বিগত কয়েক দিনের, পরিস্থিতি কে সামাল দিয়ে শাশুড়ি আম্মাকে নিয়ে বাসায় ফেরা।
জীবন টা বড় অদ্ভুত, কখন যে কি হয়ে যায় তা বলা মুশকিল ভাবাও যায় না, সৃষ্টিকর্তার আদেশে যেমন একটা পাতাও নড়ে না, ঠিক তার হুকুমে এই আবার একটা গোছানো পরিবার এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব এলোমেলো হয়ে যেতে পারে।
এইতো গত সপ্তাহে এমন সময় কি ভেবে ছিলাম এমন একটা দিনের অপেক্ষা করতে হবে, এত তাড়াতাড়ি একটা মানুষ না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার কারণে, পরিবারের মোর টা যেনো ঘুরে গেলো। এখনো যেন বিশ্বাসই করতে পারছি না, আমার শ্বশুর মারা গেছে,, কিন্তুু এটাই বিশ্বাস করে নিতে হবে বিগত কয়েক দিন যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি সেটা সত্যি আমার জন্য অনেক বেশি ভয়াবহ ছিল।
কখনো ভাবি নি এমন দিনের সম্মুখীন হতে হবে আমাকে।তবুও কিছু করার নেই সৃষ্টিকর্তায় হুকুমে সবকিছু হয়ে থাকে তিনি যেটা করেছে হয়তো আমাদের মঙ্গলের জন্যই করেছে, গত এক সপ্তাহ যাবত শশুর মারা যাবার কারণে বাড়িতে ছিলাম এবং বিগতই দিনগুলো ছিল আমার জন্য খুবই ভয়াবহ, এত টেনশন এত দুশ্চিন্তা মাথার উপর দিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছিলো যেটা বলার ভাষা নেই।
তবুও সব কিছু সামলিয়ে বাড়ি ঘর জায়গা জমি সবকিছু রেখে শাশুড়ি আম্মাকে নিয়ে আবার আমি বাসায় ফিরেছি, যেহেতু আমি একমাত্র তার ছেলের বউ তাই সব দায়িত্ব আমার মাথার উপরে,অনেক টেনশন হয় আমি কি পারবো এসব কিছু সামলিয়ে নতুন করে সংসার শুরু করতে,
যেহেতু এখন সে একা তাই বাড়িতে একা একা কোনভাবে এই থাকতে পারবে না। বিভিন্ন ধরনের টেনশন দুশ্চিন্তা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বে সে, তাই তার সুস্থতার কথা চিন্তা করে যে মানুষটা চলে গেছে তো গেছেই, যে বেঁচে আছে তাকে ভালো রাখার জন্য হাজারো বার বুঝিয়ে আমি আমাদের বাসায় নিয়ে এসেছি।
কারণ, এখানে থাকলে কিছুটা হলেও সুস্থ থাকবে, যদিও তার এত কয়েক বছরের বছর বললে ভুল হবে যুগ পেরিয়ে গিয়েছে তার সংসারের, এই মায়া ত্যাগ করে বাড়ি ঘর ত্যাগ করে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে, যেহেতু, আমি এখন অসুস্থ তাই সবদিকে বিবেচনা করেই আমি আমার কাছে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কারণ,তাকে একা বাড়িতে রাখলে আবার অন্য টেনশন বেড়ে যাবে, আর একটা মানুষ এত দুঃখ খেয়াল দিয়ে কি ভাবে পারা যায় , তাই সবশেষে যতদিন ঢাকায় থাকবো তাকে সাথে করে নিয়েই থাকবো,,।কারণ চারদিকের মানুষ অনেক কথা বলতে পারে কখনো কেউ সাহস দিবে না পাশেও থাকবে না, তাই আমার মনে হয় নিজের মতামতকে প্রধান্য দিয়ে , সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই ভালো।
গতকাল কে, ঢাকায় ফিরেছিলাম, বিগত এই কয়েক দিন সব কিছুই এলোমেলো ছিলো, যদিও এই এলোমেলো থাকবে আরো কিছুদিন তবে, সব কিছু সামনে নিয়ে আবার নিজের মতো করে কাজ করার চেষ্টা করতেছি সেটা সবদিক থেকে,,তবে মনের মধ্যে একটা ভয় ঢুকেই গিয়েছে আমি কি পারবো এত কিছু,,।
বাসায় এসে খানিক টা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি, আর নিতে নিতে গত দিনগুলোর কথা আবার মনে পড়ে গেলো, আমার শ্বশুরের নামে বড় অনুষ্ঠান করা, আত্মীয়-স্বজন আসা যাওয়া করা, হাজারো চিন্তাভাবনা মাথায় রেখে বাড়ি প্রত্যেক টা জিনিস গুছিয়ে রেখে একটা বড় তালা ঝুলিয়ে গতকালকে বাসায় এসেছি।
কি যে খারাপ লাগা কাজ করছিল তখন, ঢাকায় ফেরার আর কোন ইচ্ছাই ছিল না, তবে, ওই যে নিয়তির খেলা কখন কোথায় কি ঘটবে কখন কি হবে তা শুধু একমাত্র উপর ওয়ালাই ভালো জানেন।এই কয় টা দিন আমার মনে হচ্ছিল আমি অন্য জগতে আছি।
