অনেক দিন পরে সাহেবের সাথে গিয়ে কিছু কেনাকাটা করার সুন্দর মুহূর্ত।
Photo edited by canva
এবার বাড়ি থেকে ঢাকায় আসার পরে অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম একটু কেনাকাটা করার প্রয়োজন বাহিরে যাওয়া দরকার, তবে ইদানিং এত বেশি ঠান্ডা এবং কুয়াশা পড়ে বাহিরে বের হতেই মন চায় না, অন্যদিকে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র গুলো শেষ হয়ে যাওয়ার পরে, সেগুলো কিনে আনতে না পারলেও ভালো লাগে না।
অন্যদিকে আমার হাসবেন্ডের যে চাকরি ঠিকমতো বাসায় এসে রেস্ট নেওয়ার এই সুযোগ পায় না, তার উপরে যদি বলি এটা ওটা আনতে হবে তাহলে সে আমাকে টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলে কষ্ট করে হলেও গিয়ে নিজে নিয়ে আসো,, তবে সময় একদম যে পায় না সে টা বললে ভুল হবে, তবে যতটুকু সময় পায় ফোনে তার খেলা দেখতে দেখতেই চলে যায়,,,মানে বলা যায় কেনাকাটা করা বাজার করা ঘুরে ঘুরে তার খুব একটা পছন্দ না,,।
তবে, বিয়ের আগে যেমন এই থাকুক না কেন বিয়ের পরে সংসার, সন্তান, স্ত্রী, এদের নিয়ে চলতে গেলে এই মতামত নিয়ে কিন্তুু চলা যাবে না, সেটা আমি তাকে খুব ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিলাম।তাই আজ আর দেরি না করে,অফিস থেকে আসার পরেই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিকাল বেলা বেরিয়ে পড়লাম,,।
কিছু কেনাকাটা করার জন্য, সকালের তুলনায় বিকাল বেলা টা বেশ ভালো লাগে, হালকা রোদ্র সেই সাথে বাতাসের পরিমাণটা ও খানিক টা কম ছিলো,বাসা থেকে খুব একটা দূরে নয়, তাই দুই জনে মিলে কথা বলতে বলতে হেঁটে মার্কেটের কাজ পর্যন্ত চলে গেলাম,,।
ভাইরে ভাই একটা সংসার যে কত কিছু প্রয়োজন সেটা হয়তো নতুন করে সংসার না শুরু করলে বুঝতাম এই না, কারণ এতদিন শাশুড়ি আম্মার কাছে ছিলাম ঘরের প্রত্যেক টা জিনিস তার হাতে করা, কখনো জিনিস টা প্রয়োজন অপ্রয়োজন সেটা বুঝতেই পারিনি,, আমার শশুর যখন বাজার করতে যেতো তিনি তার হাতে লিস্টে ধরিয়ে দিতেন যার, কারণে খুব একটা চাপ আমার মাথায় পড়েনি।
তবে, এখানে এসে সংসার শুরু করে কত যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, আমার ভাবা যায় এই আমি আর সেই আমি, মাঝেমধ্যে এগুলো নিয়ে চিন্তা করলে মাথা যেন আমার ঘুরে যায়। যাইহোক ভিতরে ঢুকেই অনেক শুকনো বাজার নিলাম, প্রয়োজনের তো আর শেষ
এরপরে একটা অলিভ অয়েল তেল,মেয়ের জন্য ক্রিম, আমার জন্য একটা ফেস ওয়াশ নিলাম। যেগুলো ছিলো লিস্টির বাহিরে, এসব কেনা শেষ করতে আমার মেয়ে শুরু করে দিছে তার একটা খেলনা লাগবেই। যদিও খুব একটা বারনা ধরেনি তবে, ওর মুখটা দেখে বুঝতে পারছিলাম এটা কিনে দিলে বেশ খুশি হবে, তাই ওর জন্য একটা খেলনা কিনলাম,
এরপরে কিছু শুকনা খাবার কিনলাম, এই লাড্ডু গুলো কেমন লাগছে বলবেন তো, আমি তো দেখে আর লোভ সামলাতে পারিনি। বাদাম, বিস্কিুট, চকলেট, খেজুর, এসব কেনাকাটা শেষ করতে করতে মনে হলো আর বেশি কিছু কেনা যাবে না, হাজবেন্ডের পকেট আজকে খালি হয়ে যাবে।
