"পৃথিবীতে মায়া ত্যাগ করলেই একমাত্র কষ্টটাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব"
নমস্কার
পৃথিবীতে মায়া ত্যাগ করলেই একমাত্র কষ্টটাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব:
বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত আমি ভিন্ন ভিন্ন পোষ্ট করতে ও লিখতে ভালোবাসি।তাই আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো উপস্থিত হয়েছি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি পোস্ট নিয়ে।আসলে অনেকদিন হলো শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে কিছুই লেখা হয়না।তাই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো--মায়া খুবই অদ্ভুত একটি জিনিস।যার বন্ধন মানুষকে শুধু যন্ত্রণা-ই বাড়িয়ে দেয়।তাই মায়া ত্যাগ করলেই যন্ত্রণাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব। এছাড়া এ ক্ষেত্রে কারো কারো মত ভিন্ন হতে পারে তবে আমি শুধুমাত্র আমার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করছি।যাইহোক তো চলুন শুরু করা যাক----
মায়ার বন্ধন একটা অদ্ভুত জিনিস।পৃথিবীতে এই মায়া শব্দটি রয়েছে বলেই আমরা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত।মায়ার বন্ধন অনেকে ছিন্ন করতে পারে আবার অনেকেই পারে না।যারা মায়ার বন্ধনকে ছিন্ন করতে পারে তারা কেউ এগিয়ে যায় সামনের দিকে।অর্থাৎ বাস্তবতাকে খুব তাড়াতাড়ি তারা মেনে নিতে সক্ষম হয় কিন্তু আবার অনেকেই এই বাস্তবতাকে মেনে নিতে পারে না সহজে তখন অনেকটাই কষ্ট পোহাতে হয়।
কিন্তু পৃথিবীতে কয়েক ধরনের মানুষ রয়েছে,তার মধ্যে এক ধরনের মানুষের মধ্যে মায়া নেই বললেই চলে।তবে তারা কিন্তু মায়াকে ত্যাগ করেনি বরং তারা সর্বদাই মায়াহীন অর্থাৎ নিষ্ঠুর মানুষ।এই ধরনের মানুষ শুধু নিজের ভুল কাজকেই সঠিক বলে গণ্য করে।নিজের ভুল কাজটি অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে পছন্দ করে।আর এই মানুষগুলো আলাদা রকমের হয়ে থাকে, এককথায় খুবই স্বার্থবাদী টাইপের।
মায়ার বন্ধন ছিন্ন করা খুবই কঠিন কাজ।হয়তো আমরা চেষ্টা করেও অনেকসময় এই বন্ধনকে ছিন্ন করতে পারিনা।সেই মায়ার স্মৃতিগুলো হৃদয়ে বার বার কুঁড়ে খায় আর স্মৃতিগুলো আগলে যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় দীর্ঘদিন ধরে।কত সহজেই বাস্তবতাকে মেনে নেওয়া যায় একজন নিষ্ঠুর মানুষের ক্ষেত্রে, কিন্তু একজন হৃদয়বান মানুষ এবং আবেগ-অনুভূতিপ্রবন মানুষের ক্ষেত্রে সেটা ধীরে ধীরে হয়ে থাকে।আবার অনেকেই বুকে পাথর চাপা দিয়ে পরিস্থিতিকে সামাল দেয়।
উদাহরণস্বরূপ---ধরুন, একজন পিতা বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছে।কর্মক্ষেত্রে অচল হয়ে গিয়েছে ঠিক তখনই বিবেকহীন মানুষ তাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসলো।এতদিনের ভালোবাসাগুলি কোথায় ?---হৃদয় সমুদ্রে যেন মিশে গেল।আবার ধরুন, একজনের পোষ্য জীব অসুস্থ হয়ে মারা গেল।সেটাতে কোনো শোক পালন না করে ফুর্তিতে দিন কাটানো সারাদিন সাউন্ডবক্সে গান চালিয়ে।আমার কাছে এরা একেবারেই অনুভূতিহীন ও নিষ্ঠুর বলে মনে হয় ।আত্ম অনুশোচনামূলক জিনিসটাই এদের মধ্যে নেই।যাইহোক আবার অতিরিক্ত শোক পালন আবার মানসিক যন্ত্রণার কারন হয়ে দাঁড়া5য়।পৃথিবীতে এই মায়া যদি ত্যাগ করে কঠোরতা অবলম্বন করা যায় তাহলে মনের সব নিঙরে বের হওয়া কষ্টগুলি অনেকাংশেই লাঘব হয়।তাই আমরা পুরোপুরি মায়া ত্যাগ করতে না পারলেও সত্য যেটা সেটা বাস্তবভাবে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো।পৃথিবীতে যদি মায়া শব্দটি না থাকতো তাহলে এত কষ্ট ,এত যন্ত্রণা বলে কিছুই থাকতো না।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
টাস্ক প্রুফ:
মানুষের প্রতি মানুষের মায়া থাকাও কষ্ট আবার না থাকাও কষ্ট। যাদের মায়া বেশি তাদের কষ্ট বেশি আবার যাদের মায়া নেই তাদেরকে মানুষ বলে অনেক স্বার্থপর। আসলে পৃথিবীতে ভালো খারাপ মিশে সুন্দর করে জীবন যাপন করাটাই কঠিন। তবে সত্যি যাদের মায়া কম তারা কিন্তু পৃথিবীতে একদিক থেকে ভালো থাকে। কেননা যাদের মায়া আছে তাদের মত কথায় কথায় কষ্ট পেতে হয় না। যাইহোক পৃথিবীতে মায়া ত্যাগ করলে একমাত্র কষ্টটাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব সুন্দর লিখেছেন। আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
মায়া সত্যিই এক জটিল অনুভূতি এটি যেমন বন্ধন সৃষ্টি করে, তেমনি কষ্টও দেয়। তবে সম্পূর্ণ মায়াহীন হওয়া কি আদৌ সম্ভব? বরং মায়াকে ভারসাম্যপূর্ণভাবে ধারণ করাই জীবনকে সহজ করতে পারে।আপনার লেখাগুলো পড়ে ভালো লাগলো।
প্রত্যেক মানুষ কারো না কারো উপর মায়া থাকে। তবে কিছু কিছু মানুষের উপর মানুষের মায়া থাকে অনেক গভীর। আর এ মাইয়া চিহ্ন করা অনেক কষ্ট। তবে সময়ের কারণে কিছু কিছু মানুষ মায়া ছিন্ন করে থাকে। এক সময় মানুষ নিজের উপর অতিষ্ট হয়ে নিজের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেই। আর এই মায়া ছেড়ে মানুষ অনেক সময় পরকালে চলে যায়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।