যাইহোক, বাসায় যখন ফিরেছি চেষ্টা করবো নিজেকে আবার স্বাভাবিক ভাবে কাজের জায়গাতে ফিরিয়ে আনার, সত্যি কথা বলতে কি যে লিখবো সেটার ভাষায় খুঁজে পাচ্ছি না। কারণ মনটা এত বেশি খারাপ লেখার কোন মন-মানসিকতা খুঁজে পাচ্ছি না।
তো সবাই ভালো থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন যেন জীবনের প্রত্যেক টা পদে পদে যত কঠিন সময় আসুক না কেন নিজেকে সে সময়ের সাথে মোকাবেলা করে সুস্থ রাখতে পারি।
আসলে নিয়তি এমন একটা জিনিস আমাদের সাথে কখন কি ঘটবে সেটা আমরা কেউ জানিনা তবে যেটা ঘটবে সেটা মেনে নিতেই হবে আপনার শ্বশুর মারা গেছে জানতে পেরে খুব খারাপ লেগেছিল কেউ আমরা এই পৃথিবীতে বেশিদিন থাকবো না সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে তবে একটা মানুষ হঠাৎ করে চলে যাওয়ার পর মানুষ অনেকটাই ভেঙ্গে পরের ভেতর থেকে বিশেষ করে আপনার ওই দিনের পোস্ট পরিদর্শন করে যতটুকু বুঝলাম।
যেহেতু আপনি নিজেও অসুস্থ আপনার শাশুড়ি অসুস্থ বাড়িতে এভাবে একা রেখে আসাটা ঠিক হবে না তাই আপনারা ওনাকে নিয়ে ঢাকায় চলে এসেছেন বেশ ভালো কাজ করেছেন আসলে একা একা থাকলে হয়তো বা মানুষটা আরো ভেঙ্গে পড়বে কোন কিছু ঠিকভাবে করতে পারবে না আরো অনেক সমস্যা চিন্তা করবেন না ইনশাল্লাহ সঠিকভাবে সবকিছুই আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে ভালো থাকবেন।
আমাদের জীবনে কিছু কিছু ঘটনা অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়ে যায় অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে যায়।।
যেমন বলেছেন সৃষ্টিকর্তার আদেশ ছাড়া একটি গাছের পাতাও নড়ে না ঠিক তেমনি সৃষ্টিকর্তার হুকুম ছাড়া কোন প্রাণীর মৃত্যু হয় না।। একটি গোছানো সংসার সৃষ্টিকর্তা চাইলে মুহূর্তের মধ্যেই সবকিছু এলোমেলো করে দিতে পারে।। কিন্তু আমাদের মেনে নেওয়া ছাড়া কিছু করার নেই সবকিছুই যে তার হাতে।।
হঠাৎ করে এরকম ঘটনা যে কারো সাথে ঘটলে অনেক বেশি ভয়াবহ মধ্যে দিয়ে তার দিন পার হবে এটাই স্বাভাবিক।। তবে দোয়া করি সবকিছু ভুলে আপনার শাশুড়ি ও আপনারা সকলেই যেন স্বাভাবিকের ফিরে আসতে পারেন।।
চেষ্টা করছি নিজেদেরকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার তবে এত বড় একটা শোক আঘাত এমন ভাবে ভিতরে বাসা বেধেছে যেন সবকিছুই ভুলে যাচ্ছে দিনদিন,,
আগামী দিনগুলো কিভাবে জানিনা তবে চেষ্টা করছি নতুন করে সব কিছু শুরু করার তবে কিছু কিছু স্মৃতি থাকে যেগুলো ভোলা একেবারেই অসম্ভব।
আপনার পোস্ট পড়ে গভীরভাবে স্পর্শ পেয়েছি। এই কঠিন সময়ে আপনি যে সাহসের সাথে শাশুড়ি আম্মাকে নিয়ে ফিরে এসেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। জীবনের নানা পরীক্ষার মুখোমুখি হয়ে আপনি নিজের দায়িত্ব পালন করছেন, তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। আশা করি, ধীরে ধীরে সব কষ্ট কাটিয়ে আপনি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন। আপনার এই সংগ্রামের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহ আপনাকে শক্তি ও শান্তি দিন এই কামনাই করি। আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ, আপনাকে আমার শুভকামনা রইলো।
মানুষের জীবনটাই এরকম আপু। এই আছে এই নাই, আপনার শশুর মারা গিয়েছে এই বিষয়টা আমি প্রায় ১০-১৫ দিন আগে শুনেছিলাম । আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে আরেকটু আপনার ফ্যামিলির সম্পর্কে জানতে পারলাম এটা ভালই করেছেন আপনার শাশুড়ি মাকে ঢাকায় নিয়ে আসছেন। গ্রামে থাকলে সে অনেকে একা হয়ে যেত। আপনার শুশুরের জন্য দোয়া রইল আল্লাহ যেন উনাকে জান্নাতবাসি করে।