ব্যাচেলরদের ইফতার!!

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন । আমিও অনেক ভালো আছি । ভালো না থেকেও উপাই নেই । যদিও ঠান্ডা আবহাওয়ায় একটু একটু শীত লাগছে তবে ভালোই লাগছে। গত কাল রাতে দারুন রিমঝিম বৃষ্টি ছিল। আজকে সারাদিন বৃষ্টি না হলেও আকাশ মেঘলা ছিল। আজকে আপনাদের সাথে আমার ব্যাচেলর লাইফের ইফতার নিয়ে একটু গল্প করতে আসলাম ।
IMG20240313174948.jpg

আমরা যারা পরিবার ছেড়ে অন্য জায়গায় থাকি তাদের লাইফ কিভাবে যায় । তাদের রোযা ,সেহরি ,ইফতার কিভাবে হয় সেই গল্পই আজকে আপনাদের সাথে করবো। প্রতি রোযায় আমাকে ঢাকায় থাকতে হয় কাজের সুবাদে এখানে আমি এবং আমার আরো কয়েকজন কলিগ মিলে একটা রুমে থাকি । সেহরির খাবার বুয়া তৌরি করে দিলেও আমাদের ইফতার কিনে খেতে হয় প্রতিদিন। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই বাজারে ব্যাচেলর দের যে কি ঝামেলা পোহাতে হয় সেটা আমরা যারা ব্যাচেলর থাকি তারা হাড়ে হাড়ে টের পাই কারন মাস শেষে আমাদের হাতে তেমন একটা টাকা পয়সা থাকেনা । এবং আমাদেরকে একটু হিসেবি হয়ে চলতে হয় । যাই হোক আমরা সবাই মিলে টাকা উঠিয়ে প্রতিদিন বাজারে গিয়ে মূড়ি , ছোলা , ভাজাপোড়া , শষা , কাঁচা মরিচ , ধনিয়া পাতা ,লেবু, চিনি, ট্যাংক ,ফল ইত্যাদি কিনে নিয়ে আসি । আমাদের ইফতারে আর যাই থাকুক ভাজা পোড়া , বুট ,মূড়ি না থাকলে আমাদের ইফতার জমেই না ।
IMG20240312172915.jpg
IMG20240312172921.jpg
IMG20240312180735.jpg

তারপর বাজার শেষে আমরা একেক জন একেক কাজে লেগে পড়ি । কেউ শরবত বানানোর কাজে আর কেউ কাটাকুটির কাজে। আমি সব সময় কাটার কাজটাই করে থাকি কারন আমার চপিং করতে অনেক ভালো লাগে । বলতে গেলে আমি চপিং বোর্ডে কাটাকুটি করার এক্সপার্ট। মাঝে মাঝে আমার রুমমেটরা আমার চপিং করা দেখে বলে আমি নাকি ঝালমূড়ি ওয়ালা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ভুলে হয়ে গেছি চাকরিজীবী হাহা।
যাই হোক কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, পিয়াজ এগুলাকে কুচি কুচি করে কেটে একটা বড় বোলের মধ্যে নিয়ে সরিষার তেল এবং হালকা একটু লবণ দিয়ে মেখে নিই । এক্সট্রা এসব আইটেমে মূড়ির স্বাধ আরো বেড়ে যায় । তারপর ভাজা পোড়া গুলোকে ভেঙে ছোলার সহ সব কিছু আবার সুন্দর করে মেখে নিই । এরপর মূড়ি ঢেলে দিয়ে চূড়ান্ত ভাবে সব মেখে আযান দিলে খাওয়া শুরু হয়ে যায় সবাই মিলে । সবাই মিলে এভাবে এক বোলে খাওয়ার মুহুর্ত গুলো অনেক সুন্দর ।

IMG20240312180300.jpg

এই দৃশ্য একবারে কমন । যারা পরিবার ছেড়ে দূরে থাকে তাদের সবাই এমন করেই রোযার দিনে ইফতার করতে হয় । যাইহোক বসে আছি আর তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করি । আপনারাও আপনাদের ব্যাচেলর লাইফের এই দিনগুলোর গল্প শেয়ার করতে পারেন।

ধন্যবাদ সবাইকে.........
@didar001

t (2).png

আমি দিদারুল আলম,একজন স্বাধীনচেতা ও ভ্রমন পিপাসু মানুষ। নিজেকে মুসলিম এবং বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। নতুন নতুন জায়গায় ভ্রমন করতে পছন্দ করি, নতুন নতুন মানুষের সাথে মিশতে পছন্দ করি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যাক্তি হিসেবে খুবই লাজুক এবং অল্পতে সুখে থাকা মানুষ।

Sort:  
 last year 

রমজান মাসে ব্যাচেলরদের একটু কষ্টই হয়ে থাকে। কারণ এখানে ইফতারের সময় অনেক কিছু নিজেদের তৈরি করতে হয়। আমিও ঢাকাতে ব্যাচেলর। আমিও আপনাদের মত এভাবে ইফতার বানিয়ে তারপরে ইফতার করি। তবে ব্যাচেলরদের ইফতার অনেক মজা হয়ে থাকে। সবাই একসাথে ইফতার করার মজাই অন্যরকম। তবে বাড়ির সদস্যদের সাথে যে একটা ইফতারের অনুভূতি সেটা কখনো পাওয়া যাবে না। ধন্যবাদ ভাই আপনার ইফতার ও সেহরির গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

