Incredible India monthly contest of March by @sampabiswas|All about motherhood!

Photo edited by canva
প্রথমে ধন্যবাদ জানাবো,,,, দিদিকে চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে কনটেক্সট এর আয়োজন করার জন্য, সত্যি কথা বলতে আমার কাছে বিষয়টি বেশ ভালো লেগেছে কারণ একমাসও হয়নি আমি একটা বাচ্চা জন্ম দিয়েছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতের,আর ঠিক এমন সময় এইরকম একটা বিষয় নিয়ে লিখতে পেরে আমার ভীষণ ভালো লাগছে।তো চলুন কথা না বাড়িয়ে যাওয়া যাক প্রশ্নের উত্তরে।

আমার কাছে মনে হয় একটা নারীর জীবনে সর্বাপেক্ষা প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায় মাতৃত্বকালীন সময়টা।তবে,যদি বলা হয় এইমাত্র কালীন সময় টা একটা মেয়ের জীবনে কতটুকু প্রয়োজনীয় তখন আমি বলবো যদি একটা মেয়ে সুস্থ থাকে তাহলে তার, অবশ্যই মাতৃত্বকালীন সময়টা পার করা জরুর কারণের স্বাদ বিশাল। তবে বর্তমান সময়ে এসে মানুষের সমস্যার শেষ নেই মা হওয়া যেমন সহজ ঠিক তেমন অনেক কঠিন, যদি সে সুস্থ না থাকে তাই আমার কাছে মনে হয় এটা যার যার ব্যক্তির উপরে নির্ভর করে।

তবে জীবনে টাকা-পয়সা কাজকর্ম গাড়ি সবই হবে, কিন্তুু আমরা যদি একটা বাচ্চা জন্ম দিতে না পারি তাহলে এই মাতৃত্বকালীন স্বাদ টা কিভাবে গ্রহণ করবো। তবে যেহেতু প্রশ্ন করা হয়েছে এটা একটা মেয়ের জীবনে কতটুকু প্রয়োজন তাই বলছি একটা মেয়ের জীবনে মাতৃত্বকালীন সময়টা পার করা অনেক জরুরী।কারণ গর্ভধারণ সময়টা জীবনে অনেক পরিবর্তন করে অনেক কিছু শেখায় অনেক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন করবে আপনাকে।আর এর অনুভূতি তো এক অন্যরকম আনন্দ।।।

আমার কাছে মনে হয় একটা মেয়েকে মা হতে গেলে তার নিজের প্রস্তুতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও নিজের সিদ্ধান্তটা কে নিজের নেওয়া সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, কারণ, একটা রক্ত মাংসে গড়া ছোট টুকরো কে দীর্ঘ ৯ মাস পেটে ধারণ করে একটু একটু করে বড় করা,,। শুধু মুখে কথা নয় একটা মেয়েকে কত খানিক মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি নিতে হয়। তা একটা গর্ভধারণের মা খুব ভালোভাবেই জানে,তাই আমি বলবো মা হওয়ার সিদ্ধান্ত টা একটা মেয়ের নেওয়া খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তবে অনেকে আছে, পারিবারিক ও সামাজিক চাপে পড়ে, কিছু কিছু পরিবারে এমন সদস্য থাকে যাদের তিতা কথার কারণে একটা মেয়ে বাচ্চা নিতে বাধ্য হয়, দেখা যায় সে তখন প্রস্তুত থাকে না, মানসিক শারীরিক ভাবে, কিন্তুু তখন তার কিছু করারও থাকে না পরিবারের চাপে পড়ে, নিজেকে একটা বিপদের মুখে ফেলে দেয়, কারণ একটা বাচ্চা জন্ম দেওয়া যেমন অনেক আনন্দের বিষয় হয়, ঠিক আবার দুঃখের বিষয় হয় যখন একটা মা অনিচ্ছাকৃত ভাবে একটা সন্তান গর্ভধারণ করেন,।

তবে আমি আমার নিজের মতামত টা শেয়ার করছি, কখনো নিজের ক্ষতি করে অন্যকে খুশি করা আমার কাছে মনে হয় বোকামো ছাড়া আর কিছু না। কারণ আমি যদি ভালো থাকতে পারি সুস্থ থাকতে পারি তখন আমি একটা সুস্থ বাচ্চাও দিতে পারবো,কখনো পরিবারের চাপে পড়ে বাচ্চা গর্ভধারণ করা এটা খুব একটা ভালো কথা নয়। কারণ একটা বাচ্চা পৃথিবীতে আনার পরে ওই পরিবারের সবচেয়ে বেশি খুশি হয় কে জানেন তো জন্মদাতা "মা" আর ঐ মায়ের যদি তখন পরিবারের চাপে পড়ে একটা সন্তানকে এই পৃথিবীতে আনে তখন এটা খুব একটা খুশির হবে বলে আমার মনে হয় না।।।

