রামাদান মাসের তৃপ্তিদায়ক ইফতার।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন
সকলের জন্য সুস্থতা কামনা করছি। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে গেলাম।
এইতো এই রহম, বরকত ও নাজাতের মাস আমাদের থেকে বিদায় নিচ্ছে। ঈদেতে চলে এলো এ নিয়ে তেমন কোন মাথা ব্যাথা নেই৷ আমাদের থেকে বিদায় নিচ্ছে এটা নিয়ে একটু ভাবনায় আছি। যাইহোক রমজান মাসে সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত হচ্ছে ইফতারে। ইফতারিতে নানান আয়োজন বেশ ভালো লাগে। সারাদিন রোজা রাখার পর এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত ও পানি তৃপ্তি মিটিয়ে দেয়। তখন মনে হয় একদম প্রশান্তি ফিরে পাই। আরে ইফতারিতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে যখন অনেকেই একসাথে ইফতারি করি।
গত শুক্রবার অর্থাৎ রমাদানের শেষ জুমায় আমরা আমাদের বাড়িতে ইফতারের আয়োজন করি। বাড়ির চাচি চাচতো ভাই দাদু ও পাড়া-প্রতিবেশীদের নিয়ে ইফতারের আয়োজন করে। যেহেতু আমার শ্বশুরবাড়ি পাশের বাড়ির তাই আমার শ্বশুরবাড়ি সবাই ছিল। সেদিন আমরা কিছু এতিম বাচ্চাদের খাওয়ানোর আয়োজন করেছিলাম। সবাই একসাথে যখন খাবার খাই তখন মুহূর্তটা বেশ উপভোগ করি । ইফতার করতে করতেই সবাই এক এক কথা বলতে বলতে মজা করতে লাগলো।
ইফতার শেষ করার পর পর আব্বু বাচ্চা ছেলেদেরকে নিয়ে মসজিদে নামাজ আদায় করতে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরপরই তারা নামাজ আদায় করে চলে আসে। বাচ্চারা মাদ্রাসায় আবার পড়তে যাবে তাই তাদের জন্য আবার রাতের খাবারের আয়োজন করছিলাম। সব কিছু রেডি করতে করতে চলে গেলে কারেন্ট মামা । বাচ্চাদেরকে নিয়ে খাবার রেডি করা নিয়ে কিছু একটা ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়েছিল । যাইহোক হাতলাইটের সাহায্যে বাচ্চাদের খাবার সেরে ফেললাম । খাবার খাওয়ার পরপরই কারেন্ট আসে। তখন কারেন্ট আসায় আমার আরো বিরক্ত লেগেছিল কারণ কারণটা আরেকটু আগে আসতে পারল না? এমনিতেই লোডশেডিং এর জ্বালায় অতিষ্ঠ।
যাইহোক পরবর্তীতে আমরা সবাই তারাবির নামাজ পড়ে শোয়ার আগে আমার কাকীদের ও আমার শাশুড়ি ও সবাইকে ডেকে এনে খাবার সম্পন্ন করি। আর একটি দিন ইফতার এর খাবারের স্বাদ পাবো। জানিনা পরবর্তী রমজানে ইফতার পর্যন্ত থাকতে পারবোকিান। তবে ইফতারের সেই তৃপ্তি আর কোন কিছুতেই পাওয়া যায় না । পরবর্তী রমাদান মাসের অপেক্ষায় রইলাম ।
🛑আজ এই পর্যন্তই । আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
আমি জান্নাতুল নাঈম। আমার ইউজার আইডির নাম @naimuu. আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি। বাংলায় লেখালেখি করতে আমার বেশ ভালো লাগে। ব্লগিং করতে আমার বেশ ভালো লাগে। বাংলায় লেখালেখি পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে ভালো লাগে। ভিন্ন ভিন্ন রেসিপি অর্থাৎ ইউনিক রেসিপি তৈরি করতে আমার বেশ ভালো লাগে। বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ অর্থাৎ আঁকাআকি করতেও ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি আমার অনেক বড় একটি সখ। আমি পড়াতে বেশ ভালোবাসি। স্টুডেন্টদের সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক আমার। নিজের সুপ্ত প্রতিভা গুলো প্রকাশ করার জন্যই মূলত ব্লগিং করি।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমাদের দেশে ইফতারের সময় বিভিন্ন ধরনের ফল ফলাদি থাকা সত্ত্বেও আলুর চপ পিয়াজু, বেগুনি, ঘুগনি এগুলো থাকবেই। এগুলো ছাড়া যেন আমাদের ইফতার পরিপূর্ণ হয় না। আপনি অনেক সুন্দর করে ইফতারি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সেই সাথে আপনার অনুভূতি পরে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
বাড়িতে এভাবে ইফতারের আয়োজন করে পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে যখন ইফতার করা যায় সেই মুহূর্তটা সত্যিই অনেক সুন্দর হয়। এবং ভালো লাগে আপনি গত শুক্রবারে দারুন সময় কাটিয়েছেন ইফতার করার মাধ্যমে। আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো । আসলে ইফতার অনেক তৃপ্তিদায়ক ছিল।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সবাই মিলে রোজা করার মজা আলাদা। আপনি রোজা সম্পর্কে বেশ সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক খুশি হলাম। দোয়া করি আপনাদের রোজা কবুল হোক।
আসলেই দেখতে দেখে রমজান মাসটি চলেই গেলো।আপনি ইফতারের ব্যাবস্থা করেছিলেন এবং চাচী, চাচাত ভাই,দাদু প্রতিবেশীদের নিয়ে ইফতার করিয়েছে ও শ্বশুর বাড়ির সবাই ছিলো জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
সবাই একসাথে বসে ইফতার করতে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। সবাই যখন একসাথে ইফতার করা হয় তখন অনেক বেশি মজা লাগে। রমজান মাসের শেষ শুক্রবার আপনারা সবাই একসাথে ইফতার করেছিলেন, আর কিছু এতিম বাচ্চাকে ইফতার করিয়েছিলেন শুনে অনেক বেশ ভালো লাগলো। আসলে এখন কিছুক্ষণ পর পর কারেন্ট চলে যায় শুধু। বাচ্চাদের রাতের খাবার খাওয়ানোর সময় কারেন্ট ছিল না শুনে খারাপ লাগলো। আসলে তার পরে কারেন্ট আসলে তো মাথা এমনিতেই গরম হবে। তবে যাই হোক দোয়া করি যেন এরকম মুহূর্ত আবারো সবার জীবনে আসে।
সবাই মিলে একসাথে খাওয়ার মধ্যে যে তৃপ্তিটা থাকে, ওটা অন্য কোন কিছুতেই আর পাওয়া যায় না বলে মনে হয়। আপনারা রমজানের শেষ শুক্রবারে এতিম বাচ্চাদেরকে খাবার খাইয়েছিলেন এটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। এই উদ্যোগটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে যখন ইফতার করা হয় তখন অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। আপনাদের তৃপ্তি দায়ক ইফতার করার মুহূর্তেটি সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে।