রমজান মাসের শেষ ইফতার করার অনুভূতি।
"আসসালামুআলাইকুম"
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
আশা করছি সবাই ভালো আছেন আমি আজকে আপনাদের মাঝে রমজান মাসের শেষ ইফতারের অনুভূতি শেয়ার করতে যাচ্ছি আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক আজকের ব্লগটি।
পুরো রমজান মাসে কিছু দিন ফ্যামিলির সাথে ইফতার করেছি। আবার কিছু বন্ধু বান্ধবের সাথে, আবার বিভিন্ন জায়গায় দাওয়াতে। অবশেষে শেষ ইফতার করেছিলাম আমরা কাজিনরা মিলে।আসলে আমি খুবই ব্যস্ত ছিলাম তখন হঠাৎ আমার এক ছোট খালাতো ভাই সে বলে, ভাইয়া আমরা খালাতো ভাইয়েরা সবাই মিলে একটা ইফতার আয়োজন করে সবাই মিলে ইফতার করলে কেমন হয়?
তখন আমি তাকে বললাম আমি তো ব্যস্ত তুমি একটা কাজ কর অ্যারেঞ্জ করো পরে আমরা সবাই সেখানে অ্যাটেন্ড করব। তখন আমার কাজিন বলল ঠিক আছে ভাইয়া আমি অ্যারেঞ্জ করছি। তখন সে দিন বাছাই করল শেষ রমজানের দিন। যাই হোক আমি বললাম ঠিক আছে আমি যথারীতি সময়ে এসে উপস্থিত হব। তবে আমার সাথে আমার এক ফ্রেন্ড থাকবে। তখন সে বলল ঠিক আছে ভাইয়া সমস্যা নেই।
যাই হোক শেষ রমজানের দিন সবাই আগেই চলে গিয়েছে। তবে আমি এবং আমার বন্ধু সবার পরে গিয়েছি সেখানে। কিছুটা ব্যস্ততা ছিল আবার বাইক নিয়ে গিয়েছিলাম তবে সেটি কাজিনদের বাড়িতে রেখে রিক্সায় করে যাওয়ার কথা। কিন্তু পথে কোন রিক্সা নেই দু-একটা রিকশা দেখতে পাই তাদেরকে যেতে বললে তারা বলে সেদিকে যাবে না।
তখন হেঁটে হেঁটে যেতে হলো এবং ইফতারের তিন মিনিট আগে গিয়ে আমরা সেখানে পৌছালাম।পৌঁছানোর পর পরই সবাই বলে এতো লেট কেন। তখন তাদেরকে বিষয়টি বুঝিয়ে বললাম এবং সাথে সাথে গিয়ে হাত মুখ ওয়াশ করে নিলাম। তারপর সবাই মিলে বসে পড়লাম তখন দেখতে পাই রেস্টুরেন্টে ইফতারের সবাইকে রেডি করে রেখেছিল।
তার মধ্যে ছিল ফ্রাইড রাইস, চিকেন, কমলা, আপেল, মাল্টা, খেজুর,আঙ্গুর,শসা, গাজর, লেবু। আবার লেবুর শরবত ও বেলের শরবতও বাড়ি থেকে করে এনেছিল।যদিও সবকিছুর ফটোগ্রাফি করা সম্ভব হয়নি। যাইহোক যথারীতি আজান যখন দিল তখন আমরা শুরু করলাম ইফতার খেজুর দিয়ে। পরবর্তীতে আমাদের যখন ইফতার করা শেষ হয় তখন সবাই নামাজ পড়তে যাই।
নামাজ পড়া শেষে এসে আবার পুনরায় সেই রেস্টুরেন্টে বসে এবং ফালুদার অর্ডার করা হয়। এই রেস্টুরেন্টের ফালুদা নাকি অনেক বেশি সুস্বাদু হয়।তারপর বসে বসে সবাই গল্প করছি এবং এর মধ্যেই খুব সুন্দর পরিবেশনের মাধ্যমে আমাদের সামনে নিয়ে এলো ফালুদা। তখন আমরা সবাই একসাথে বসে ফালুদা খেলাম।
তারপর আমার আর আমার বন্ধুর কিছু কাজ থাকাতে আমরা সবার আগে সেখান থেকে বিদায় নিলাম। কাজিনকে আমাদের বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে সেখান থেকে আমি এবং আমার বন্ধু বিদায় নিয়ে চলে আসলাম। আসার পরে আমরা একটা জায়গাতে গিয়েছিলাম।
সেখানে যাওয়ার পরে তারা খাওয়ার অনেক কিছু অফার করল। যেহেতু ইফতার করেছি একটু আগে তাই আর বেশি কিছু খাওয়া যাবেনা বলে বললাম শুধুমাত্র এক কাপ চা হলেই চলবে। তখন সেখানে চা খেলাম এবং চা খাওয়া শেষে কিছুক্ষণ গল্প গুজব করে যার যার গন্তব্যে পুনরায় ফিরে এলাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল রমজানের শেষদিনের ইফতারের অনুভূতি আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনের সাথে নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক

আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি কারণ আমি বাংলা বলি তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | অনুভূতি |
সবাই মিলে দেখছি ভালোই ইফতার করেছেন শেষ রমজানে। তবে শুধু নিজেরা নিজের ইফতার করছেন এটা কিন্তু ঠিক নয় সবাইকে নিয়ে যেতে পারতেন। ধন্যবাদ সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য।
হঠাৎ করেই আয়োজন করা হয়েছে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আমি আবার ইফতারিতে সিম্পল খাবার হলে বেশি কমফোর্টেবল ফিল করি।
