Better life with steem || The Diary Game || 21 February 2025 ||

in Incredible India2 days ago (edited)

Neutral Minimalist Romantic Photo Collage (5).png
Photo edited by canva

সবকিছু থেমে থাকলেও সময় থেমে থাকে না এত দূরত্ব চলে যায় যেটা বোঝা খুব মুশকিল,, ভালো মন্দ মিলে আমাদের এ জীবন জীবন চলার পথে উঁচু নিচু থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এর মাঝ দিয়ে ও যে সৃষ্টিকর্তা ভালো রেখেছে তাই, শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ,।

ওই যে বলছিলাম সময় খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে, দেখতে দেখতে বাবুর বয়স আট দিন হয়ে গেলো, মনে হচ্ছে এই তো গত কালকে হসপিটালে গিয়েছিলাম।হয়তো এরকম ভাবেই একটা সময় চলে আসবে অনেক বড় হয়ে যাবে,,। সবাই মাশাল্লাহ বলবেন, সৃষ্টিকর্তা যেন ওকে একজন ভালো মানুষ হিসাবে কবুল করেন।

d70192fa-732a-4627-aed2-1033e1d2c68b.jpg

প্রতিদিনের মতো আজ একটু ঘুম থেকে দেরিতে উঠেছিলাম কারণ ওই যে রাত জাগতে হয় কিছুটা। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করছিলাম নুডুলস দিয়ে, সবার সকালের নাস্তা করা শেষ হয়ে গিয়েছিল কিন্তুু বাবুর উঠার নাম নেই। তার শুধু একটাই চাকরি সারাদিন ঘুম আর ঘুম টেনে ও তোলা যায় না।

এরপরে মেয়েকে কিছুটা সময় দিলাম ওকে পড়ানোর জন্য , কারণ গত ১০ দিনে পড়ালেখার প্রতি কোন নজর দিতে পারিনি আমি, তাই এখন একটু একটু করে নিয়ে বসেছি। খানিক টা সময় বই পড়ানোর পরে আমি এবং আমার মেয়ে মিলে দুটো চকলেট খেয়েছিলাম,, শুধু চকলেট না এর সাথে পেয়ারাও ছিলো,,পেয়ারা খেতে খেতে আমার আম্মুর সাথে খানিক টা সময় কথা বললাম, কথা বলা শেষে জানতে পারলাম আম্মু আগামী সপ্তাহে দেশের বাড়িতে যেতে চাই, কথাটা শুনে আমার এত বেশি খারাপ লাগছিলো কেন জানিনা ছোট্ট বাচ্চাদের মত শুধু কান্না করতে ইচ্ছা করছিলো।

71ea1ad3-0c7d-4441-838f-b2a70bc295de.jpg

কারণ আমার আম্মু চলে গেলে আমি এত ছোট বাচ্চা নিয়ে, কি করবো,মাথার মধ্যে একটা টেনশন চলে আসছিলো,এত বেশি খারাপ লাগছিল যে যেটা বোঝানো সম্ভব না, কিন্তু কিছু করার নেই ওদিকে আমার আব্বু একা বাড়িতে সেই বা কতদিন আর অন্যের কাছে থাকবে। তাছাড়া রোজা চলে আসতেছে আর কয়েক দিন বাদে, এমন পরিস্থিতি তে আম্মুর বাড়ি যাওয়া উচিত।

যেটা আমি বুঝতেছি তবে আমার মন কেন জানি বুঝতে ছিল না। কিন্তু কিছু করার নেই, এটাই মেনে নিতে হবে জীবন অনেক কঠিন নিজের মনটা কে তাই বুঝিয়ে নিলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন,,। দুপুরে রান্না টা শাশুড়ি আমায় করেছিলো আজ যেহেতু শুক্রবার ছিল তাই বাসায় পোলাও মুরগির মাংস এবং ডিম ভুনা করা হয়েছিলো,যেহেতু হাজবেন্ডের ছুটির দিন সে বাসায় থাকে তাই সপ্তাহে একটা দিন তাকে একটু ভালো-মন্দ না খাওয়ালে আবার হয় না।। না মানে তারা ছিলাম আমরা একটু খেতে পারি আর কি।

cbd640fd-4991-4a2b-8a00-d2e745527800.jpg

যাই হোক এরপরে, নিজে গোসল করলাম মেয়েকে গোসল করিয়ে দিলাম। যেহেতু আজকে মেয়ের আরবি পড়তে যাওয়ার দরকার হয়নি শুক্রবার ছিলো, তাই ওকে দুপুরে খাবার খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে ছিলাম। মেয়ে ঘুমিয়ে ছিল সেই ফাকে বাবুর দিকে একটু খেয়াল নিলাম, ছোট ছোট হাতে ছোট নক দেখতে ছিলাম তাই একটু কেটে পরিষ্কার করে দিলাম। কাটার পরে হাত টা যেন নামাতেই চাচ্ছিল না, আমার হাত থেকে এত ছোট বাচ্চার এত সুন্দর মুহূর্ত তাই আমি ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছি।

455db3b9-d17b-4d8e-9922-e0ca7671de4e.jpg

এরপরে সবাই মিলে দুপুরে খাবার খেলাম, খানিক টা সময় রেস্ট করলাম। এর মাঝে আসরের আযান দিয়ে দিলো,বারান্দায় অনেক গুলো জামা কাপড় ছিল জামা কাপড় এনে গুছিয়ে রাখলাম। এইতো এরকম ছোট ছোট কাজ করতে করতে সন্ধ্যা চলে আসলো।। সন্ধ্যা থেকে এই অব্দি আরো অনেক কিছু করা হয়েছে তবে সেগুলো আর না বলি আজ এখানেই শেষ করছি,,।

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আগামী দিনগুলো যেন এভাবে ভালো কাটাতে পারি সেই প্রত্যাশা রেখে আজ আমি এখান থেকেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।।

Sort:  
Loading...

💦💥2️⃣0️⃣2️⃣5️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project

@tipu curate

 2 days ago 

এই পোস্টটি খুবই হৃদয়গ্রাহী এবং পরিবারে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও যত্নের যে উজ্জ্বল চিত্র আপনি তুলে ধরেছেন, তা অত্যন্ত সুন্দর। আপনার আম্মু দেশ চলে যাওয়ার কথা শুনে মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক, তবে এটি যে আমাদের জীবনের এক অংশ, তা মেনে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে, আপনার ছোট্ট শিশুর প্রতি যত্ন এবং মেয়ে পড়ানোর সময়টিও খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার হাতে ছোট্ট শিশুর হাত রাখার মুহূর্তটি তো সত্যিই অতি মর্মস্পর্শী!

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 96580.26
ETH 2763.74
SBD 0.66