আমি ঈদের দিনটি যে ভাবে কাটিয়ে ছিলাম তার কিছু মুহূর্ত।

in Incredible India5 days ago

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে ঈদের দিনের সকালের কিছু ছবি শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। এবং ঈদের দিন কি ভাবে কাটিয়ে ছিলাম সেই মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আজকে। অবশ্যই ঈদ হয়ে গিয়েছে এখান থেকে বেশ কিছু দিন আগে। তবে ঈদের দিন কি ভাবে কাটিয়ে ছিলাম সেটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়নি।

1000062028.jpg

1000062027.jpg

এমনিতে পরপর দুই তিনটা ঈদ পার করেছি অনেক কষ্ট নিয়ে। সেভাবে মনের মধ্যে কোন আনন্দ ছিলো না তবে এবারের ঈদটা অনেক সুন্দর ভাবে কেটেছিল। সকাল বেলা অনেক ভোরে আমাদের রুম থেকে একটি ভাই আমাকে ডাক দিয়েছিল ফরজের নামাজ আদায় করার জন্য। ঈদের নামাজ আদায় করার আগে অবশ্যই ফরজের নামাজ আদায় করতে হয়।

1000062025.jpg

1000062026.jpg

সেই ভাইটির ডাকার সাথে সাথে বিছানা ছেড়ে ঘুম থেকে উঠে গোসল করার জন্য রওনা দিয়ে ছিলাম। এবং ঈদের আগের রাতে আমরা মাংস রান্না করে রেখেছিলাম। কারণ ঈদের দিন সবাই নিজেদের পরিবার নিয়ে ব্যস্ত থাকবে রান্নার জন্য অতোটা ব্যস্ত কেউ থাকতে চায় না। গোসল শেষ করে এসে ফরজের নামাজ টি শেষ করে নিয়ে ছিলাম।

আমি সর্ব প্রথম মনে করেছিলাম লুঙ্গি পরে নামাজ পড়তে যাবো। কারণ বাড়ি থাকতে লুঙ্গি পরে ঈদের নামাজ আদায় করতাম। অবশ্যই পরে প্যান্ট পড়ে ঘুরতে বের হতাম তবে নামাজটা লুঙ্গি পরেই পড়তাম। তবে আমার খালাতো ভাই বলল সবাই প্যান্ট পড়ে যাচ্ছে তুইও প্যান্ট পরে আয় এবং খেয়াল করে দেখলাম সবাই সত্যি প্যান্ট পরে যাচ্ছে।

1000062013.jpg

1000062015.jpg

1000062014.jpg

তাই আমিও প্যান্ট পরে পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে ভাইদের সাথে রওনা দিয়ে ছিলাম। ঈদের দিন গাড়ি থাকে না কারণ সবাই নামাজ আদায় করতে যাবে। মসজিদটা অনেকটা দুরে ছিলো আমাদের সবাইকে হেঁটে যেতে হয়। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন আমরা হেটে রওনা দিয়ে ছিলাম মসজিদে নামাজ আদায় করার জন্য।

1000062056.jpg

1000062059.jpg

1000062060.jpg

তিন থেকে চার কিলোমিটার পথ আমাদের হেঁটে যেতে হয় নামাজ আদায় করার জন্য। এবং সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম মসজিদটা অনেক সুন্দর। এবং বিশেষ করে মালয়েশিয়ার মধ্যে মসজিদটা অনেক সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে। অবশ্যই এখানে মন্দিরও অনেক সুন্দর সুন্দর করে তৈরি করে। সাথে সাথে মসজিদ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে তারা তৈরি করে রেখেছে।

1000062029.jpg

1000062030.jpg

মসজিদের মধ্যে প্রায় এক দুই হাজার মানুষ জামাত আদায় করতে পারবে এতটাই আয়তন বড় ছিলো। সামনে থেকে দেখলে খুব বেশি বোঝা যায় না। তবে ভেতরে গেলে বোঝা যায় কতটা বড় আছে। আমরা যেহেতু অনেকটা পথ হেঁটে গিয়েছি দেখতে পেলাম মসজিদের ভেতরে জায়গা নেই। এবং মসজিদের অংশ অন্য সাইডে মানুষ ভর্তি আছে সেখানে গিয়ে আমরা বসে পড়লাম।

1000062068.jpg

1000062067.jpg

1000062065.jpg

1000062064.jpg

1000062066.jpg

খুতবা শুনতে শুনতে নামাজের সময় হয়ে যায় তখন আমরা নামাজ আদায় করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসি। আসার সময় কিছু ছবি ধারণ করে ছিলাম আমার ভাই এবং অন্য ভাইদের সাথে। সেই ছবি গুলো অবশ্যই আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করেছি। এবং ঈদের দিন বাহিরে যাওয়ার কোন ইচ্ছা আমাদের ছিলো না। ছিলো ঈদের পরের দিন বাহিরে যাওয়ার কথা সেই কথা অনুযায়ী আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম যা আপনারা জানেন।

1000062047.jpg

1000062050.jpg

1000062049.jpg

1000062048.jpg

নামাজ আদায় করে আবার হাঁটতে হাঁটতে আমরা রুমে চলে আসি। এসে লাচ্ছা সেমাই রান্না করেছিল আমার ভাইয়া। সেগুলো আমরা খাওয়া দাওয়া করে নিজেদের মতো করে পরিবারের সাথে কথা বলছিল সবাই আমি বাদে। আমি শুধু কথা বলেছিলাম আমার ভাবির সাথে। যাইহোক এভাবে ঈদের নামাজ আমাদের শেষ হয়ে যায়। যদি বাংলাদেশে থাকতাম তাহলে অবশ্যই কিছুটা ঈদের সালামি পেতাম। সেই তুলনায় এখন বাহিরে আছি বলে ভাবি ও তার বোন আর খালা কে ঈদের সালামি টা দিয়ে ছিলাম।

1000045708.png

1000046883.gif

ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।

@baizid123

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Loading...

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.24
JST 0.030
BTC 82190.19
ETH 1631.46
USDT 1.00
SBD 0.75