আসলে রমজানের শেষের দিকে এসে মোটামুটি সবাই অনেক ব্যস্ততার মধ্যে পড়ে যায়।।
আপনি এবং আপনার কাজিনরা মিলে শেষ ইফতার টি অনেক সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন সেই সাথে লোভনীয় এবং মজার খাবার গুলো খেয়েছেন।।
বিশেষ করে আপনাদের কাছে এই সময় টি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।।
জি আমিও ইফতারিতে সিম্পল খাবার হলে বেশি কমফোর্টেবল ফিল করি।
এবারের রমজান মাসটা যেন মনে হল দেখতে দেখতেই চলে গেল। যাইহোক আপনার শেষ ইফতারি করার মুহূর্তটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে কাজিনরা হয়ে থাকে অনেকটাই বন্ধুদের মত তাই কাজিনদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো বেশ দারুন হয়ে থাকে। যাইহোক আপনারা নিশ্চয়ই খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এবারের রোজার শেষ ইফতার করার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই আসলে কাজিনরা হয়ে থাকে অনেকটাই বন্ধুদের মত তাই কাজিনদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো বেশ দারুন হয়ে থাকে।
আশা করি ভাইয়া ভালো আছেন? শেষ রমজানের ইফতার করার অনুভূতি আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন। ইফতার করার দুর্দান্ত অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে সবাই মিলে ইফতার করা আনন্দটা খুবই অন্যরকম। সবাই মিলে খুব সুন্দর মুহূর্ত করেছেন।
জি আসলেই সবাই মিলে ইফতার করা আনন্দটা খুবই অন্যরকম।
সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার করার আনন্দই আলাদা। আপনার কাজিনদের সঙ্গে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং ইফতার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আর ইফতারের আইটেমগুলো অনেক ভালো ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার করার আনন্দই আলাদা।
কাজিনরা মিলে ইফতারের আয়োজন করেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। সবাই মিলে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। দেখতে দেখতে রমজান মাস শেষ হয়ে গেল। তবে সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলো অনেকদিন পর্যন্ত মনে থাকবে। ভাইয়া আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জি আপু সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলো অনেকদিন পর্যন্ত মনে থাকবে।
শেষ ইফতারে অনেক বেশি স্পেশাল হয়ে থাকে। আপনিও দেখছি খুব ভালো আইটেমের খাবার খেয়েছেন শেষ ইফতারে। এই খাবার তো আমার কাছে খুবই প্রিয় একটি খাবার। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জি ঠিক বলেছেন শেষ ইফতারে অনেক বেশি স্পেশাল হয়ে থাকে।
সুন্দর ফিডব্যাক দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
রমজান মাসের শেষ ইফতার করার অনুভূতিটি কেমন জানি। কত তাড়াতাড়ি একটি মাস চলে গেলো দেখতে দেখতে। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনার মাধ্যমে রমজান মাসের শেষ ইফতার করার অনুভূতিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
ঠিক আপু কত তাড়াতাড়ি একটি মাস চলে গেলো দেখতে দেখতে।
আসলে মাঝে মধ্যে বাহিরে সবার সাথে ইফতার করার মজাই আলাদা। আপনারা কয়েকজন মিলে শেষ রমজানের ইফতারে বেশ মজার মজার খাবার খেয়েছেন এবং খুব মজা করেছেন সেটা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। যাইহোক রমজান মাসের শেষ ইফতার করার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ধন্যবাদ যথাযথ একটি মন্তব্য করার জন্য ্।
ইফতার শুরু হওয়ার তিন মিনিট আগে সেখানে পৌঁছেছেন, তার মানে তো অনেক আগেই পৌঁছেছেন। হা হা হা...
ইফতার করা নিয়ে আমার খুব বেশি একটা অভিজ্ঞতা নেই, তবে এতদিনে পোস্ট পড়ে যতটা বুঝতে পারলাম, বেশ আনন্দের সাথে আপনারা এই খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তটা উপভোগ করেন।
ঠিক ভাই বেশ আনন্দের সাথে এই খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তটা উপভোগ করি।