লাইফ স্টাইল // জুগীরগোফা গ্রামে যুব সমাজের উদ্যোগে ইফতারির ব্যবস্থা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৬-০৪-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি জুগীরগোফা গ্রামে যুব সমাজের উদ্যোগে ইফতারির ব্যবস্থা । আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পরে যেহেতু আজকে শুক্রবার তাই কোচিং বন্ধ ছিল তাই প্রথমেই আব্বুর সাথে মাঠে গিয়েছিলাম। মাঠ থেকে ভুট্টা নিয়ে বাড়িতে আসার পরে ভুট্টা গুলো মাড়াই করার পরে আবারো ভুট্টা ছাদে শুকানোর জন্য তোলা হয়েছিল। তারপরে বেশ কিছু সময় রেস্ট নিয়েছিলাম একটি বাগানের মধ্যে বসে। বেশ কিছু সময় সেখানে বসে থাকার পরে পরবর্তীতে বাড়িতে এসে ভাবলাম কালকে কলেজে একটা পরীক্ষা আছে তাই আজকে খুব দ্রুত পোস্ট শেয়ার করে ফেলি। জুম্মার নামাজ শেষ করে এসে কিছু পড়া বাকি আছে সেগুলো আবারো পড়তে হবে। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.........
প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারেও ২৯ রমজানের দিন জুগীরগোফা গ্রামে যুব সমাজের উদ্যোগে ইফতারির ব্যবস্থা করেছিল। আমি প্রায় দীর্ঘ সাত বছর জুগীরগোফা গ্রামেই ছিলাম। তাই এই ইফতারি সম্পর্কে আমার বেশ ভালো একটা ধারণা রয়েছে। বর্তমানে আমাদের মেহেরপুর জেলার মধ্যে জুগীরগোফা গ্রামে শিক্ষিত লোকের সংখ্যা বেশি তাই এই গ্রামের ছেলেরা যদি কোন কিছুর উদ্যোগ নেয় তাহলে খুব সহজেই সেটা বাস্তবায়ন করতে পারে। এই গ্রামে প্রায় স্কুল কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি প্রফেসর মিলে প্রায় ৯৭ জন শিক্ষক রয়েছে। যেকোনো ভালো কাজের জন্য এরা যুবক ছেলেদের সাথে সবসময় টাকা-পয়সার ব্যাপারে হেল্প করে থাকে। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি প্রথমে আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে তিনটি ছবি শেয়ার করেছি। ২৯ রমজানে ইফতারের দিন সকাল বেলায় আমিও জুগীরগোফা গ্রামেই উপস্থিত ছিলাম। ইফতারির প্রায় দুই দিন আগে আমি দাওয়াত পেয়েছিলাম। প্রত্যেকবারের থেকে এবার ইফতারের আইটেম একটু ভিন্ন রকম ছিল। এবার শুধুমাত্র বিরানি সাথে দুইটা খেজুর এবং শরবত ছিলো। এবার ইফতারের জন্য প্রায় ৭০০ প্যাকেট এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সত্যি গ্রামের ছেলেরা যদি এমন উদ্যোগে নেয় আমার নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগে।
যেহেতু গ্রামের সকল মানুষ একসাথে ইফতারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল তাই অনেক জায়গার প্রয়োজন ছিল। সেজন্য ইফতারি হয়েছিল জুগীরগোফা স্কুল ফিল্ডে। ইফতারি সকল রোজাদার ব্যক্তিদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার পরে আমরাও সেখানে নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে সকলেই একটি প্যাকেট নিয়ে বসে গিয়েছিলাম। আসলে এভাবে যদি গ্রামের সকল মানুষ একসাথে ইফতারি করা যায় সত্যিই নিজের কাছে বেশ ভালোলাগা একটা কাজ করে। আসলে ইফতারের ব্যবস্থা গ্রামের লোকজনের টাকা করা হয়েছিল কিন্তু এই উদ্যোগের পেছনে ছিল জুগীরগোফা গ্রামের যুব সমাজ। আসলে বিরানি রান্না করা হয়েছিল স্কুল মাঠের পাশে। রান্না করার পরে সকল ছেলেরা মিলে হাতে হাতে প্যাকেটিং এর কাজ সেরে নিয়েছিল। আসলে সকলে মিলে একত্রে যদি কোন কাজ করা যায় তাহলে সেই কাজ খুব সহজেই সম্পন্ন করা যায়।