Better Life With Steem || The Diary Game || 10rd February 2025
Photo edited by canva
প্রিয় বন্ধুরা শুভ সকাল জানিয়ে শুরু করছি, আজ সকাল টা শুরু করেছিলাম অনেক দূর থেকে প্রতিদিনের মতো আজও ফজরের আজানে ঘুমটা ভেঙ্গেছে,, এরপরে সকালের চা বিস্কুট দিয়ে নাস্তা টা করেছি, এরপরে কিছুক্ষণের জন্য বারান্দায় গিয়েছিলাম চারিদিকে কুয়াশা ছিলো তখন কুয়াশার ঘোর কাটেনি।
এরপরে রুমে এসে, আম্মুর সাথে বেশ খানিক টা সময় কথা বললাম কারণ, আজ সে গ্রামের বাড়ি থেকে আমাদের বাসায় আসতেছে, মা আসার আনন্দ যে কত খানি তা বলে বোঝানো যাবে না, ইদানিং খুব ভয় হয় ভিতরে একটা ভয় ঢুকে গিয়েছে , আমার শশুর মারা যাবার পর থেকেই কারণ হঠাৎ করে একটা ভালো রাখার মত মানুষ যখন চলে যায় , তখন নিজেকে বড় একলা মনে হয়।
আর এমন সময় পাশে আসছে আমার আম্মু, সত্যি মায়ের এমন ভালোবাসার ঋণ হয়তো কোনদিন শোধ করতে পারবো না।এরপরে কয়েক টা বড়ই খেয়েছিলাম এই গুলো গতকাল কে বাজার থেকে এনেছিলো, খেতে ভীষণ মিষ্টি ছিলো,আমি ব্যক্তি গত ভাবে বড়ই টা একটু বেশিই পছন্দ করি।
এরপরে, বসে থাকা হয়নি ছোটখাটো অনেক কাজ করেছি। ঘর গুছিয়েছি জামা কাপড় গুলো গুছিয়ে রেখেছি। এরপরে গুলো পরিষ্কার করেছি এগুলো যেন নিত্যদিনের কাজ যত এই করি না কেন শেষ হয় না। আমার কাছে মাঝেমধ্যে এত বিরক্ত লাগে যে টা বলে বোঝানো যাবে না।
আমি গুছিয়ে রাখতে বেশ পছন্দ করি তবে, সেগুলো যখন এলোমেলো দেখা যায় তখন মাথাটা আর ঠান্ডা রাখতে পারি না।
আমার এই কাজের ফাঁকে শাশুড়ি আম্মা দুপুরে রান্না করেছিলো কচুর লতি দিয়ে ছোট মাছের চচ্চড়ি, বেগুন ভাজা, সেই সাথে চিংড়ি মাছের ভর্তা, শাশুড়ি আম্মা রান্না শেষে রানাঘর টা পরিষ্কার করে মেয়ে কে নিয়ে গোসল করে আসলাম।
এর মাঝে জোহরের আজান হলো নামাজ আদায় করে নিলাম,আমার আম্মুকে নিয়ে হাজবেন্ডও বাসায় চলে আসলো , মা কে পেয়ে তো আমি ভীষণ খুশি, এর পরে সবাই মিলে একসাথে মজা করে দুপুরে খাবার টা শেষ করলাম।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে, আম্মু সাথে বেশ কিছু সময় গল্প করলাম, আজ বিকালে খুব ভালো একটা সময় কেটেছে আমার, এর মাঝে আসরের আজান হলো। নামাজ আদায় করে সবাই মিলে বাদাম ভাজা খেয়েছিলাম, বাদাম খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার কম বেশি সবাই খাবারের তালিকায় প্রতিদিন বাদাম খাওয়া খুবই জরুরী। শুধু এখন না আমি সব সময় চেষ্টা করতাম অল্প পরিমানে হলেও কিছুটা বাদাম খাওয়া।
এরপরে সন্ধ্যায় , মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম প্রতিদিনের মতো মেয়েকে খানিক টা সময় বই পড়াতে বসে ছিলাম,আর রাতে সবাই মিলে বিরিয়ানি খেয়েছিলাম, আমার আম্মু বাড়ি থেকে আসার সময় বিরিয়ানি রান্না করে নিয়ে এসেছিলো,আর সেটা দিয়ে সবাই মিলে রাতের খাবার টা শেষ করেছিলাম।
সব মিলিয়ে আমার আজকের দিনটা ভীষণ রকমের ভালো কেটেছে, দোয়া করবেন প্রতিটা দিন যেন এভাবে ভালো কাটাতে পারি, এবং আপনাদের সাথে প্রত্যেক দিনের কার্যক্রম শেয়ার করতে পারি। আল্লাহ হাফেজ।।

আপনার পুরো দিনটা বেশ আনন্দে কাটিয়েছেন পোষ্টটা পরে বুঝা গেল। আপনাদের এলাকাতে মনে হয় এখনও কুয়াশা পরছে সকালে ছবি দেখে যা বোঝা গেল। পোষ্টটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি আপনার দিনটি অনেক সুন্দর এবং পরিপূর্ণ ছিল বিশেষ করে মায়ের আসার খবর শুনলে কার না ভালো লাগে বলুন? মা-বাবার ভালোবাসা যে কতটা অমূল্য সেটি আপনি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। ছোট ছোট কাজের মধ্য যেভাবে সান্তনা এবং শান্তি খুঁজে পেয়েছেন তা সত্যি অনুপ্রাণাদায়ক। আপনি আপনার অভিজ্ঞতাও বিশেষ মজাদার কচুর লতি দিয়ে ছোট মাছের চচ্চড়ি ও বিরিয়ানি আর বাদাম খাওয়ার অভ্যাসটাও খুব ভালই লাগলো। ভালো থাকবেন।
আপনার পোস্টটি সত্যিই হৃদয়গ্রাহী এবং আনন্দদায়ক। মায়ের সাথে কাটানো সময়, ছোট ছোট বিষয়গুলোকে মূল্য দেয়ার অভ্যাস, এবং একে অপরের সান্নিধ্যে শান্তি খুঁজে পাওয়া সব কিছুই এক অপূর্ব অনুভূতি। মায়ের ভালোবাসা যেন জীবনের অমূল্য রত্ন, যেটি কখনোই শোধ করা সম্ভব নয়। আপনার প্রতিদিনের কাজকর্মের মধ্যে এমন সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি, আপনার প্রতিটি দিন এমন ভালো কাটবে, যেখানে সুখ, শান্তি, এবং ভালোবাসা সব কিছুই থাকবে। আল্লাহ হাফেজ!