অনেক বছর পর স্কুলের বন্ধু-বান্ধবরা মিলে ইফতারের আয়োজন।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
অনেক বছর পর স্কুলের বন্ধু-বান্ধবরা মিলে ইফতারের আয়োজন। |
---|
বন্ধুরা টাইটেল দেখে বুঝে গিয়েছেন কি বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।মূলত আজকে যে বিষয় শেয়ার করব সেটি কয়েকদিন আগেকার ঘটনা ২০২৪ সালের এই রমজান মাসে সকল বন্ধুরা মিলে একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। সেটার কিছু অনুভূতি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। তো বন্ধুরা বেশি ভূমিকায় না গিয়ে সরাসরি ফিরে যাই মেইন পয়েন্টে।
রমজানের আগে থেকেই এই আয়োজনটা করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে। তবে বন্ধু বান্ধবরা একসাথে হওয়াটা মুশকিল বিষয় হয়ে পড়েছিলো।কারণ কেউ ঢাকায় কেউ চট্টগ্রাম কেউবা আবার নিখোঁজ। তাদেরকে কলে বা অনলাইনে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। যাই হোক যথারীতি আমরা ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে একে অন্যকে নক দিয়ে কে কখন আসতে পারবে ওই হিসেবে সময় নিয়ে নিলাম। সময় নিয়ে নেয়ার পর সবাইকে জানিয়ে দিলাম কখন আমাদের ইফতার পার্টিটা হবে আর কোন জায়গায় হবে।
যাই হোক সবাই সবাইকে যার যার মত করে দাওয়াত দিয়ে দেওয়া হলো। আর যাদেরকে আমরা ফোনে অথবা অনলাইনে পাচ্ছিলাম না তাদেরকে তাদের এলাকায় গিয়ে খুঁজে তারপর দাওয়াত দেয়া হলো। যথারীতি সবাই এই আয়োজনে আসার সম্মতি প্রকাশ করল। আর সবাই বেশ আনন্দিত যে একসাথে সব বন্ধু-বান্ধব আবার একদিনের জন্য হলেও আড্ডা দিতে পারবে, ইফতার করতে পারবে। যাইহোক পরবর্তীতে আমাদের এক বন্ধু সে দুবাই থেকে এসেছে কয়েকদিন হলো। আর তাকেই ফান্ডিং এর দায়িত্ব দেয়া হলো এবং আরো দুজন বন্ধুকে বাজার সদাই করার দায়িত্ব দেয়া হলো।
আর আমরা বাকি যারা রয়েছি তারা যেদিন ইফতার প্রোগ্রাম সেদিন সবাই মিলে সেখানে ইফতারের আয়োজন করবো। মানে সব ভাগ বন্টন করে প্লেট সাজিয়ে নিব। যাইহোক দেখতে দেখতে সেই দিনটি চলে এলো এবং ঐদিন আমার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা তাই আগে থেকেই তাদেরকে বলে রাখলাম যে আমি ডাক্তারের কাছে যাবো সেখান থেকে প্রোগ্রামে ফিরে আসবো।যাইহোক ডাক্তারের কাছে গিয়ে দেখি অনেক ভিড়। তখন আমার এক ফ্রেন্ড কে বলি ভিড় অনেক।
হসপিটালের মালিক তার পরিচিত ছিল।তখন সে হসপিটালের মালিককে ফোন দেয় আর ফোন দেওয়াতে আমার সিরিয়ালটা অনেকটা এগিয়ে দেয়া হয়েছে।তারপর আমি তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখিয়ে সেখান থেকে ফিরে এলাম আমাদের স্কুলের মাঠে। মূলত আমরা সেই স্কুলের প্রাইমারি কক্ষেই ইফতারের আয়োজনটি করেছিলাম। দেখতে দেখতে ইফতারের পূর্ব মুহূর্ত হতে লাগলো। তখন সবাই ধীরে ধীরে এসে পৌঁছে গেল। সেই সাথে আমাদের শিক্ষকবৃন্দ এসে পৌঁছে গেল।
