়িয়ে থাকার পর টিকিট কাটা হলো। আসলে একুশের বই মেলা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে। সবাই মেট্রোরেল হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাবে যার জন্য এতো ভির। আমরাও যদিও মেট্রোরেল চলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। শেষ মেষ আমি তিনটা টিকিট কাটলাম। একটা টিকিটের মূল্য ছিল ২০ টাকা। মোট ৬০ টাকা দিয়ে টিকিটটা কেটে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() |
এরপর আমরা সিরি দিয়ে উপরে চলে গেলাম স্টেশনের মেইন লাইনের দিকে। আমি আবার সেদিন রোজা ছিলাম। স্টেশন থেকে একটা বিস্কুট খেয়ে রোজাটা ভাঙলাম। তখন সন্ধা হয়ে গিয়েছিল। এরপর কিছু ছবি তুললাম।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
এরপর আমরা মেট্রোতে উঠলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমরা যেদিকে যাব সেদিকের ট্রেনে না উঠে তার বিপরিত দিকের টাতে উঠে পরছিলাম। এক স্টেশন যাওয়ার পর বুঝতে পারি আমরা উল্টা দিকে যাচ্ছি। এরপর সেটা থেকে পরবর্তী স্টেশনে নেমে পরলাম। তারপর আবার আমাদের গন্তব্যের ট্রেনে উঠলাম। আমি এইবার দিয়ে দুইবার মেট্রোরেল ভ্রমণ করলাম তবুও ভুল হলো কি আর করার৷ আজকে মেট্রোতে এতো পরিমাণ ভীর ছিল যার ফলে ভিতর থেকে ছবি তুলতে পারি নাই। বই মেলার জন্য এতো পরিমাণ ভীর ছিল।
অল্প কিছু সময় পরই আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রো স্টেশন পৌছে যায়৷ আমাদের গন্তব্য ছিল ফার্মগেট থেকে ঢাকা। যদিও ভীরের কারণে মেট্রো ভ্রমণের অনুভূতি তেমন ভালো লাগে নাই৷ ভীর না থাকলে ভালো লাগত। এটাই ছিল মেট্রো রেল ভ্রমণের গল্প।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে। আপনাদের আজকের দিনটা ভালো কাটুক, এই প্রার্থনা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/DrawingBd1/status/1893245796159463588?t=TBPce4ZgyQuykt1140NAWw&s=19
দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। বন্ধুদের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্তে যেন একটু স্পেশালই হয়। আপনার পোস্টে করে জানতে পারলাম আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে মেট্রোরেল করে ঘুরতে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশে অবশ্য মেট্রোরেল কয়েক বছর আগেই চালু হয়েছে। কিন্তু আমার এখন এতে ওঠার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি। এ বছর আশা আছে মেট্রোরেলে উঠবো।
ভালো লাগলো পোস্টে পড়ে। ভালো থাকবেন দাদা আপনি।
ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য৷ ভালো থাকবেন।
বন্ধুরা মিলে মেট্রোরে ঘুরতে গিয়েছেন, অনেক বেশি আনন্দ করেছেন আমি গত বছর জানুয়ারি মাসে বেশ কয়েকবার উঠেছিলাম, এরপরে আর একবার গিয়েছিলাম আর যাওয়া হয়নি আমারও মেট্রোলে উঠতে বেশ ভালই লাগে, তবে এত বেশি ভিড় যে বিরক্ত লাগে।।
অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য।