বিকাল বেলা ঘুরতে গিয়ে, মেয়ের সাথে গল্প করা, এবং মেয়ে সাথে কাটানো খুব সুন্দর সময়।
দেখতে দেখতে চার টা বছর পূর্ণ হয়ে গেল আমার মেয়ের , এইতো মনে হচ্ছে সেদিন যেন হসপিটাল থেকে নিয়ে এসেছিলাম,আজ ওকে দেখে আমার পুরনো সে দিনগুলোর কথা কেন জানি হঠাৎ করে মনে পড়ে গেল। হসপিটাল থেকে বাড়িতে আসার সময় সারাটা রাস্তা একটু কান্না করেনি, সেজন্য আমার শ্বশুরের কত চিন্তা বাবু কেন কাঁদতেছে না,,।
ওকে তুমি একটু কোলে করে ঠিক মত রাখতো,ওর কি কোন সমস্যা হইতেছে,,একটু খেয়াল করে দেখতো ঠিকমতো শ্বাস নিতেছে কি না। হাজারো প্রশ্ন আমাকে করা হলো। যখন ঘরের ভিতরে ঢুকবো এর আগে একটু কান্না করছিলো, আর তখন যেন আমার শ্বশুরের মনে হয় সব চিন্তা দূর হলো।
কত কষ্ট করেছি, কত রাত জেগেছি, এমনও সময় গেয়েছে খাবার রেখে উঠে পড়েছি কান্না করছে বলে,মেয়েকে বড় করার সাথে সাথে পড়ালেখা সংসার ঠিক রেখেছি তাই বলে কখনো আমি আমার মেয়েকে কোন কিছুতে একটু কষ্ট দেই নি। ও এখন যখন মাঝে মধ্যে বায়না না ধরে। তখন আমি বলি তুমি আমার অনেক কষ্টের একটা মেয়ে, আমার অনেক কষ্টের আয়িশা।
আমি জানি না ও আমাকে বড় হয়ে কতটুকু বুঝবে, কিন্তুু আমি যখন এই কথাটা বলি তুমি আমার অনেক কষ্টের আয়িশা। তখন ও আমার জন্য একটু খানি মায়া দেখায় , একটুখানি ভালোবাসা দেখায় জড়িয়ে ধরে। তাতে যেন আমার সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। আজ বিকেল বেলা ঘুরতে গিয়ে মেয়ের সাথে মেয়ের এই ছোট বেলার এই গল্প শেয়ার করছিলাম।
🌹........................................................🌹
আজ বিকাল বেলা বুঝতে পারছিলাম ওর মনটা কিছুটা খারাপ, সাথে আমি কেমন যেন খিটখিটে মেজাজে হয়ে গিয়েছে,তাই ওকে নিয়ে একটু বাহিরে গিয়েছিলাম নিচে হাটাহাটি করতে, বাহিরে গিয়ে খুব দুষ্টামি করছিলো মানে হাত না ধরে হাটাহাটি ।
বাহিরে গেলে এমন টা মাঝেমধ্যেই করে তবে ওর বাবা থাকতে সাহস পায় না,মনে হয় যেন পাখি বের হয়েছে, তবুও বলে বুঝিয়ে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছিলাম। হালকা রোদের আলো , এসে গায়ে লাগছিলো।বেশ ভালো লাগছিলো তখন , সেই সাথে আমার মেয়ের হাজারও প্রশ্ন।
🌹........................................................🌹
সত্যি কথা বলতে আমি মাঝেমধ্যে খুবই বিরক্ত হই, এত প্রশ্ন কেন করা দরকার, একটা কিছু দেখলে তার একদম শেষ পর্যন্ত শুনে ছাড়বে। মানে মুখ ব্যথা হয়ে যাওয়ার মত অবস্থায়। সারাদিন শেষে বাহিরে বের হলে চারিদিকের পরিবেশ দেখলে সত্যিই মনটা ভালো লাগে।
আমার মত অন্য বাচ্চাদের মায়েরা ও বাচ্চাদেরকে নিয়ে বের হয়েছিলো,হাটাহাটি করার জন্য কারণ, সারাদিন বাচ্চা মানুষ বাসায় থাকলেও বিকাল বেলা বের হতেই চায়। বিকাল বেলা একটু বাহিরে বের হওয়া উচিত। আমার মনে হয় বাহিরে একটু বের হলে চারদিকের পরিবেশ টা দেখলে এতে ওদের অনেক কিছু শিখতে পারে।
🌹........................................................🌹
তাই আমার মাঝে মধ্যে খারাপ লাগলেও চেষ্টা করি ওকে নিয়ে একটু বের হওয়ার। এই সময়টা তে রাস্তার দুই পাশেই অনেক সুন্দর ফুলের গাছ লাগানো হয় এবং সে গুলোতে এত পরিমানে ফুল ফোটে দেখলে যেন মনে হয় ফুলের বাগানের ভিতরে আছি। নানান রঙের ফুল এত এত ফুল যে এগুলোর নামও সঠিক ভাবে আমি জানি না।
কিছুক্ষণ হাঁটার পরে এই ফুলগুলো দেখে আমার আরো বেশি ভালো লাগছিলো,আর ফুলগুলো দেখে আমার মনের ইচ্ছা হলো। আমরা দেশের বাড়িতে গিয়ে সে এরকম একটা ফুলের বাগান করবে , আমি তো প্রথমে ওর কথা শুনে হাঁসতে ছিলাম পরবর্তীতে উৎসাহ দিলাম হ্যাঁ অবশ্যই আমরা দুই জনে মিলেই করবো। একথা শুনে ও যে পরিমাণ খুশি হয়েছে তার পরিমাণ অনেক বেশি ছিলো আমার কাছে।
এভাবে আমি ও আমার মেয়ে হাজারো কথা বলতে বলতে আমাদের এই সুন্দর ঘুরে বেড়ানোর মুহূর্ত টা শেষ করেছি। এবং সন্ধ্যা হওয়ার আগেই আবার বাসায় ফিরেছি খুব সুন্দর একটা বিকাল কাটিয়েছে আজ। যে টা বলা যেতে পারে আমার জীবনের একটা সঞ্জয়।