দাওয়াত দেয়ার তালিকায় অনেকগুলা টিচার ছিল। কিন্তু আমরা পাঁচজনকে এখানে পেয়েছি। বাকিরা হয়তো কোন কাজে আসতে পারেনি।যাইহোক পাঁচজনের মাঝে দুজন হিন্দু, বাকি তিনজন মুসলিম ছিলো।এরপর শিক্ষক এবং ছাত্র সবাই মিলে শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে ফটো তুলে নিলাম। অনেক গুলো ফটো তোলার পরে আমরা ইফতার রেডি করার জন্য কক্ষে ঢুকে গেলাম। কিন্তু স্যার রা বাইরে দাঁড়িয়ে গল্প করতে ছিল।
যাই হোক স্যারেরা যখন বাইরে ছিল তখন আমরা রুমের ভিতরে প্লেটগুলো সাজিয়ে ফেললাম। কেউ তরমুজ কাটছিল, কেউ বুট, পেঁয়াজি, দিচ্ছিল। কেউবা সালাদ দিচ্ছিল, আবার কেউ শরবত বানাচ্ছিল। এক একজন এক এক কাজে নিয়োজিত ছিল। সবশেষে আমরা সবাই মিলে প্লেটগুলো সাজিয়ে ফেললাম। তবে আমরা যে আকারে বন্ধুদের দাওয়াত দিয়েছি সেই হিসেবে বন্ধুগণ আসে নাই যার কারণে খাবার অতিরিক্ত বেঁচে গিয়েছিল।
যাইহোক ইফতারের সময় হওয়ার আগেই সেখানে সালাতু সালাম পড়া হয়। এরপর পরপরই সবাই বসে যাই ইফতার করতে। এই ইফতারের উসিলায় অনেক বন্ধুবান্ধবের ছেলেকেও দেখা হলো। কারণ তারা ইফতারে তাদের ছেলেকে নিয়ে এসেছে। যাই হোক সবাই মিলে ইফতার করলাম। ইফতার করার পর সবাই সবার থেকে বিদায় নিয়ে যার যার গন্তব্যে ফিরে গেলাম। যদিও কিছু বন্ধু তখনও রয়ে গেল আড্ডা দেওয়ার জন্য। আমাকেও বলা হয়েছে একটু থেকে আড্ডা দিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমার কাজ থাকাতে চলে আসতে হল। শিক্ষকবৃন্দরাও তাদের গন্তব্যে ফিরে গেল।
তো বন্ধুরা এটাই ছিলো অনেক বছর পর স্কুলের বন্ধু-বান্ধবরা মিলে ইফতারের আয়োজন। যাইহোক সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকে এখানে বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR


ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | অনুভূতি । |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
https://x.com/Nevlu123/status/1775361495846768691?s=20
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
💯🌹💯
জীবন জীবিকার তাগিদে অনেক বন্ধু বান্ধব বিভিন্ন জায়গায় থাকে,তাই সবসময় তাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয় না সেভাবে। তবে এমন আয়োজনের মাধ্যমে তাদের সাথে দেখা হওয়ার পাশাপাশি, আড্ডা দেওয়া যায় এবং সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটানো যায়। যাইহোক আপনারা চমৎকার আয়োজন করেছেন ভাই। একসাথে সবাই মিলে ইফতার করার মজাই আলাদা। স্কুলের কক্ষে জায়গা বেশি থাকায়, সম্পূর্ণ আয়োজন বেশ ভালো ভাবেই করতে সক্ষম হয়েছেন আপনারা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক ভাই এমন আয়োজনের মাধ্যমে তাদের সাথে দেখা হওয়ার পাশাপাশি, আড্ডা দেওয়া যায়।
চমৎকার একটি আয়োজন করলেন সব বন্ধুরা মিলে অনেক ভালো লেগেছে। রমজান মাস আসলে বেশ সুন্দর সুযোগ হয়ে যায় যেহেতু সবাই ছুটিতে বাড়িতে ফিরে আসেন। সবাই একত্রিত হতে পারলে বেশ ভালোই লাগে। সেই স্কুলের বন্ধুবান্ধব নিয়ে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন সবাই মিলে। অনেক ভালো লেগেছে এত সুন্দর একটি বন্ধন। ইফতারের মুহূর্তটা অসাধারণ ছিল।
জি আপু চমৎকার আয়োজন ছিলো।