আজকে আমাদের ইফতারি ছিলো তার কিছু মুহূর্ত।
আজকে আমাদের ইফতারি ছিলো তার কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য চলে এসেছি,, আশা করি আমার আজকের লেখাটি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে,, আজকে আমার শরীরটা খুব বেশি ভালো নেই,, তবে পরিশ্রম কিছুটা হলেও করতে হয়েছে।
আজকে কাজ করতে পারি নাই কারণ শরীরটা অনেক বেশি খারাপ,, তবে সন্ধ্যার সময় কিছুটা কাজ করতে হয়েছে ইফতারির জন্য,, আসলে শরীর খারাপ বলতে গতকাল রাতে প্রতি দিনের মতো ঘুমিয়ে যায়,, কিন্তু সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি ঘাড়ে অনেক ব্যথা হয়েছে,, এবং ঘাড় কোনো দিকে ঘুরাতে পারছি না যে কোনো এক সাইড হয়ে আছে।
সকালে ঔষধ খেয়েছি দুপুরেও ভাত খেয়ে ঔষধ খেয়েছি এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের আরাম পায়নি,, যার জন্য আজকে কাজ করা আমার দিয়ে সম্ভব হয়ে ওঠেনি,, আজকের দিনটা পুরো রুমে শুয়ে কাটিয়ে দিয়েছি,, কারণ হাঁটা চলাচল করতে গেলেও ঘাড়ে অনেক ব্যাথা লাগছে।
যাইহোক পাঁচটার সময় আমার ভাইয়েরা সব কাজ থেকে চলে আসে,, এবং আজকে বিকালে আমাদের এখানে বৃষ্টি হয় অনেক বেশি,, ইফতারির জন্য আমরা খিচুড়ির আয়োজন করেছিলাম,, যেহেতু আজকে আমাদের ইফতারি দিতে হবে তাই সেখানে তো অবশ্যই কাজ করতে হবে।
তার পাশাপাশি বৃষ্টির জন্য অনেক দেরি হয়ে যায়,, তাই ভাবলাম বসে না থেকে তাদের সাথে একটু কাজ করে দিতে থাকি,, মাংস আমাদের একটি ভাই কেটে পরিষ্কার করে রেখেছিল,, এবং আমিও অন্য একটি ভাই ঝাল পেঁয়াজ এই ধরনের কাজ করছিলাম।
এবং এখানে রান্না করার জন্য দুটি ভাইকে দায়িত্ব দেওয়া আছে,, তাদের কাছে সব জিনিস গুলো দিয়ে আসলে তারা রান্না করে দেয়,, তার পাশাপাশি বৃষ্টি হওয়ার জন্য কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছে,, তাই আমাদের একটু দ্রুত সবাইকে কাজ করতে হয়েছে।
যাহোক ইফতারের জন্য খেজুর ও খিচুড়ি শসার ও ঠান্ডা পানির আয়োজন করা হয়,, আসলে মালয়েশিয়াতে আমি আসার পরে দুইটি রোজা পেয়েছি,, তবে কোথাও এভাবে ইফতারের আয়োজন করা হয় না,, এখানে এসে এই উদ্যোগটা দেখে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে,, ঠিক আমাদের বাংলাদেশের মতো ইফতারের আয়োজন এখানে সত্যিই মুগ্ধ করেছে আমার।
রোজা অনেক মানুষ থাকে না তবে ইফতারের দাওয়াত সবাইকে দেওয়া আছে,, যারা যারা নামাজ পড়তে আসে তারা সবাই এখানে এসে ইফতারি করে,, আসলে রোজা থাকতে পারে না সারাদিন পরিশ্রমের জন্য,, কারণ এই বাহিরে অনেক বেশি পরিশ্রম আমাদের করতে হয়,, সবাই এখানে রোজা থাকতে পারে না।
তবে এখানে এইটা কোনো বিষয় না সবাই ইফতারি করতে পারবে প্রায় ৩০ জনের মতো মানুষ হয়,, বাংলাদেশের মতো সবাই এক সাথে বসে ইফতারি করা সত্যি আমাদের কাছে একটা আনন্দের বিষয়।
আমি অবশ্যই এখনো কোনো দিন এখানে ইফতারি করি নাই,, তবে গতকাল ইফতারের কিছু খাদ্য খেয়েছিলাম,, এবং আজকে আমাদের ইফতারি ছিলো তাই আজকে খেয়েছি,, এবং যারা রান্না করেছে সত্যি অনেক সুন্দর রান্না ছিলো খেতে তো অনেক ভালো লেগেছে।
যাইহোক এই বাহিরে এসে সবাই এক সাথে বসে ইফতারি করতে পেরে আমরা সবাই আনন্দিত,, এবং সারাদিন পরিশ্রম করার পরে রোজার মাসে এই এক সাথে সবাই কিছুটা সময় কথা বলা বা ইফতারি করা নামাজ পড়া এটা সত্যি আমাদের জন্য আনন্দের বিষয় ছিলো।
সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া রাখবেন,, আমি যেনো খুবই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারি,, জানি না হঠাৎ করে ঘাড়ের সমস্যাটা কিসের জন্য দেখা দিয়েছে,, তবে ঔষধ খাচ্ছি আশা করি খুবই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবো,, সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন এবং নিজের পরিবারের দিকে খেয়াল রাখবেন।