পাটিসাপটা বানানোর রেসিপি
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
শীতকাল শেষ হয়ে আমরা এখন বসন্ত কালকে অনুভব করছি। চারিদিকে রংবেরঙের ফুলে ফুটে আলো হয়ে রয়েছে। তবে এখনো হালকা ঠান্ডা রয়েছে। দিনের বেলায় প্রচন্ড গরম। কিন্তু রাতের বেলায় সুন্দর আবহাওয়া বেশ ভালো লাগে। শীতকালে আমরা বিভিন্ন রকমের পিঠে ,পুলি আরো নানান ধরনের জিনিস তৈরি করি। এইসব জিনিস নাকি শীতকালে খেতে খুব ভালো লাগে। তবে আমার তো মনে হয় বারো মাস হলে বেশ ভালো হয়। কারণ আমি এই গুলো খেতে ভীষণ পছন্দ করি। তবে সিজনের জিনিস খাওয়ার মজা একটা আলাদা। ছোটবেলা থেকে দেখতাম পৌষ পার্বণের আগেই দিদা শীত পড়তেই বিভিন্ন রকমের পিঠে ,পুলি থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছুই বানাতেন।
ভিডিও লিংক |
---|
তবে বড় হয়ে আরও বেশি খেতে পারি ।কারণ দিদাকে ছেড়ে আমি বেশি দূরে যাইনি। দিদার কাছেই রয়েছি। তাই যখনি কিছু তৈরি করে আগেই আমার জন্য পাঠিয়ে দেয়। এখন শাশুড়ি মা বাড়িতে শীতের পিঠে,পুলি সমস্ত কিছুই বানিয়ে দেন। আজকে শেয়ার করব পাটিসাপটা রেসিপি। পাটিসাপটা তৈরি করা অনেকেই মনে করে খুব কঠিন। কিন্তু আমার মতে পাটিসাপটা বানানো একদমই সহজ। আজকে পাটিসাপটা বানানোর সহজ পদ্ধতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।
নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | আটা | ৫০০ গ্ৰাম |
২ | চিনি বড়ো কাপের | ১ কাপ |
৩ | খেজুরের গুড় | পরিমাণ মতো |
৪ | সাদা তেল | সামান্য |
৫ | নারকেলের পুর | পরিমাণ মতো |
প্রথম ধাপ
প্রথমেই একটা পাত্রে পরিমাণ মতো সাদা ময়দা কিংবা আটা যেকোন একটা নিলেই হবে ।আমি ময়দা নিয়েছিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর পরিমাণ মতো জল দিয়ে হাতের সাহায্যে ভালো করে মাখতে হবে। মাখা হয়ে গেলে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে দিতে হবে। চিনি দিয়ে আরো ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। চিনি নিজেদের পরিমাণ মতো দিতে হবে। যে পরিমাণ মিষ্টি খায় সে সেই পরিমাণ মিষ্টি দেবেন।
তৃতীয় ধাপ
চিনি দিয়ে আরো ভালোভাবে ব্যাটার তৈরি করে নিতে হবে। এবারে সামান্য পরিমাণে খেজুরের গুড় দিয়েছি। খেজুরের গুড় দিলে স্বাদ আরো ভালো হয়।
চতুর্থ ধাপ
এবারে গ্যাস অন করে একটা প্যান বসিয়ে দিয়েছি। গরম হলে প্যানের চারিদিকে সাদা তেল লাগিয়ে নিতে হবে। তেল লাগানোর জন্য এখানে আমি একটা গাজর ব্যবহার করেছি। গাজরের সাহায্যে প্যানে চারিদিকে তেল দিয়েছি। আপনারা চাইলে বেগুনের বোটা কিংবা কোন শক্ত জিনিস ব্যবহার করতে পারেন।
পঞ্চম ধাপ
এরপর এক হাতা ব্যাটার নিয়ে প্যানের উপর দিয়ে ভালো করে গোলা রুটির মত গোল করে নিতে হবে।
পাটিসাপটা নারকেলের পুর দেওয়া |
---|
ষষ্ঠ ধাপ
আমি আগে থেকেই নারকেলের পুর তৈরি করে রেখেছিলাম আপনারা চাইলে সন্দেশ ব্যবহার করতে পারেন। পাটিসাপ টা গোল করার পর আমি পরিমাণ মতো নারকেলের পুর লম্বা করে দিয়ে দিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
গুড় দেওয়ার পর খুন্তির সাহায্যে গোলা রুটি টা পাট পাট করে পাটিসাপটার মতো করে নিতে হবে। গ্যাস হালকা প্রেমে রাখতে হবে। প্যানের উপর ভালো করে সাদা তেল দিলে পাটিসাপটা ছিড়ে যাওয়ার কোন ভয় থাকে না।
তৈরি
এইভাবেই খুব সহজেই তৈরি হয়ে গেল পাটিসাপটা।
আমার তো মনে হয় এর থেকে আর সহজ পদ্ধতি হয় না। আমি প্রায় অনেকগুলোই পাটিসাপটা তৈরি করেছিলাম ।আপনারাও এই পদ্ধতি এপ্লাই করতে পারেন। খেতে কিন্তু খুব সুন্দর হয়। শুধু শীতকাল বলে নাই সারা বছর খাওয়া যায়। সব কিছুই আপনারা আপনাদের পরিমাণ মতো ব্যবহার করবেন। আমি একদম ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করেছি। বাইরের বিশেষ কি কোন উপকরণ ব্যবহার করিনি। ভিডিওর লিংক দেওয়া আছে আপনারা চাইলে দেখতে পারেন।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আবার নতুন কোন রেসিপি নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
We support quality posts and good comments Published in any community and any tag.
Curated by : edgargonzalez
পাটিসাপটা পিঠা শীতের দিনের জন্য সবচাইতে ভালো।। যেহেতু শীত এটাই শেষের দিকে আর আপনি এই সময়ে পাটিসাপটা রেসিপি শেয়ার করেছেন।। আর প্রতিটি বিষয়ে খুবই চমৎকারভাবে ধাপে ধাপে উল্লেখ করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।।