হুম ভাই সবাই মিলে এভাবে ইফতার করলে অনেক মজা হয় । এক জায়গায় কুড়ি হাতের গল্প লিখা হয় । একটা সময় যখন আমাদের পরিবার হয়ে যাবে যখন ব্যাচেলর থাকবোনা এই সময় গুলো মিস করবো অনেক।

 last year 

কথা কিন্তু ঠিক বলেছেন ভাই আসলে ব্যাচেলরদের যে কি কষ্ট এটা আমি এটা হাড়ে হাড়ে টের পাই কারণ আমি নিজেও ব্যাচেলার। হাহাহা, এই মাসে মিল খরচ দিতে দিতে জীবন গেল ভাই যে দাম এবার মনে হয় ৪০০০ টাকা হয়ে যাবে। যাই হোক আপনার গল্পটা ভালো লেগেছে।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

হুম ভাই ব্যাচেলরদের কষ্ট ব্যাচেলররাই বুঝতে পারে। মিল খরচ আমাদেরও এমনই হয় আরো আনুষঙ্গিক খরচ গুলো মিলিয়ে আরো বেশি হয়ে যায়।

 last year (edited)

আপনার ইফতারের ব্যবস্থা দেখে আবারও আমার ম্যাচ লাইফের কথা মনে পড়ে গেল। আসলে গত বছর যখন আমি কুষ্টিয়াতে ম্যাচে ছিলাম তখন ম্যাচের ছেলেরা মিলে এভাবে ইফতার করতাম। আসলে সবাই মিলে এক জায়গায় ইফতার করার মজাই সত্যি বেশ আলাদা। সবকিছু একসাথে মাখিয়ে ঝাল মিষ্টি টক খেতে বেশ ভালোই লাগতো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

হুম ভাই আসলেই অনেক মজা একসাথে এভাবে ইফতার করা। সবাই মিলে বাজার করে আবার সেই বাজার একসাথে গল্পে গল্পে প্রসেস করে রেডি করা অনেক দারুন একটা মুহুর্ত।

 last year 

ব্যাচেলরদের ইফতার নিয়ে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। কেবলমাত্র ব্যাচেলার রাই বুঝতে পারে বউ ছাড়া সেহেরি এবং ইফতারের বাইরে এক হাতে করে কিভাবে করতে হয় তার কষ্টটা হি হি। যাইহোক আপনিও চাকরির সুবাদে বর্তমান বাসা থেকে বাইরে আছেন আপনার কলিগ দের সাথে। সেহরির খাবার বুয়া করে দিয়ে গেলেও ইফতারি আপনাদের নিজেদেরই তৈরি করতে হবে। সে ইফতারের দারুন কিছু মুহূর্ত নিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আজকে। অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে আপনার আজকের পোস্টটি। ব্যাচেলরদের সেহরি এবং ইফতার নিয়ে অনুভূতি আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year 

হ্যা ভাই আমরা যারা পরিবার ছেড়ে দূরে থাকি তাদের আসলে অনেক কষ্ট করতে হয় বিশেষ করে খাবারের বেলায়। বুয়ার হাতের রান্না কখনো দেখা যায় তেল বেশি তো কখনো ঝাল বেশি আবার কখনো লবণ বেশি দিয়ে হয়ে যায় তারপরেও খেতে হয়। যদিও আমরা নিজেরাও রান্না করতে জানি কিন্তু সারাদিন কাজে করে এসে কে রান্না করবে?? তাই বুয়ার হাতের রান্নাই ভরসা।

 last year 

ইফতার সম্পর্কে চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। বেশ ভালো লাগলো আপনার ব্যাচেলরদের ইফতার দেখে। আসলে রোজার দিনশেষে যে যেভাবেই পারে সর্বত্র চেষ্টা করে থাকে সুন্দর ইফতারের আয়োজন করতে। ঠিক তেমনি ইফতারির আয়োজন করেছেন দেখলাম।

 last year 

হ্যা ভাই ।রোজার দিনে যে যেভাবে পারে চেষ্টা করে ইফতারিটা ভালো করে করতে ।আমরা প্রতিদিন এভাবেই আয়োজন করে থাকি । মাঝে মাঝে একটু ব্যাতিক্রম হয় তখন সবাই মিলে কোনো রেস্তোরাতে চলে যাই ।

 last year 

পোস্টে shy-fox কে 10% বেনিফিসিয়ারী দেওয়ার পাশাপাশি abb-school কে 5% বেনিফিসিয়ারী দেওয়া অবশ্যক।

 last year 

জ্বী ভাই । পরবর্তী পোস্ট থেকে বেনিফিসিয়ারী দিতে ভুলবোনা ।

Coin Marketplace

STEEM 0.12
TRX 0.23
JST 0.030
BTC 79817.76
ETH 1589.93
USDT 1.00
SBD 0.67