একটি আদর্শ বিদ্যালয়ের চিত্র
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। তবে আজ আমি আপনাদের সঙ্গে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি সেটি পড়ার পরে আপনারা আরেকটু ভালো থাকবেন কারণ এমন আলোচনা হয়তো এর আগে আমরা খুব কমই করেছি।
আমরা সকলেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। এবং সেই প্রাথমিক বিদ্যালয় এর চিত্রটা আমাদের সকলেরই মনের মণিকোঠায় এত সুন্দরভাবে স্মৃতি হয়ে আছে যে, আমাদের প্রত্যেকেরই আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার কথা আলোচনা করলে তার স্মৃতি আমরা সহজেই নিজেদের ভাষায় প্রকাশ করতে পারি।
আজ তেমনই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলোচনা করব কিন্তু এ বিদ্যালয়টি আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অনেক অনেক গুনে আদর্শ ও এ বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রদান পদ্ধতি একেবারে ভিন্ন। যার জন্য এই বিদ্যালয়টির কথা আমি আপনাদের সঙ্গে আজ আলোচনা করছি।
বিদ্যালয়টি কৃষ্ণনগর থেকে কিছু দূরে মুড়াগাছা নামে একটি গ্রামে অবস্থিত। আর পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতোই এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাশয় তার অনবদ্য চিন্তাশক্তি ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে এই বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো একেবারে পাল্টে দিয়েছেন।
শিশুদের বিদ্যালয়ে পড়াশোনা ও নিয়মানুবর্তিতা পালনে উৎসাহিত করার জন্য তাদের মধ্যে থেকে প্রত্যেক মাসে বেছে নেওয়া শিশু সংসদের। তাদের কে কোন বিভাগে কাজ করবে তার ও উল্লেখ থাকে "শিশুর সংসদ"এর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, পরিবেশ মন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রী হিসাবে।
বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে সেই শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি করা হাতের কাজ দিয়ে। বিদ্যালয়ের প্রতিটি দেওয়াল এমনকি সিঁড়ি দিয়ে উপরে যাওয়ার যে দেওয়াল সেখানেও শিক্ষণীয় বিভিন্ন বিষয় রয়েছে যেমন ফুলের মধ্যে বারো মাসের নাম লিখে দেওয়া আছে যেটি প্রত্যেকটি শিশু সিড়ি দিয়ে উঠতে ও নামতে গিয়ে দেখবে এবং খুব সহজেই মাসের নামগুলি মনে রাখতে পারবে।
বিদ্যালয়ের সমগ্র পরিবেশ টি এতটাই সুন্দর যে বিদ্যালয়ের প্রবেশ মাত্রই সকলের মন ভালো হয়ে যাবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ শিক্ষার্থীরাও এই বিদ্যালয়ের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় সম্পূর্ণ যোগদান করেছে। ঔ
সেজন্যই বিদ্যালয়টি এতটা প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। সত্যি এমন বিদ্যালয়, বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে আদর্শ। এবং কারণ বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির এত খারাপ অবস্থা যে বলার কথা না বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাওয়াই প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেই ভালোবাসার আন্তরিকতার সম্পর্কের টান এখন আর নেই। তাই এমন অবস্থায় এত সুন্দর একটি বিদ্যালয় আমি দেখতে পেরে সত্যিই খুব আপ্লুত। বিদ্যালয়টির কথা শুনে ও ছবি দেখে আপনাদের কেমন লেগেছে জানাবেন।
আমরা যখন স্কুলে পড়তাম আর বর্তমান সময়ে স্কুলের দৃশ্য অনেকটাই পরিবর্তন আসলে মাঝে মাঝে যখন আমরা আমাদের বাজারে যাই তখন স্কুলে প্রবেশ করি তখন দেখি স্কুলের মধ্যে অনেকটাই পরিবর্তন চলে এসেছে আপনি একটি আদর্শ বিদ্যালয়ের চিত্র আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন যেটা দেখে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।