পরিবারে আপনজন যখন অসুস্থ থাকে তখন কিছুই ভালো লাগেনা.........
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? আমি খুব একটা ভালো নাই। খুব বড় বিপদের মাঝে দিয়ে যাচ্ছি কয়দিন ধরে। আসলে আমার আম্মু অসুস্থ। তাই কয়দিন ধরে মন মানসিকতা কিছুই ভালো নেই। আরেক দিকে রয়েছে অফিস এর প্যারা। সব মিলিয়ে খুব কঠিন এক সময় পার করছি বর্তমানে। আজ সেসব নিয়েই লিখবো।
অসুস্থতা এমনিতেই খারাপ। আর সেটা যদি নিজের মা হয়ে থাকে তাহলে যেনো পুরো পৃথিবী অন্ধকার হয়ে আসে। তেমনি এক বিপদের মধ্যে দিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে রয়েছি। আমার বরাবরই আম্মুর জন্য টান একটু বেশি। আব্বুর জন্য যে কম এমনটা না। তবে আম্মুর জন্য একটু বেশি। আম্মুর ও একই অবস্থা। আমার আর আমার ছোট ভাই এর মধ্যে আমার জন্যই একটু বেশি টান। আসলে আমার বড় ভাই রনি সেই ছোট্ট বেলাতেই মারা যায়। এরপর আমি এসেছি দুনিয়াতে। তাই আম্মু এবং আব্বু দুজনেরই আমার প্রতি একটু টান বেশি।
গত রবিবার রাতে বাসায় এসে আম্মুকে বলেছিলাম পরের দিন সকালে যেনো আমাকে ঘুম থেকে না ডাকে। আমার বাইকের বায়োমেট্রিক এর কাজের জন্য BRTA তে যাওয়ার কথা ছিলো। তাই দেড়ি করে ঘুম থেকে উঠার সিদ্ধান্ত নিলাম। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠলামও দেড়ি করে। এরপর আম্মু আমার জন্য সকালের খাবার ও দুপুরের লাঞ্চ প্রস্তুত করে দিলো। আমিও সব কিছু গুছিয়ে চলে গেলাম বিআরটিএ তে।
বিআরটিএ থেকে কাজ শেষে অফিসের দিকে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে আব্বু কল দিয়ে ছিলো। এরপর বাইক সাইড করে তার কল ধরি। তখন কি যেনো বলতে নিয়েও আমাকে বললোনা। শুধু বললো অফিস পৌঁছে যেনো কল দেই। জ্যাম এর কারণে আমার অফিস যেতে ভালো সময় লেগেছিলো। অফিস পৌঁছে কল দিলাম। এরপর শুনি আম্মুর ডান হাত কাজ করছেনা। হঠাৎ এমন সমস্যা হয়েছে। আমি ছুটি নিয়ে চলে আসতে চাইলে আমাকে না করলো। আমরা ধারনা করেছিলাম হয়তো রগ এ টান খেয়ে এমন হয়েছে। এরপর বাসায় আসার পর রাতে আম্মুকে দেখলাম। আম্মু আমাকে পেয়ে কান্না করে দিয়েছে। আমার চোখেও পানি চলে এসেছে। কোনো মতে নিজেকে সামলিয়ে আম্মুকে শান্তনা দিলাম। এবার পরদিন নিউরোসায়েন্স হসপিটাল এ নিয়ে যাওয়া হলো সেখানে সব কিছু দেখে ডাক্তার রা জানালেন আম্মু স্ট্রোক করেছে। আমরা খুবই ভেংগে পরলাম সবাই। ইতিমধ্যে আমার নানিও চলে এসেছিলো গ্রাম থেকে।
সেদিন আমি আবার অফিস চলে যাই। তবে অফিস গিয়েও একটু পর পর খোজ নিতে থাকি। কি করবো মন তো মানে না আর। সেখানের ডাক্তাররা সিটি স্ক্যান দিলো সাথে আরো কিছু টেস্ট। সেগুলো করানো হলো সাথে সাথে। আমরা চেয়েছিলাম আম্মুকে সে হাসপাতাল এ ভর্তি করাতে। কিন্তু মিনি স্ট্রোক দেখে আর ভর্তি নিলোনা। ওষুধ দিয়ে দিলো কিছু । বললো বাসায় নিয়ে যেতে ঠিক হয়ে যাবে ধীরে ধীরে। আমরাও সেভাবে বাসায় নিয়ে আসি। সেদিন অফিস থেকে ফিরে নিজেকে সামলাতে পারিনি আর। অনেক্ষন বসে ছিলাম আম্মুর পাশে। আর চোখ দিয়ে পানি পরছিলো।
আজ এ পর্যন্ত রাখলাম বাকি সব আরেক পোস্ট এ বলবো। সব লিখতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে। আপনারাও বিরক্ত হয়ে যাবেন।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR
আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করছি ভাই। আসলে পরিবারের সদস্য অসুস্থ থাকলে মনের মধ্যে একটা মানসিক প্রেসার কাজ করে। যতদিন সুস্থ না হবে ততদিন সেই প্রেশারটা রয়েই যায়।
জ্বি ভাইয়া দোয়া করবেন। এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন।
পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে এমনিতে বেশ খারাপ লাগে। আর মা বাবা হলে তো আরো বেশি খারাপ লাগে। আসলে ফ্যামিলির মা হচ্ছে মূল্যবান জিনিস। তবে আমার ফ্যামিলিতে আমার মা-বাবা দুজন অসুস্থ। তবে আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করি যেন সুস্থ থাকে সবসময়।
জ্বি ভাই। মা বাবার চেয়ে আপন যে কেউ নাই আর।
পরিবারে যদি মা অসুস্থ হয়, তার থেকে কষ্টের আর কিছু হতে পারে না। তবে আপনার মায়ের ছোটখাটো স্টোক হলেও উনার যে কোন সমস্যা হয়নি, এটা জেনে অনেকটাই ভালো লাগছে। তারপর আবার ডাক্তার যেহেতু বলে দিয়েছে কোন সমস্যা হবে না, তাহলে আপনি চিন্তা করবেন না ভাই। ঠিকঠাকমতো ওষুধ খাওয়ান এবং মায়ের সেবা করেন, উনি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন। আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক অনেক দোয়া রইলো ভাই।
হ্যা ভাই। কেমন যেনো লাগে। দোয়া রাখবেন ভাই।