ব্যস্তময় একটি দিনের গল্প ,,।
আসসালামু আলাইকুম।
আশা করছি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। কখনো ব্যস্ততা আবার কখনো নীরবতা, প্রতিটা দিন সমান ভাবে যাবে না এটাই স্বাভাবিক, বহুদিন পরে আজ আবার একটা ব্যস্তময় দিন কাটিয়েছি,, যেহেতু ভালো-মন্দ মিলিয়ে আমাদের এই জীবন টা তাই এ জীবনে কখনো ব্যস্ততা থাকবে আবার থাকবে না ,,।
প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠেছি এবং হালকা নাস্তা রেডি করেছি, কারণ, আজ আমার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা, এবং সেখানে যেতে হলে সিরিয়ালের আগেই যেতে হবে, যদি ও সিরিয়াল আগে থেকে দেওয়া হয়েছিলো,হাসবেন্ড অফিসে চলে গেল এবং যাওয়ার আগে বলে গেল খুব দ্রুত বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য।
কিন্তুু একা সংসারে চাইলেও খুব দ্রুত বাসা থেকে বের হওয়া যায় না , তবুও খুব দ্রুত সকালের নাস্তা করে মেয়েকে খাবার খাইয়ে এবং দুপুরে রান্নার জন্য খানিক টা গুছিয়ে রেখে আমি বেরিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তুু বাসা থেকে নিচে নেমে দেখি, হসপিটাল পর্যন্ত কোনো গাড়িই যাবে না আমাদের এই ভিতরে রাস্তায় একটা জায়গায় কাজ করা হচ্ছিলো আর যে কারণে এই অবস্থা।
কিছু করার নেই ডাক্তার দেখাতে হলে আমাকে যেতেই হবে, আবার যেহেতু সিরিয়াল দেওয়া ছিল তাই মেয়েকে নিয়ে ৫ টাকার ভাড়া রাস্তা আমি হেঁটে গেলাম যদিও খুব দূরে নয় তবে, আমার জন্য এটা অনেক বড় একটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিলো, সেই সাথে আমার মেয়ে একটু হাটে আবার বসে পড়ে, কি যে একটা অবস্থা খুবই খারাপ লাগছিলো তখন, খানিক টা সময় হেঁটেছি একটু চারদিকের ছবি তুলেছি,।যাওয়ার পথে দেখছিলাম স্কুলের বাচ্চাদের কে নিয়ে কোন এক অনুষ্ঠানের জন্য রিহার্সেল করানো হচ্ছে,,।
এভাবেই কষ্ট করে হসপিটাল পর্যন্ত পৌঁছে গেলাম,প্রথমে গিয়ে আমি আমার হাজবেন্ডের সাথে দেখা করলাম এবং সেই সিরিয়ালের নাম্বারটা দিলো,এরপরে মেয়ে কে তার কাছে রেখে আমি সোজা ডাক্তারের কাছে চলে গেলাম, এরপর ডাক্তার দেখানোর পরে, আমার ওষুধ নেওয়ার দায়িত্ব টা হাজবেন্ডের কাছে দিয়ে বাসার দিকে রওনা দেই।
এবার ও হেঁটে হেঁটে আসতে হবে তাই রাস্তা দিয়ে না এসে প্যারেড গ্রাউন্ড এর ভিতর দিয়ে চলে এসেছিলাম, আসার সময় হাসবেন্ড গরম গরম সিঙ্গারা দিয়েছিলো কিনে, তাই বাসায় এসে একটু সময় রেস্ট করে খেয়ে নিলাম,এরপরে আবার দুপুরের রান্নার জন্য বসে পড়ি, দুপুরের বিরিয়ানি রান্না করেছিলাম, আগে থেকে সবকিছু গুছিয়ে রেখে গিয়েছিলাম, তাই এসে রান্না বসিয়ে দিয়েছি,।
কোন ভাবে রান্না শেষ করে মেয়ে কে গোসল করিয়ে দিলাম, বাসায় আসার আগেই জোহরের আজান পড়ে গিয়েছিলো,তাই এখন ফ্রি হয়ে নামাজ পড়ি, এর মধ্যে হাজবেন্ড চলে এসেছে,এরপরে সবাই মিলে দুপুরে খাবার খাওয়া শেষ করলাম, আর খাবার খেতে খেতে আসরের আযান দিয়ে দিয়েছিলো।
এরপরে খানিক টা সময় ভেবেছি রেস্ট নিবো,কিন্তুু এমন সময় মেয়ে সে বললো বই পড়বে। কিছুই করার নেই আবারো ওর সাথে কিছুটা সময় বলছিলাম। এবং একটু বই পড়ানো শেষে ফোনটা হাতে নিয়েছিলাম।এবং সারাদিনের কার্যক্রম আপনাদের সাথে তুলে ধরার জন্য লিখতে বসেছিলাম।
ওয়ালাইকুম আসসালাম আপু, আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম। আপনার শরীর খুবই অসুস্থ ,এর জন্য হসপিটালে গিয়েছিলেন। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে, আপনার সারাদিনের ব্যস্ততার সময় উপস্থাপন করেছেন আমাদের সাথে! এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আল্লাহ যেন ,খুব দ্রুতভাবে সুস্থতা দান করে,আপনার জন্য এই দোয়া রইল। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমাদের জীবনটাই হচ্ছে ব্যস্তময় প্রতিনিয়ত আমরা চেষ্টা করি একটু ফ্রি থাকবো কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনা আসলে সংসারটা যদি একজনের ও হয় সেখানেও কিন্তু কাজ থাকে যতই আমরা মনে করি যে আলাদা হলে হয়তো বা সংসারের কাজ অনেকটাই কমে যাবে এটা আমাদের বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
তবে আপনি এই সময়টাতে একটু হাঁটাহাঁটি করছেন যেটা দেখে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগলো হাঁটাহাঁটি করা ভালো স্বাস্থ্যের জন্য উপকার আর আপনার জন্য তো আরো বেশি উপকার অসংখ্য ধন্যবাদ ব্যস্তময় দিনের খানিকটা অংশ আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।
সংসার মানেই ব্যস্ততা আমার কাছেও এটা মনে হয় যৌথ পরিবারে সবাই মিলে কাজ করে হয়তোবা কম বেশি থাকে, কিন্তু একক পরিবারে সব কাজ নিজেকেই করতে হয় সব দায়িত্ব নিজের ঘাড়েই নিতে হয় তখন কাজের পরিমাণটা আরো বেশি থাকে,,
হ্যাঁ এটা ঠিক হাটাহাটি করা ভালো তবে একটু হাঁটলেই যেন হাপিয়ে উঠি, তবুও চেষ্টা করি নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য হলেও প্রতিদিন একটু করে হাটাহাটি করার।
বর্তমানে একটা সুবিধা ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পূর্বেই সিরিয়াল দেওয়া যায় এতে করে অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যায়।। রাস্তার অসুবিধা থাকলে গাড়ি চলাচল করতে সমস্যা হয় তাই এই মুহূর্ত হাঁটা ছাড়া আর উপায় থাকে না।। ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় এসেছিলেন আমার রান্নাবান্না করেছেন এছাড়াও মেয়েকে পড়তে বসিয়েছেন।। সব মিলিয়ে সুন্দর একটা দিন অতিবাহিত করেছেন।।