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। সকলের হাতে ইফতারির প্যাকেট পৌঁছে দেওয়ার পরে গ্রামের ইমাম সাহেব সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কিছু কথা বলেছিল সকলের উদ্দেশ্যে। কথাগুলো আমরা সবাই বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনেছিলাম। সেখানে ছিল জুগীরগোফা গ্রামের কৃতি সন্তান ডঃ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। আসলে তিনি মূলত ঢাকা ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান । আসলে তিনি জুগীরগোফা গ্রামের উন্নয়নের জন্য অনেক স্বপ্ন নিয়ে প্রত্যেক বছর বাড়িতে আসে। ডঃ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নিজ উদ্যোগে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করেছে। যখন তিনি মাইক হাতে নিয়ে কিছু কথা বলেছিল সকল মানুষের উদ্দেশ্যে তখন কথাগুলো শুনে সত্যিই সকল মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন জেগে উঠেছিল। আসলে ডঃ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের উদার মানসিকতার কথা বলে শেষ করা যাবে না।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি তুলে শেয়ার করেছি। ইফতারের বেশ কয়েক মিনিট আগে গ্রামের ইমাম সাহেব যখন দোয়া শেষ করল তখন সকলেই ইফতারির প্যাকেট খুলে সামনে নিয়ে বসেছিল। ইফতারি শেষ করে সকলেই সেখানে কাতার বদ্ধ হয়ে নামাজ আদায় করেছিলাম। আসলে জীবনের এগুলোই সব সময় স্মৃতি হয়ে বেঁচে থাকবে। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রত্যেক বছরই ২৯ রোজার দিনে আমাদের গ্রামে এরকম ভাবে ইফতারির ব্যবস্থা করা হয়। আর এই ইফতারির ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগে। যাহোক, আজকে তোমার এই পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি আশা করি আগামী বছরেও আমাদের আয়োজন করা ইফতারি পার্টিতে তোমরা অংশগ্রহণ করবে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করব মামা ইনশাল্লাহ প্রত্যেক বছর ২৯ রমজান আপনাদের গ্রামে ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণ করার জন্য।
রমজান মাসে জুগীর গোফা গ্রামের এটি একটি ঐতিহ্যবাহী ইফতারি পার্টি। গ্রামের মানুষ সবাই একত্রিত হয়ে ইফতারি করাটা কিন্তু অন্যরকম একটা বিষয়। গ্রামের উদ্যোগে ২৯ শে রমজান এই ইফতারির আয়োজন করে থাকে। ৭০০ লোকের আয়োজন এটা বেশ দারুন ব্যাপার। ইফতারের এমন একটা সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে মামা আপনাদের গ্রামে এমন ঐতিহ্যবাহী ইফতার পার্টি প্রত্যেক বছর হয় সত্যি এটা বেশ প্রশংসার দাবি।
আমাদের গ্রামের মানুষগুলোর সাথে একসাথে বসে ইফতারি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। পবিত্র ঈদুল ফিতর মানুষের মাঝে এমন একটা সুন্দর সম্পর্ক সৃষ্টি করে দেয় যেখানে ধনী-গরীব কোন শ্রেণীর ভেদাভেদ থাকে না। সবাই একসাথে যেমন নামাজ পড়তে পারে ঠিক তেমনি একসাথে ইফতারি করার সুযোগ মিলে। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই ইফতারি করার মুহূর্তটা দেখে।
ঠিক বলেছেন আপনি আসলে এখানে ধনী গরিব কোন ভেদাভেদ নেই সকলে একসাথে বসে ইফতারি করার মজাটাই বেশ আলাদা।
যুবসমাজ মিলে আপনারা ইফতারির ব্যবস্থা করেছিলেন।। অনেক মানুষের উপস্থিতি দেখতে পারতেছি। এই স্কুলে তো আমি গিয়েছিলাম ভীষণ ভালো লাগলো। অনেক জায়গার প্রয়োজন ছিল তাই জুগীরফোফা স্কুলটা বেছে নিয়েছেন। বেশ ভালো করেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
২৯ রমজানের দিন সবাই মিলে ইফতারের আয়োজন করেছে দেখে ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া ঈদের সময় গুলোতে সবাই বাসায় চলে আসে। তাইতো সবাই মিলে কোন কিছু করতেও ভালো লাগে। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
আসলে ঈদ সামনে সবাই গ্রামে চলে আসে ২৯ রমজানে সেই জন্যই আমরা ২৯ রমজানটাই বেছে নিয়েছিলাম ইফতারের জন্য।
গ্রামের সকলে মিলে একসাথে ইফতার এর আয়োজন করা মানে কিন্তু বিশাল ব্যাপার। এবং এই বিশাল ব্যাপার টি পরিচালনা করেছে গ্রামের যুব সমাজ এটি জেনে আরও অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনার শেয়ার করা ছবি দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে আসলেই অনেক মানুষ একত্রে ইফতার করেছেন।
আসলে গ্রামের যুব সমাজের উদ্যোগ এবং পরিশ্রমের মাধ্যমেই এই ইফতার পার্টি সফল হয়েছিল।