💦💥2️⃣0️⃣2️⃣5️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 2/6) Get profit votes with @tipU :)
Thank you
ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনি আপনার মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছেন ও সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন সেটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মনে খুব কাছের মানুষরা যখন ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে ধরে তখন সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। যেমনটা আপনার মেয়ে আপনার সাথে করে। তখন আপনার সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। আপনার পোস্ট দেওয়া ছবিগুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন ভাবে আরো সুন্দর সুন্দর লেখা আমাদের উপহার দিবেন আশা করি। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, মেয়েকে নিয়ে হাসি খুশি থাকবেন।
মেয়ের সাথে আপনার চমৎকার একটা গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করবেন, এটা আসলে প্রতিটা মায়েরই তাদের সন্তানের সাথে এরকম চমৎকার কিছু স্মৃতি থাকে, যখন একজন মেয়ে প্রথমবার মা হয় তার সন্তানকে ঘিরে অনেক জল্পনা কল্পনা, তার প্রতি যত্ন এবং পুরো ফ্যামিলি যেন সে বাবুটার প্রতি একটা অন্যরকম ভালোবাসা জন্মায়। আর এখানে মায়ের ভূমিকা সেটা তো তুলনা করা যায় না কত কষ্ট করতে হয়, কত রাত জাগতে হয়, খেয়ে না খেয়ে হয়েও একটা ছোট বাবুর টেক কেয়ার করতে হয়, খুব ভালো লাগলো আপনার মা হওয়া সেই অনুভূতিগুলো জানতে পেরে।
বাচ্চাদের এরকম হাজারো প্রশ্ন থাকে যা উত্তর দিতে-দিতে একসময় মেজাজ অনেক খারাপ হয়ে যায়। তারপরও কিছু করার নাই ওদের প্রশ্নের, উত্তর দিতেই হবে! আমারও ভাগ্নি ও ভাতিজা ওরা আমাকে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন করে। যা আমি ওদের প্রশ্নের উত্তর দিতে মাঝে-মাঝে খুবই বিরক্ত হয়ে যাই! বাচ্চাদের অনেক জানার আগ্রহ বেশি থাকে, এবং তারা বিভিন্ন রকমের জিনিস জানতে চায় বুঝতে চায়। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। মেয়েকে নিয়ে আপনি ঘুরতে বের হয়েছেন। মাঝে-মাঝে এরকম ভাবে ঘুরতে বের হবেন! ঘোরাঘুরি করলে মন ভালো হয়ে যায়। এত সুন্দর একটি আনন্দ মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আপনার মেয়ের সাথে কাটানো সময়ের গল্প অনেক সুন্দর এবং হৃদয়স্পর্শী। মা ও সন্তানের মধ্যে এই গভীর সম্পর্ক এবং তাদের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা সত্যিই অসাধারণ। মেয়ের শৈশবের স্মৃতির সাথে সময় কাটানো, তার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টার মধ্যে থাকা এটা যে কতটা মূল্যবান তা বোঝা যায়। আপনার মেয়ে যে ফুলের বাগান তৈরি করতে চেয়েছিলো, সেটি তার অল্প বয়সেই বড় স্বপ্ন দেখানোর ইঙ্গিত, যা আপনার প্রতি তার ভালোবাসা ও আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ। এই মুহূর্তগুলোই তো জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত, যা আপনি ও আপনার মেয়ে একসাথে তৈরি করছেন।
একটা ছোট বাচ্চাকে ছোট থেকে বড় করতে একটা মায়ের গুরুত্ব অপরিসীম আসলে কত পরিমাণে কষ্ট করতে হয় সেটা আমি নিজেও জানি কারন আমিও একজন মা আর বর্তমান সময়ে যেহেতু আপনি আরেকজন মা হওয়ার পথেই রয়েছেন তাই আপনার জন্য শুভকামনা করি।
ছোট বাচ্চাদের বায়না গুলো পূরণ করতে গেলে অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আসলে তারপরেও কিছু করার নেই কারণ বাচ্চারা তার মায়ের কাছে কিন্তু ভালোবাসার আবদার করে থাকে আর সেই আবদার গুলো একমাত্র তার মা পূরণ করে।
আপনি আপনার মেয়েকে নিয়ে বিকেল বেলা ঘোরাঘুরি করেছেন আসলে তাদের ইচ্ছা গুলো পূরণ করতে পারলে নিজেদের কাছেও শান্তি লাগে নিজের মেয়ের সাথে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।