ইফতার!!

in আমার বাংলা ব্লগ9 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ মঙ্গলবার, ৮ ই এপ্রিল ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000576395.jpg


এসএসসি পাশ করেছি সেই ২০১৯ সালে। তারপর থেকেই বন্ধুদের সাথে আর খুব একটা দেখা হয় না বললেই চলে। তবে আমরা যারা একই কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম তাদের সাথে নিয়মিত দেখা এবং যোগাযোগ হতো। কিন্তু গতবছর যখন কলেজ টা শেষ হলো এই যোগাযোগেও একটা বিভ্রাট সৃষ্টি হয়। গত বছর থেকেই শুরু হয়েছিল আমাদের এই ইফতার পার্টি। স্কুলের সব বন্ধুরা মিলে একদিন স্কুলের মাঠে বসে ইফতার করা। সেই সুবাদে সবাই আরেকবার একে অপরের সাথে দেখা করা। এবারেও উদ‍্যোগ টা নেওয়া হয়। গতবছরের ম‍্যাসেনজার গ্রুপটা ঐভাবেই ছিল। রাব্বি সর্বপ্রথম গ্রুপে ব‍্যাপার টা নিয়ে কথা বলে। তখন চলছিল ১০ রমজান। অর্থাৎ হাতে বেশ অনেক গুলো দিন ছিল। যথারীতি সবাইকে বলে দেওয়া হয় এবারেও আমরা সবাই একসঙ্গে ইফতার করব।


1000576364.jpg

1000576367.jpg

1000576370.jpg

1000576372.jpg


ইফতারের দিন ঠিক হয় ২৭ রমজান শুক্রবার। বিভিন্ন কাজে অনেকেই ছিল শহরের বাইরে। এইজন্য অনেকেই আমাদের সাথে যোগ দিতে পারেনি। তবে সবমিলিয়ে ঐ ২৪ জন হয়েছিল। এটা একেবারে খারাপ না। ইফতারের দিন পাঁচটার দিকে আমি স্কুল মাঠে চলে যায়। বেশ অনেক গুলো দিন পরে আবার স্কুলে গিয়েছিলাম। মূহুর্ত্তের মধ্যে সব স্মৃতি সব মূহূর্ত জেগে উঠে। এ যেন অন‍্যরকম একটা অনূভুতি ছিল। স্কুলেই মেইন গেট থেকে বেশ কিছুটা হেঁটে যেতে হয় সরু পথ দিয়ে। আমি এই হেঁটে যাওয়া টাও মিস করতে চাইনি। এইজন্যই ভ‍্যান থেকে বড় রাস্তায় নেমে পড়ি। ধীর পায়ে হেঁটে যখন স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করি। একটা নীরবতা এসে স্পর্শ করে।


1000576376.jpg

1000576378.jpg

1000576383.jpg

1000576381.jpg

1000576380.jpg


স্কুলের প্রকান্ড মাঠটা এখনও আগের মতোই রয়েছে। মাঠের শেষপ্রান্তে নজর চলে গেল আমার। দেখি ঐখানে আমার তিনজন বন্ধু দাঁড়িয়ে রয়েছে। এক নজরেই ওদের চিনে যায়। হ‍্যা গালিব শাওন এবং শুভ। ওরা আমাকে দেখে ইশারা দেয়। প্রথমে গিয়েই ওদের সাথে কথাবার্তা বলি। কেমন আছি কেমন চলছে সব এসব নিয়ে কথা হয়। তারপর গল্প চলতে থাকে। এরপর একে একে অন‍্যরা চলে আসে। আমাদের সবকিছুই অর্ডার দেওয়া ছিল। এইজন্যই প্রস্তুত করতে খুব বেশি সময় লাগেনি। এরপর যতটা বাকি ছিল সবাই মিলে হাত লাগিয়ে করে ফেলি। ইফতারের আগে সবাই চলে আসে। অনেক গুলো দিন পরে অন‍্যদের সাথে দেখা। সময় টা কাটছিল এককথায় অন‍্যরকম। সবাই মিলে একসঙ্গে বেশ কিছু ছবি উঠি। স্মৃতি হিসেবে সেগুলো রেখে দেয়।


1000576405.jpg

1000576398.jpg

1000576401.jpg

1000576441.jpg

1000576440.jpg


ইফতারের সময় হলে সবাই ইফতার করতে বসে যায়। ইফতারের সঙ্গে চলে হাসি মজা আর কথা। কতশত স্মৃতি আর মূহূর্ত উঠে আসে এক একজনের কথার মাধ্যমে। কেউ কারো গোপন কথা থাকলে সেটাও তুলছিল। ইফতার যখন শেষ হলো ততক্ষণে চারিদিক অন্ধকার। সিদ্ধান্ত নিলাম সবাই মিলে স্কুল মাঠে বসে গল্প করব। সবাই একসঙ্গে বসে পড়লাম ঘাসের উপর। শুরু হলো আড্ডা। এক এক সময় এক এক জন ছিল গল্পের বিষয়। স্কুলের সময়ে তার সবকিছু আবার স্মরণ করা হচ্ছিল। অসাধারণ একটা মূহূর্তের সৃষ্টি হয়। কিছু সময়ের জন্য মনে হচ্ছিল ইস সময় টা যদি এখানেই থেমে যায়। বাকি জীবন টা যদি এভাবেই কেটে যায়। কিন্তু আমাদের জীবনের সুন্দর মূহূর্ত গুলোর দৈর্ঘ্য খুবই কম হয়। সুন্দর মূহূর্তগুলো খুবই দ্রুত চলে যায়। অনেক টা সময় সবাই একসঙ্গে কাটিয়ে আবার যে যার মতো আমরা চলে যায়।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.25
JST 0.030
BTC 84307.51
ETH 1588.33
USDT 1.00
SBD 0.81