'ঘড়ি দেখে সময় বসাই'(Project Work)
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজ একটু অন্য ধরনের বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আমি হাজির হয়েছি। আমার এই ছয় মাসের Steemit যাত্রায় আমি এই ধরনের কিছু আগে কখনো শেয়ার করিনি। তাই ভাবলাম আজ আপনাদের সাথে সেটাই শেয়ার করা যাক।
আমি আমার অনেক পোস্টেই আপনাদের জানিয়েছি আমি বর্তমানে ডি.এল.এড অর্থাৎ ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন এর একটা কোর্স করছি। আমাদের স্টেটে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের টিচার হওয়ার জন্য এই কোর্সটি করা আবশ্যক। এই কোর্সে আমাদের স্টুডেন্টদের সঠিকভাবে পড়ানোর জন্য বিভিন্ন রকমের কৌশল শেখানো হয়। আর সেই সাথে বেশ কিছু টিচিং লার্নিং মেটেরিয়ালস ব্যবহার করাও শেখানো হয়। টিচিং লার্নিং মেটেরিয়ালস অর্থাৎ বাচ্চাদের কোন পড়া বোঝানোর জন্য সহকারী উপকরণ, যেমন - চার্ট, মডেল, ছবি ইত্যাদি নানারকম জিনিস আমাদের তৈরি করতে হয়। তাতে বাচ্চাদের পড়ার প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং সেই সাথে তারা বিষয়বস্তুকে ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং মনে রাখতে পারে।
আগামী মাসে আমাদের মেইন টিচিং এক্সাম আছে। এখানে ইন্টার্নাল এবং এক্সটার্নাল এর জন্য আমাদের বেশ কিছু ছবি আঁকতে হয়। আজকে আমি আপনাদের সাথে বাচ্চাদের ঘড়ি দেখা শেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ অর্থাৎ একটি ঘড়ি আঁকার ধাপগুলো শেয়ার করব। যদিও আমি কিন্তু একেবারেই ভালো ছবি আঁকতে পারি না। আর ইন্টার্নালের খাতা খুব বেশি ভালোভাবে ম্যাডামরা চেকও করে না। তাই অদক্ষ হাতে খুব বেশি পরিশ্রম দিয়ে বা সময় অপচয় করে আমি সুন্দর করে ছবি আঁকতে চাইনি। কারণ অনেক সময় নিয়ে খুব সুন্দর করে আঁকার পরেও যখন ম্যাডামরা ভালোভাবে খাতা চেক করে না তখন খুব খারাপ লাগে। তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমি কোনরকম ভাবে একটা ঘড়ি এঁকেছি। চলুন আপনাদের সাথে তার ধাপ গুলো শেয়ার করি----
তার আগে বলে রাখি আমি যেহেতু ছবি আঁকি না, মানে ছবি আঁকার সাথে একেবারেই যুক্ত নই। তাই বাড়িতে ছবি আঁকার জন্য খুব বেশি নামিদামি উপকরণ থাকে না। আগে ভূগোলের ছবি আঁকার জন্য বেশ কিছু জিনিসপত্র ঘরেই ছিল, সেগুলো দিয়েই আজকে ছবিটা আঁকিয়ে ছিলাম।
ধাপ ১ :
প্রথমে পেন্সিল দিয়ে একটা বেশ বড় সাইজের গোল এঁকে নেব। তারপর তার চারদিক দিয়ে আরও একটা গোল এঁকে নেব। কম্পাসের সাহায্যে এত বড় গোল আঁকা যাবে না বলে আমি হাত দিয়েই আঁকিয়েছিলাম। আঁকার অভ্যাস যেহেতু নেই তাই খানিকটা আঁকাবাঁকা হয়ে গেছে।
ধাপ ২ :
এরপর ঘড়ির ওপর দিকে একটা অংশ আঁকিয়ে নিয়েছিলাম, সেই সাথে ঘড়িটাকে বাচ্চাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য চারিদিক দিয়ে ফুল ফুল করে দিয়েছিলাম।
ধাপ ৩:
এরপর ঘড়ি নিচের দিকে তিনটি ঝুলন্ত দন্ড এঁকে দিয়েছিলাম।
ধাপ ৪:
এরপর ঘড়িতে 1,2,3.... করে নাম্বার বসিয়ে দিয়েছিলাম।
ধাপ ৫:
তারপর ঘড়ির তিনটি কাঁটা অর্থাৎ ঘন্টার কাঁটা, মিনিটের কাঁটা ও সেকেন্ডের কাঁটা, এঁকে নিয়েছিলাম। তাহলেই বাচ্চাদের জন্য আমার ঘড়ি আঁকা কমপ্লিট হয়ে গেল।
ধাপ ৫:
এরপর এলো রং করার পালা। যেহেতু এই ছবিটি ছোট ক্লাসের বাচ্চাদের জন্য তাই আমি রংটা বাচ্চাদের উপযোগী করেছিলাম। প্রথমেই একটা কালো মার্কার দিয়ে আমি পুরো ঘড়িটাকে বর্ডার দিয়ে নিয়েছিলাম।
ধাপ ৬:
এরপর একটা স্কাই ব্লু কালারের স্কেচ পেন দিয়ে ঘড়ির চারিদিকের ফুল গুলোকে রং করে দিয়েছিলাম।।
ধাপ ৭:
এরপর ঘড়ির নিচের দন্ডগুলোকে কালো মার্কার পেন দিয়ে বর্ডার দিয়ে নিয়েছিলাম।
ধাপ ৮:
এরপর একটা হলুদ রং নিয়ে ঘড়ির চারিদিকে রং করে নিয়েছিলাম।
ধাপ ৯:
তারপর বাচ্চাদের কাছে আরো বেশি কালারফুল করার জন্য চারিদিকে আরও একটা বর্ডার দিয়ে নিয়েছিলাম।।
ধাপ ১০:
তারপর নিচে দণ্ডগুলোকে আরো বেশি কালারফুল করার জন্য একটা স্কাই ব্লু কালারের স্কেচ পেন নিয়ে সেগুলোকে রং করে দিয়েছিলাম।।
ধাপ ১১:
এরপর নাম্বার গুলোকে একটা মোটা মার্কার পেন দিয়ে লিখে নিয়েছিলাম।।
ধাপ ১২:
এরপর ঘড়ির কাঁটা গুলোকে রং করে নিয়েছিলাম।
ধাপ ১৩:
সবশেষে আর্ট পেপারের ওপরে মোটা মোটা করে প্রজেক্ট এর বিষয়টি লিখে নিয়েছিলাম।।
ফাইনাল লুক-----
এভাবেই আমি আমার ঘড়িটি এঁকে ছিলাম। আজ তাহলে এখানেই শেষ করলাম। আগামীকাল আবার অন্য কোন লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Thank you for upvoting my post
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
Thank you so much.
ঘড়ি দেখে কিন্তু আমরা আমাদের সময়টা নির্ধারণ করে থাকে আজকে আপনি আমাদের সাথে চমৎকার ভাবে ঘড়ি তৈরি করা এবং তার অংকন করার পদ্ধতিটা চমৎকার ভাবে শেয়ার করেছেন যেটা দেখতে সত্যিই অনেক বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার ঘড়ি তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।