Better Life With Steem || The Diary Game || 8rd February 2025
Photo edited by canva
চলে এসেছি আবারো নতুন একটি দিনের কার্যক্রম নিয়ে, জীবন থেকে যে দিনটি হারিয়ে যাচ্ছে সে টা পাওয়া অসম্ভব, তবে চাইলে এই দিন গুলো কে ভালো পথে কাজে লাগিয়ে জীবন টা কে সুন্দর করা সম্ভব। আর আমার মনে হয় এতে অনেক বেশি কষ্টের ও প্রয়োজন পড়ে না, শুধু প্রয়োজন ভালো মন মানসিকতা।।
![]() |
---|
যাই হোক, ইদানিং আমার প্রত্যেক টা দিনই রেস্ট নিতে নিতে যাচ্ছে, খুব একটা কষ্ট হচ্ছে না বলা যায়, সারাদিন বিছানায় শুয়ে শুয়ে দিন পার করছি,,বলতেই হবে শাশুড়ি বাসায় থাকাতে অন্য রকম একটা কেয়ার পাচ্ছি।
তবে, খুব সকাল সকাল আমার ঘুম থেকে উঠতেই হয়, যেটা কিছুদিন ধরে খুবই খারাপ লাগে, তবে কিছুই করার নেই, তাই আজও ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা তৈরির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম, যেহেতু গতকালকের কিছু খাবার ছিলো তাই হাসবেন্ড কে ঐ খাবারটা এই দিয়ে দিলাম।আর আজ সকালের নাস্তা হিসেবে একটা কেক তৈরি করেছিলাম আমি সাথে ছিল দুধ চা।
![]() |
---|
যদিও চা আমি খাই না তবে মাঝেমধ্যে একটু পাওয়া যেতেই পারে, সকালের নাস্তা শেষে বেশ খানিক টা সময় শুয়ে ছিলাম। তারপরে, খেয়াল করে দেখলাম বারান্দায় বেশ রোদ এসেছে তাই হালকা রোদে খানিক টা সময় বসে ছিলাম এরপরে একটু কাজ করি,,
গত মাসের রেশনের চাল খানিক টা রয়ে গিয়েছে, আর চালগুলো তে ছোট ছোট পোকাও ধরেছে।আরে পোকা গুলোর জন্য খুবই বিরক্ত লাগে, তাই চাল গুলো বারান্দায় এনে রোদে দিয়ে ছিলাম বেশ ঘন্টা খানিক। এরপর খেয়াল করে দেখলাম পোকা গুলো চলে গিয়েছে।
![]() |
---|
আমি কিছু কিছু কাজ করছিলাম। অন্য দিকে শাশুড়ি আম্মা দুপুরে রান্নাটা করে নিয়েছিলো, হাঁসের মাংস, পেঁয়াজের কলি ভাজি গাজর দিয়ে,টমেটো সালাদ ও সেই সাথে ধোয়া ওঠা গরম ভাত,তিনি দুপুরের রান্না শেষ করার পরে।
আমি রান্নার রুমটা কে একটু গুছিয়ে পরিষ্কার নিলাম, কারণ যাই হোক না কেন রান্নাঘর যদি আমার কাছে এলোমেলো থাকে তাহলে বড্ড খারাপ লাগে,,যদিও ছোট্ট সংসার জিনিস পত্র খুবই কম তবুও গুছানো থাকলে সব কিছুই হালকা মনে হয়। এবং পরবর্তীতে কাজ করতেও একটা ভালো লাগা কাজ করে।
![]() |
---|
এরপরে, আমার হাজব্যান্ড বাসায় আসলো ও সবাই মিলে দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম। খেয়ে দেয়ে বেশ খানিক টা সময় রেস্ট নিচ্ছিলাম,এরপরে মেয়ে বাসায় আসলো আমি আছরের নামাজ আদায় করলাম, এবং বিকাল বেলা মেয়েকে ও শাশুড়ি আম্মাকে নিয়ে নিচে গিয়েছিলাম হাঁটতে।
![]() |
---|
শাশুড়ি আমার মন টা ভীষণ খারাপ থাকে যদিও তিনি নিজেকে খানিক টা সামনে নিচ্ছে তবে, ভিতরের কষ্ট টা দূর হওয়া এতটা সহজ নয়, কাছের মানুষকে হারানো খুবই যন্ত্রণাদায়ক, একটা মানুষের সাথে যুগের পর যুগ থাকার পরে যখন সেই মানুষ টা হঠাৎ করে চলে যায় না ফেরার দেশে, তখন তার কাছের মানুষগুলো এই ব্যাপারটা খুব সহজে মেনে নিতে পারে না।