কিন্তুু কথায় আছে না, মেয়েদের কে নিয়ে মার্কেটে গেলে যা হয় আর কি কেনাকাটা শেষের দিকে, এমন সময় এই সুন্দর ব্যক্তি আমার চোখের সামনে পড়েছে দেখি এত পছন্দ হয়েছিল আমার, ছবিতে যেমন লাগছে দেখতে কাছ থেকে আরও বেশি সুন্দর ভিতর টা তো আরো সুন্দর। কিন্তুু এটার প্রাইজ ছিলো ৯০০ টাকা , যেটা কিনা এই মুহূর্তে অসম্ভব এমনিতে এই অনেক টাকা বিল আসবে।
তাই ফোনে ছবি তুলে নিলাম দেখে মনের শান্তি মিলবে, যদিও হাসবেন্ড কে বললে হয়তো বা কিনে দিতো তবে, তাকে বোঝার দায়িত্ব ও কিন্তুু আমার,,যেহেতু সংসার দুই জনের তাই দুই জনের চিন্তাভাবনা দিয়েই সবকিছু করা উচিত। তাই কিছু কিছু শখ সব সময় পূরণ করতে হয় না, এটা মনকে বুঝিয়ে নিলাম।
এরপরে, আমার হাজব্যান্ড সেখানে এর বিল দিলো এবং আমরা তিনজনে মিলে তিন টা চকলেট খেতে খেতে বাসায় চলে এসেছিলাম ,,, সবমিলিয়ে আজকে কেনাকাটার এই মুহূর্ত আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।
যাইহোক, আজ এ পর্যন্ত পরবর্তী পোস্টে দেখা হবে ততক্ষণ সময় ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।।
আপু আপনার দৈনন্দিন দিনের কর্মকাণ্ড আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম আপনি একটু ব্যস্ত তম দিন পার করেছেন। মাঝে দুই দিন শীত কমলেও এখন আবার বেশি পড়া শুরু করেছে। বিশেষ করে সকালবেলা কুয়াশায় চারপাশ দেখা যায় না।
আপনার পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Curated by : @miftahulrizky
@miftahulrizky
Thank you my dear friend ❤️
অনেক সুন্দর একটা দিন প্রবাহিত করেছেন আপনারা দুইজন মিলে। যা দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনারা দুইজন মিলে একটা সুপারশোপে গিয়েছেন অনেক কিছুই কিনেছেন। এত সুন্দর একটা আনন্দ মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সংসারের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মতামত এক থাকতে হবে! না হলে সংসার চলবে না, এটা সত্য কথা। আবারো বললাম,আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আপনার কেনাকাটার সুন্দর মুহূর্তগুলোর বর্ণনা সত্যিই মন ছুঁয়ে গেল। প্রতিটি ছোটখাটো অনুভূতির এত সুন্দর উপস্থাপনা পড়ে মনে হলো যেন আমি নিজেও আপনার সাথে কেনাকাটায় ছিলাম। সংসার জীবনের দায়িত্ববোধ আর ভালোবাসা আপনার লেখায় দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। এমন গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভবিষ্যতেও এ ধরনের পোস্ট নিয়ে আসার অপেক্ষায় থাকলাম। আল্লাহ আপনাদের পরিবারে শান্তি ও সুখ দান করুন। আল্লাহ হাফেজ!
আপনি আপনার হাসবেন্ডের সাথে কেনাকাটা করতে গিয়েছেন আসলে যারা চাকরি করে তাদেরকে নিয়ে কেনাকাটার তেমন একটা সময় হয় না কেননা তারা অনেক বেশি ব্যস্ত থাকে সময়টা সঠিকভাবে মিলিয়ে নিতে পারে না কিন্তু তারপরেও আপনার হাসবেন্ড আপনাকে যেটুকু সময় দিয়েছে এর চাইতে বড় পাওয়া হয়তোবা আপনার জন্য কিছু হতে পারে না।
আমরা মেয়েরা একটা জিনিস কিনতে গেলে আমাদের আরও তিনটা জিনিস পছন্দ হয় তাই হয়তো বা অনেকেই তাদের ওয়াইফ কিংবা মেয়েদেরকে নিয়ে মার্কেটে যায় না আপনি আমরা হাজবেন্ডের সাথে বেশ কিছু জিনিস কিনেছেন এবং চকলেট খেতে খেতে বাসায় ফিরে এসেছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।