একটা মেয়ের জীবনে মাতৃত্বকালীন সময় টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আর এই সময় টা তে তার সবচেয়ে কাছের মানুষ টি হওয়া প্রয়োজন তার স্বামী ।আর এই সময়টা কে স্বামীর উচিত তার স্ত্রীর কে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সেবা যত্ন করা, একটা মেয়ের এই সময়টা তে যে কত ধরনের খারাপ লাগা ভালো লাগা কাজ করে তা একটা মেয়ে যদি গর্ভধারণ না করে তাহলে এই অনুভূতি বোঝার উপায় নেই ।

একটা গর্ভবতী মা তখন ঠিকমত খেতে পারে না, ঘুমাতে পারেনা, হাঁটতে পারে না, কত শত ধরনের যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, আর এই সময়টা তার স্বামীকে কাছে পাওয়া খুব জরুরী, সব সময় পাশে থাকা খেয়াল রাখা তার কষ্টগুলো সহজে বোঝা,এই সময়টা তো প্রত্যেকটা স্বামী রচিত তার স্ত্রীকে সবগুলো কাজে সাহায্য করা, পছন্দের খাবার তৈরি করে তাকে খুশি করা, সম্ভব হলে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া মনের কষ্ট গুলোকে বোঝার, এবং হাসিখুশি রাখা ,, কারণ একটা সুস্থ মা-ই পারে একটা সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে।

এই প্রশ্নের উত্তর টা দিতে গিয়ে আমি যেন দু-তিন মাস পিছনে চলে গিয়ে ছিলাম, একটা স্বামী একটা মেয়ে যখন গর্ভধারণ করে শুধু তার পাশে থাকা টা জরুরী, তবে তার থেকেও বেশি জরুরী মানসিক ভাবে তাকে সাপোর্ট করা ,,, কারণ এই সময়টা তে একটা গর্ভধারণ মহিলার উপর দিয়ে যে প্রেসার যায় তাতে মানসিক চাপ নেয়ার মত ক্ষমতা সে রাখে না, আর ঠিক এই সময় যদি তার স্বামীর উচিত স্ত্রীর মাথার উপরে ছাদ বা অভিভাবক হওয়া,, সব সময় সাহস যোগানো, কারণ একটা নবাগত শিশুকে জন্ম দেওয়ার আগে মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া উচিত,,।

কারণ একটা সন্তান জন্ম দেয়া যেমন শারীরিক অনেক প্রেসার যায় ঠিক তেমন মানসিক সাপোর্টের ওই দরকার থাকে। কারণ এখানে অর্থের একটা ব্যাপার থাকে যেটা একমাত্র তার স্বামী যদি তাকে সাপোর্ট করে তাহলে কোন সমস্যায় যেন সমস্যা মনে হয় না।

এইতো কয়েক দিন আগে একটা নবজাতককে জন্ম দিয়েছে আমি, আর এই সময়টা তে আমার পাশে আমার হাজব্যান্ড ছিলো, আর এমন ভাবে সেবা যত্ন করেছেন শেষের দিকে এসে, আমাকে এমন ভাবে মানসিক সাপোর্ট দিয়েছে যেটা সত্যি তার থেকে আমি যতটুকু আশা করেছিলাম তার থেকেও হাজার গুণ বেশি। আমি হসপিটালে ভর্তি হওয়া শুরু থেকে যখন আয়সিওতে ভর্তি ছিলাম এবং বাসাতে আনা পর্যন্ত তিনি আমাকে যে সেবাটা করেছে তার জন্য আমি সত্যি ভাগ্যবান।
প্রতিটি ঘরে ঘরে যদি এমন পুরুষ থাকে তাহলে আমার মনে হবে একটা গর্ভবতী মহিলার কোন কষ্ট হবে না,,।

পরিশেষে বলবো প্রত্যেকটা পুরুষেরই উচিত একজন গর্ভবতী মহিলার পাশে দাঁড়ানো তাকে শারীরিক সাপোর্টের পাশাপাশি মানসিক সাপোর্ট দেওয়া, এবং একটা স্ত্রীকে পুরোপুরি ভালো রাখতে পারে একটা স্বামী,যাই হোক সবাই ভালো থাকবেন চেষ্টা করেছি প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার,।এবং শেষ করার আগে আমি আমার প্রিয় বন্ধুদেরকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি,,,,,,,।,@sayeedasultana,@chilaw,@ghiasahmad