তাই সারাটা দিন বাসায় থাকলে আরো বেশি খারাপ লাগে,তাই আমি আমার এই অসুস্থ শরীর নিয়ে চেষ্টা করছি তাকে যতটুকু ভালো রাখা যায়। তাই একটু হাটাহাটি করলাম চারিদিকের পরিবেশ টা কি একটু পর্যবেক্ষণ করলাম। সব মিলিয়ে আমাদের বিকাল টা বেশ ভালো এই কেটেছিলো।
বাসায় ফিরতে ফিরতে মাগরিবের আজান হলো,এরপরে প্রতিদিনের মতো নামাজ আদায় করে নিলাম। হালকা নাস্তা শেষ করেছি লাচ্ছি সেমাই দিয়ে। এরপর মেয়েকে নিয়ে পড়তে বসেছিলাম । এরপরে ঘুমাতে যাও পর্যন্ত কিছু কাজ করা হয়েছে, তবে সেগুলো আর আজ শেয়ার করছি না,।।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

আপনে বেশ সুন্দর ভাবে বাসায় অনেকটা আরামেই দিনটা পার করেছেন৷ আসলে সব সময় শুয়ে বসে থাকতেও আমাদেট ভালো লাগে না। দিনলিপিটা অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন৷ ধন্যবাদ পোষ্টটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার শাশুড়ি তো আপনার সাথে রয়েছেন তাই আপনি মনে করেন এই সময়টা আপনার জন্য অনেক ভালো এটা আপনি ঠিক বলেছেন কেননা আপনি বর্তমান সময়ে অসুস্থ আর উনি আপনার টেক কেয়ার করছেন এর চাইতে বড় পাওয়া হয়তোবা আর কিছুই হতে পারে না।
একটা মানুষের সাথে যখন মানুষ কয়েক বছর একটা রিলেশন এর মধ্যে আবদ্ধ হয় তখন ও তাকে ভুলে থাকাটা এতটা সহজ হয় না আর আপনার শাশুড়ি তো বছরের পর বছরই মানুষটার সাথে সংসার করেছে নিজের সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা সবকিছুই তার সাথে ভাগ করে নিয়েছে তাকে ভুলে যাওয়াটা আপনি কিভাবে মনে করেন এটা সহজ চাইলেও তাকে ভুলে যাওয়াটা সহজ না হয়তো বা তার মন খারাপ থাকে তাকে নিয়ে বাইরে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করবেন হয়তোবা তার মনটা ভালো হয়ে যাবে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনি খুব সুন্দরভাবে আপনার অনুভূতি এবং দিনের কাজগুলো বর্ণনা করেছেন। আপনার শাশুড়ির মনোভাব এবং পরিবারের সাথে কাটানো সময়ের কথা শুনে সত্যিই অনেক প্রেরণা পেলাম। একজন মানুষের সাথে বছরের পর বছর কাটানোর পর তার হারানো দুঃখ বুঝতে পারা কঠিন, কিন্তু আপনি যে কষ্টের মুহূর্তে তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করছেন, সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়।
আপনার দিনের গল্পটা খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন বিশেষ করে শাশুড়ি প্রতি আপনার যত্ন এবং ভালোবাসা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।দিনভর ছোট ছোট কাজগুলো কে নিজের মতো করে উপভোগ করে ভালোবাসা এবং খেয়াল রাখা অনেক বড় ব্যাপার। আপনার দিনগুলো যেন সবসময় শান্তি এবং আনন্দে ভরে থাকে এই প্রার্থনায় করি ভালো থাকবেন সব সময়।