Better Life With Steem || The Diary Game || 3rd February 2025
Photo edited by canva
আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বলছি। হাজারো মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আমার দিন তবে,সৃষ্টিকর্তা যে আমাকে সুস্থ রেখেছে তাকেই শুকরিয়া। চেষ্টা করছি নিজেকে খানিক টা সুস্থ করার এবং সেই সাথে পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষকে ভালো রাখার। ভালো রাখার মালিক একমাত্র সৃষ্টিকর্তা তবে, আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা টা করে যাচ্ছি।
সকাল টা শুরু করেছিলাম ফজরের আযানের পরে।ঘুমটা ভেঙ্গে ছিলো তবে বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করছিল না। তাই খানিক টা সময় শুয়েই ছিলাম, এরপরে খেয়াল করে দেখলাম শাশুড়ি আম্মা ঘুম থেকে উঠেছে, যেহেতু হাজবেন্ডের অফিস আছে তাই রান্না করার একটা তারা রয়েছে। তাই উঠে রান্না রুমে গেলাম গত পরশুদিন বাড়ি থেকে আসার সময়,,
খেজুরের রস আনা হয়েছিলো,তাই ওইটা কে বের করে সকালের নাস্তা হিসেবে আতপ চাল দিয়ে পায়েস রান্না করা হয়েছিলো,এই খেজুরের রসটা হচ্ছে আমাদের নিজেদের গাছের এবছর প্রথম কাঁটা হয়েছে, যেহেতু বাড়িতে কেউ থাকবো না তাই প্রথমে যতটুকু হয়েছিলো আমাদের কে এই দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত একটা সপ্তাহ বাসায় না থাকার কারণে বাসার যে হাল হয়েছে সেটা বলার আর অপেক্ষা রাখে না, যেদিকে তাকাই এলোমেল ঠিকমতো গুছিয়ে রাখতেও কেন জানি ইচ্ছা করছে না। তবে গুছিয়ে না রাখলেও ব্যাপারটা ভালো লাগছে না।
তাই সকালের নাস্তা করা শেষে বেশ খানিকটা সময় নিয়ে প্রত্যেকটা রুম গুছিয়ে নিলাম, এরপরে ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। আমার কাছে কেন জানি মনে হয় রুমগুলো একটু পরিপাটি থাকলে কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
এর মাঝে শাশুড়ি আম্মা দুপুরে রান্নার জন্য সবজি গুলো কেটে পরিষ্কার করে গুছিয়ে দিলো,ভেবেছিলাম আমি রান্না করবো তার ভীষণ ইচ্ছা সে রান্না করবে,কেননা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার রান্না করতে হবে বলে। যতটুকু তার ভাষ্যমতে বুঝতে পেরেছি, যেহেতু তার মন-মানসিকতা খুবই খারাপ তাই আমি চাচ্ছি সে যেভাবে চাই সেভাবেই চলতে।
তাই সে দুপুরে রান্নাটা করে নিলো আর আমি অন্য দিকে মেয়েকে নিয়ে গোসল টা করে আসলাম, গোসল শেষ করতেই যোহরের আযান হলো তাই নামাজ আদায় করে মেয়েকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি এবং আমার শাশুড়ি আম্মা খেয়ে নিলাম।
এরপরে মেয়েকে নিয়ে গিয়ে ছিলাম আরবি টিচারের কাছে, এটাই হচ্ছে আমার মেয়ের শিক্ষা জীবনে প্রথম ঘর থেকে বের হওয়া,যদিও বাসায় আমি এর আরো অনেক আগে থেকেই পড়ালেখার শুরু করেছি। তবে আমার খুব ইচ্ছা ছিলো, আরবী শিক্ষা দিয়ে প্রথমে শুরু করবো তাই আর দেরি না করে আজকে থেকে শুরু করে দিলাম।
সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন,ও যেন একজন সৎ মানুষ হতে পারে,যেহেতু আজ প্রথম দিন ছিল তাই ওকে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে আপনাকে মেয়েটা কে নিয়ে, তা না হয় অন্য একদিন শেয়ার করবো একটা পোস্ট আকারে।
যাই হোক পড়ানো শেষ করার পরে মেয়েকে নিয়ে বাসায় চলে আসি,,বাসায় এসে হালকা নাস্তা তৈরি করেছিলাম বিকালের জন্য ছোলা ভাজা। এরপরে সবাই মিলে একসাথে নাস্তা টা শেষ করি।
এভাবে সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি শেষ করেছিলাম, এরপরে ফোনটা হাতে নিয়ে। একটু লেখা লেখির জন্য বসে পরে ছিলাম,,যাইহোক সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন,এবং আপনারা সকলে দোয়া করবেন যেনো আগের মত আবার নিয়মিত হতে পারি।
আপনার দিনলিপি পড়তে গিয়ে যেন নিজের জীবনের কিছু মুহূর্ত ফিরে পেলাম। মানসিক চাপের মধ্যেও আপনি যেভাবে নিজেকে সামলে নিচ্ছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
আপনার শাশুড়ি আম্মার প্রতি যত্নশীল মনোভাব সত্যিই সুন্দর, তাকে রান্না করতে দিতে চাওয়াটা বোঝা যাচ্ছে কতটা সংবেদনশীল আপনি। আর আপনার মেয়ের প্রথম আরবি শিক্ষার দিন এটা তো এক স্মরণীয় মুহূর্ত! আল্লাহ ওকে সৎ ও যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন, এই দোয়া থাকলো।
আপনার লেখা সবসময়ই আন্তরিকতা ও বাস্তবতার মিশেলে ভরপুর থাকে, যা পড়তে ভালো লাগে। আশা করি, আপনি আগের মতো নিয়মিত হতে পারবেন। আপনার এবং পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনার দিনলিপি পড়তে গিয়ে এমনই এক আন্তরিকতা ও বাস্তবতা অনুভব করলাম, যা আমাদের প্রতিদিনের জীবনেও প্রাসঙ্গিক। মানসিক চাপের মধ্যেও আপনি যেভাবে নিজেকে সমঝে চলছেন, সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার শাশুড়ি আম্মার প্রতি যত্নশীল মনোভাব এবং তার মন ভালো রাখতে আপনি যেভাবে চেষ্টা করছেন, তা খুবই সুন্দর এবং প্রেরণাদায়ক। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।