দীর্ঘ ছোটাছুটির পর এবার অসুস্থতায় ভুগছি
নমষ্কার,,
গতবছরের ডিসেম্বরের ২৭ তারিখ থেকে শুরু হয় আমার ঘোরাঘুরির পর্ব। ইন্ডিয়া কাটালাম প্রায় আট দিন, তারপর গেলাম সিরাজগঞ্জ, সেখান থেকে গোবিন্দগঞ্জ এবং পরে দিনাজপুর হয়ে তারপর বাড়ি ফেরা। প্রায় মাস খানেক এই ছোটাছুটির মধ্যে কোন রকম শারিরীক অসুস্থতার স্বীকার হই নি। সব কিছু ঠিকঠাক ছিল। বিপত্তি বাঁধলো বাড়ি আসার পরেই। হালকা ঠান্ডা লেগেছিল বোনের বিয়ের মাঝে। বাড়ি এসে সেটা তীব্র আকার ধারণ করলো। আর শেষ পরিণতি হলো ঠান্ডা জ্বর। সেই সাথে তীব্র কাশি। পাহাড়ের এতো ঠান্ডায় ঘুরে আসলাম কিছুই হলো না। আর এখন বাড়ি এসে যত বিপত্তি বাঁধলো।
শীতকাল আসলেই ঠান্ডা সর্দি লাগা আমার কমন একটা প্রবলেম। তাই অনেকটাই সাবধানে থাকি আমি। এবার বড় কোন সমস্যায় না পরলেও হঠাৎ করেই অসুখ টা বেধে গেল। আসলে শীতের তীব্রতা টাও খুব বেড়েছিল। আর বিভিন্ন অঞ্চলের জল খেয়েও এমন অসুবিধা হতে পারে। সে যাই হোক, এগুলো তো সহজে ভালো হবার নয়। কয়েকদিন ভোগাবে তারপর ধীরে ধীরে ঠিক হবে। তবে শরীরটা ভীষন ব্যথা হয়ে থাকছে। আমি অবশ্য কোন এন্টিবায়োটিক খাচ্ছি নাহ্ এখনই। নরমাল প্যারাসিটামল, আবার কখনো নাপা এক্সট্রা খাচ্ছি।
ছোট বেলায় একটু সর্দি কাশি হলেই মা বুকে, হাত পায়ের তালুতে সরিষার তেল মালিশ করে দিতেন। চুন লবণ গরম করে গলায় লাগিয়ে দিত। এখন তো আর এমন কিছু করতে চাইলেও জোর করেই করতে দেই না। মা বাবার কাছে আসলে সন্তান কখনো বড় হয় না। এই কয়েকদিনে তীব্র অসুস্থতায় ভুগতে দেখে মা ঠিক সেই ছোট বেলার মত করে তেল মালিশ করে দিল। তুলসী পাতার রস করে খাইয়ে দিল। আমার মা এমনিতেই অসুস্থ মানুষ। কোন কিছু ঠিক মত করতে পারেন না। কিন্তু ছেলের অসুখ দেখে চুপ করে আর বসে থাকতে পারলো না। মায়েরা হয়তো এমনই হয়। মাঝ রাতে, ভোর রাতে যখনই জাগা পাচ্ছে তখনই এসে কপালে হাত দিয়ে দেখছে শরীরে জ্বর আছে কিনা। এই ভালোবাসা হয়তো মা ই দিতে পারে শুধু।
আজ আর কথা বাড়ালাম না। শরীরটাও আর পরছে না। অনেকক্ষণ হলো মোবাইল নিয়ে আছি। সকলে আমার সুস্থতার জন্য প্রার্থণা করবেন এবং নিজেরাও সাবধানে থাকবেন।
সত্যি ভাইয়া মা-বাবার কাছে সন্তান কখনো বড় হয়ে যায় না। অসুস্থতার সময়গুলোতে বাবা-মা আরও বেশি চিন্তায় পড়ে যায়। আপনার মা অসুস্থ আমরা সবাই জানি। এরপরেও আপনার মা আপনার খেয়াল রাখছেন জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই প্রার্থনা করি ভাইয়া।
এজন্যই হয়তো মায়ের তুলনা হয় না কখনোই। পৃথিবীতে কোন মা কখনো খারাপ হতে পারে না । ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে আপু।
মা বাবার কথা আর কি বলবো। আমরা যতই বড় হইনা কেনো তাদের কাছে আমরা সব সময়ই ছোট। অসুস্থতায় ভুগছি জেনে সত্যি ভীষণ খারাপ লাগলো। আশাকরি আপনি আপনার মায়ের সেবায় খুব শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ 🤲 দোয়া রইল দাদা।
অনেক ভালোবাসা রইলো লিমন ভাই। সব সময় এভাবেই পাশে থাকবেন।