জেনারেল রাইটিং- আজকের কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে রেখো না।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার,
প্রিয় ভাই ও বোনেরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে ভালো আছেন পরিবার-পরিজনকে নিয়ে? আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি এবং সুস্থ আছি সবাইকে নিয়ে। তো সবাইকে লেখার শুরুতে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের ব্লগিংয়ে। আপনারা তো নিশ্চয়ই জানেন বাংলা ভাষা আমাদের জন্য কত প্রিয় একটি মধুর ভাষা। যেই ভাষা আমাদের মায়ের মুখ থেকে শেখা ভাষা। যে ভাষা আমাদের সংগ্রাম করে অর্জিত হয়েছে। সেই ভাষায় ব্লগিং করতে পেরে অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকে আমি আপনাদের সাথে আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য।
বর্তমানে ব্লগিং করতে খুবই ভালো লাগে। যেহেতু নিজের মতো করে সব ধরনের ক্রিয়েটিভিটি সবার সাথে তুলে ধরা যায়। সবার মাধ্যমে খুব সুন্দর সুন্দর অনুভূতি পড়তে পারি। অনেক বেশি ভালো লাগে সবার অনুভূতি জানতে পেরে। তাছাড়া নিজের অনুভূতি গুলো সবার মাঝে শেয়ার করতে পারলে ভীষণ শান্তি পাই। তো বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে মূল ব্লগিং এ চলে যাচ্ছি। আমি আজকে যে বিষয়ে শেয়ার করব তা হচ্ছে যে আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে রাখা যাবেনা সে বিষয় নিয়ে কিছু আমার মনের অনুভূতি। আসলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকে। তো কাজে প্রতি আমাদের খুব সুন্দর একটি মনোযোগ দিয়ে ধৈর্য ধরে করতে হয়। সেটা যেকোনো ধরনের কাজ হোক যদি সময় অনুযায়ী যথাসময়ে কাজটি করা যায় তাহলে একটু বাড়তি চাপ কমে যায়। ধরেন, আজকে করবো কিংবা কালকে করব এরকম করতে করতে অনেক কাজ জমা হয়ে যায়।
যার কারণে সেই পেন্ডিং কাজ গুলো আমাদের করতে অনেক বেশি ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। অবশেষে এমন ক্লান্তি চলে আসে যা আর করতে ভালো লাগেনা। বলতে পারেন যখন এই জমে থাকা পেন্ডিং কাজগুলো করতে যাই তখন একটু বিরক্তি কর ভাব চলে আসে। তাছাড়া সবগুলো কাজ যখনএক সাথে জমা হয়ে পড়ে তখন সে কাজ গুলো করতে গিয়ে হয়তো আমরা মানসিকভাবে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়ি। অথবা কাজ গুলো করতে গিয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যেতে পারি। এছাড়া এভাবে একাধারে যখন সব কাজ করতে যায় তখন কাজের প্রতি অনীহা চলে আসে। এক সময় একঘেয়েমি ভাব চলে আসে। তো পরিশেষে কি হয় কাজের প্রতি আর আগ্রহ থাকে না। তাহলেই আমাদের কি করা উচিত? আমাদের উচিত আমরা অল্প অল্প করে হলেও প্রতিদিন যদি প্রতিদিনের কাজ গুলো করে ফেলি তাহলে আমাদের আর বাড়তি চাপের মধ্যে পড়তে হয় না।
যদি সময় সুযোগ পায় আগামী দিনের কাজ গুলো যদি একটু সাজিয়ে গুছিয়ে রাখি। তাহলে পরের দিন কাজ গুলো করতে আরো বেশি ভালো লাগে। এতে করে হাতে যদি বাড়তি সময় থাকে তাহলে একটু বের হয়ে ঘোরাফেরা করা যায়। শুধু যে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবো কিংবা নিজের কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকবো এমনটা নয়। যেহেতু আমরা প্রকৃতিতে বসবাস করি তাহলে আমাদের চারপাশের পরিবেশের সাথে মিশতে হবে। আমাদের আশেপাশের মানুষের সাথে ভালো মন্দ শেয়ার করতে হবে। তাহলে তারাও আমাদেরকে স্মরণ করবে। যদি নিজেকে এভাবে গৃহবন্দি করে রেখে দিই তাহলে সবাই ভাববে আমরা এড়িয়ে চলতেছি অন্যকে। যার কারণে এক সময় দেখবেন সবাই আমাকে নিজেকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করবে। তো আমাদের করা উচিত সব কিছুর ভিতরে একটু ভারসাম্য বজায় রাখা।
সেটা কাজের ক্ষেত্রে হোক কিংবা পরিবারের লোকজনের সাথে হোক। অথবা বাইরের পরিবেশের সাথে হোক। যদি আমরা ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ জীবন খুবই সুন্দর হবে। তাই আজকের কাজ কালকের জন্য রেখে না দিয়ে করে নেওয়া উচিত। কারণ আমার জন্য তো আগামীকালের জন্য ধারাবাহিক কাজ আছে। তো আমি যদি আজকের কাজ গুলো আবার কালকে করতে যাব তাহলে কালকের গুলো কখন করব? আবার কালকের গুলো যদি আমি পরশুর জন্য রেখে দিই তাহলে পরশুর কাজগুলো কখন করব? তাহলে একটু বাড়তি চাপ হয়ে যাচ্ছে না আমাদের জন্য? তো যতটুকু সম্ভব যদি কাজের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা যায় তাহলে একদিকে আমরা স্বস্তি পাব। অন্যদিকে আমরা কাজ করেও শান্তি পাবো। তাছাড়া কাজের প্রতি আরও বেশি আগ্রহ চলে আসবে। বাড়তি চাপ না থাকলে একটু ফ্যামিলি টাইম কাটাতে পারব। বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সময় দিতে পারবো।
বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে পারব। তাহলে আমাদেরই জীবনটা খুবই সুন্দর হবে। তাহলেই বন্ধুরা সবাই এভাবে কাজ গুলো ধারাবাহিকভাবে করার চেষ্টা করি আমরা। আশা করি আমার আজকের অনুভূতি গুলো অবশ্যই আপনাদের ভালো লাগবে। বন্ধুরা এই কথা গুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম কারণ আমি এই বিষয়টার সাথে খুবই পরিচিত। কারণ হঠাৎ করে যদি কাজ করতে গিয়ে আমার কোন ধরনের বাধা আসে। তখন দেখবেন পরের দিন কাজগুলো করতে গিয়ে আমার খুবই হিমশিম খেতে হয়। যার কারণে আমার আফসোস হয় কেন আমি কালকে কষ্ট করে কাজটা করলাম না। তো আমি এবার থেকে চেষ্টা করতেছি যত কষ্ট করে হোক আমার কাজে কোন পেন্ডিং রাখবো না। আশা করি সবার ভালো লাগবে আমার আজকের লেখা গুলো। আপনাদের কেমন লেগেছে মতামত দিয়ে জানাতে ভুলবেনা বন্ধুরা।

লেখার উৎস | নিজের অনুভূতি থেকে |
---|---|
ইমেজ সোর্স | ভিক্টিজি ডট কম |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
রাইটিং ক্রিয়েটিভিটি | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/22jrmj
একদম যথাযথ বলেছেন আপু, কোনো কাজই আমাদের উচিত নয় আগামীকালের জন্য রেখে দেয়া। বরং সময়ের কাজ সময়ে করাটাই বুদ্ধিমানের বলে মনে করি। এতে করে বাড়তি প্রেসারও ক্রিয়েট হয় না। সবকিছু স্বাভাবিক মনে হয়।
একদম ভাইয়া যদি অযথা সময় নষ্ট করে কাজের চাপ বেড়ে যায় তাহলে খুব কষ্ট হয় করতে।
আপু আপনি সুন্দর একটি শিক্ষা মূলক পোস্ট করছেন। আসলে আপু কালকের জন্য কোন কাজ ফেলে রাখলে দেখা যায় আর সেই কাজ করতে ইচ্ছে করে না। আসলে তখন কাজ ডাবল হয়ে যায়।আর কোন কাজ একটু এগিয়ে রাখলে সত্যি মন ভালো থাকে আর কাজ ও অনেক সহজ হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু কাজ যখন কালকের জন্য ফেলে রাখা হয় তখন বেশ ঝামেলা হয়ে যায় পরের দিন করতে।
ঠিকই বলেছেন আপনি আজকের কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে রেখো না। আমি মনে করি সময়ের কাজ সময়ে করা ভালো। আর পরের জন্য পেলে রাখলে পরের দিন অনেক কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। আর কোন কাজ আপনি পরের জন্য এগিয়ে রাখলে পরের দিন কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ বোধ হয় এবং বেশ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। পড়ে ভালো লাগলো।এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
একটা বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে যথাসময়ে কাজ গুলো শেষ করা। তাহলে কাজ করে অনেক বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়।
কাজ জমিয়ে রাখলে বেশ সমস্যা হয়। যেমন কাজ জমিয়ে রাখলে পরবর্তীতে আমরা কাজটা খুবই দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করি ফলে যথাযথভাবে হয় না। আবার একসঙ্গে অনেক কাজ জমে গেলে কাজটা করতেই ইচ্ছা করে না। এটা বেশ খারাপ একটা দিক। তবে সত্যি বলতে কাজ জমিয়ে রাখার অভ্যাস টা আমার আছে। এটা বাদ দিতে হবে। এটা ক্রমশ আমাকে পিছিয়ে দেয়। দারুণ একটা বিষয়ে লিখেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।।
এক সময় যখন জমিয়ে রাখা সব কাজগুলো করার চেষ্টা করি কাজের মধ্যে অনেক ভুল কিংবা ঝামেলা হয়ে যায়।
Twitter
সত্যি বলতে সময়ের কাজ সময়ে করাই সর্বোত্তম। কাজ যদি কোন কারনে থেমে থেকে অথবা ফেলে রাখা হয়। তখন বাড়ে টেনশন এবং নিজেকে অধিকতর পরিশ্রম করতে হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে শেষও করা যায় না ফেলে রাখা কাজগুলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
আসলে সময়ের কাজ সময়ে করা বুদ্ধিমানের কাজ। যদিও বর্তমানে সবারই ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে সময়ের কাজ সময়ে করা হয় না। যার কারণে অনেক কাজ জমে থাকে। আর এটা অনেক বড় প্যারা দায়ক। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন আপু।