বন্ধুর খুশি
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
আজকে বন্ধুর চোখে খুশি দেখে মনটা সত্যিই ভালো লাগলো। আমি মনে করি, প্রকৃত বন্ধু সেই যে বন্ধুর খুশি দেখে নিজে খুশি হয়, তাদের মন নিশ্চয়ই ভালো । তবে আমরা তো মানবজাতি, তাই হিংসা কখনো না কখনো আমাদের মধ্যে থাকবেই। কেউ কম হিংসা করে, আবার কেউ অতিরিক্ত। অতিরিক্ত হিংসা যেমন সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি এটি চিন্তার জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর।
এই কথাগুলো লিখতে গিয়ে, হঠাৎ করে থ্রি ইডিয়েটস সিনেমার কথা মনে পড়ে গেল। সিনেমায় আমির খান তার বন্ধুদের তুলনায় দুর্দান্ত রেজাল্ট করেছিল, কিন্তু বন্ধুরা ব্ল্যাকবোর্ডে দেখল তাদের বন্ধুর নাম নেই। তারা ভেবেছিল বন্ধু হয়তো ফেল করেছে। কিন্তু যখন জানলো, যে আমির খান বন্ধু ফার্স্ট ক্লাসে টপ করেছে, তখন তাদের মন আরও খারাপ হয়ে গেল। সত্যি বলতে, আমরা মানুষ, তাই অন্যের খুশি মাঝে-মাঝে মেনে নিতে পারি না।
তবে, আমি যা বলতে চেয়েছিলাম! তা হলো আমার বন্ধুদের চোখে খুশি। একদিন হঠাৎট আমার বন্ধু বলল, আমাকে নিয়ে স্বর্ণকারের দোকানে যাবে। আমি তো অবাক, তাকে প্রশ্ন করলাম, তোর কি বিয়ে হচ্ছে! সে মুচকি হেসে বলল না, আমার বিয়ে না, কিন্তু একটা কাজ আছে।
তারপর আমি তাকে কিছু শর্ত দিয়ে বললাম। তুই আমাকে ভাজাপোড়া খাওয়াতে হবে, আর রিক্সায় করে বাজারে নিয়ে যেতে হবে। রাস্তায় আমার আরেক বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেল। এরপর আমরা তিন বন্ধু রিক্সা নিয়ে স্বর্ণের দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
বাজারে গিয়ে অনেক দোকান দেখলাম, কিন্তু প্রতিটা দোকানেই মানুষ ছিল। কোনো দোকানেই খালি ছিল না। অবশেষে একটা খালি দোকান পেলাম। সেখানে আমরা সবাই ঢুকলাম এবং দোকানদারকে বিভিন্ন প্রশ্ন করলো আমার বন্ধুরা স্বর্ণের সম্পর্কে। অবশেষে ২২ ক্যারেটের একটি আংটি নির্বাচন করল। এই আংটির দাম পরলো প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা,
এদিকে, বন্ধুর চোখে ছিল সত্যিকারের খুশির ঝিলিক। সে অনেক দিন ধরে টাকা জমিয়ে রেখেছিল একটা আংটি জন্য, আমার বন্ধু বলল। আজকের দিনে স্বর্ণের দাম ১৪০০০০ হাজার টাকা ভুঁড়ি, ৩ বছর পর এই আংটির দাম হতে পারে দুই লাখ টাকা। তার কথা সত্যিই যুক্তি আছে। দিন দিন স্বর্ণের দাম বাড়ছে, আর এগুলো কখনো কমবে না।
আমারা আবার তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুই আংটি বানাচ্ছিস কেন, সে হাসি মুখে বলল, এটা আমার হবু বউকে গিফট দেব 😂। যদিও এখনো বিয়ের পরিকল্পনা নেই, কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য সেগুলো প্রস্তুত রাখতে চাই। ওর কথা শুনে আমারা হাসতে - হাসতে বললাম, কী অদ্ভুত, তুই ঠিকই বলেছিস, সব কিছু আগে থেকেই গুছিয়ে রাখা উচিত আমাদের সবার।
এভাবে, বন্ধুর খুশির মুহূর্তে আমরা তিন বন্ধু একসঙ্গে ফুচকা আর ভাজাপোড়া খেয়ে তার আনন্দে শামিল হলাম। ওই মুহূর্তে আমি উপলব্ধি করলাম, পরিশ্রমের টাকায় কিছু তৈরি করার মজাই আলাদা, এবং এটি সবার ভাগ্যে জোটে না।
আজকে আমার বন্ধুর আনন্দের মুহূর্তটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। যদি কোথাও কোনো ভুল বা ত্রুটি থাকে, তা ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ!