জেনারেল রাইটিং: একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের জন্য কান্না
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
মঙ্গলবার, ১৬ ই জুলাই ২০২৪ ইং
আমরা সকলেই জানি যে, দূর্ঘটনা কখনো বলে আসে না। যে কোন ধরনের দূর্ঘটনা হঠাৎ করে এসে সব কিছু তছনছ করে দিয়ে চলে যায়। আবার, কিছু কিছু দূর্ঘটনা এতো মারাত্মক হয় যে, কোন কোন মায়ের কোল পর্যন্ত কোল খালি করে দিয়ে যায়। আমরা অনেকেই আছি যারা, নিজে থেকেই দূর্ঘটনা ডেকে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। আসলে এটা আমাদের জন্য মোটেও কাম্য নয়। কেননা একটি জীবনের অনেক মূল্য রয়েছে। আমরা চাইলে খুব সহজেই একটি জীবন কে নষ্ট করতে পারি না। আমরা একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে হয়তো যে কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে পারি।
আমি আজকে আপনাদের সাথে একটি বাস্তব ঘটনা শেয়ার করবো, তাহলে বিষয়টি আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন আপনারা। প্রায় এক বছর আগে আমাদের গ্ৰামের একজন ছেলে বাইক দূর্ঘটনায় মারা যায়।তার মারা যাওয়ার মূল কারণ হলো, নতুন ড্রাইভার বাইক ড্রাইভ করার জন্য। মূলত যে ছেলের বাইক টি ছিল, সে কেবল মাত্র নতুন বাইক কিনেছিল। নতুন বাইক কিনে সবে মাত্র একটু করে বাইক চালানো শিখতে পেরেছে। সেই অবস্থায় সে দুজন ছেলে কে নিয়ে আমাদের উপজেলায় যাওয়ার সময় একটি ভ্যান গাড়ির সাথে এক্সিডেন্ট করে।
এতে করে বাইকে বসা থাকা একবারে পিছনের জন্য রোডের মধ্যে পড়ে যায়।আর সামনে বসে থাকা দুজন হালকা করে রাস্তায় পড়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে পিছনে বসে থাকা ছেলে টি নিহত হয়ে যান। আসলে সে খুব জোরে পড়ে যাওয়ার কারণে মাথার মধ্যে আঘাত পেয়েছিল। আসলে নতুন ড্রাইভার হিসেবে তার উচিত ছিল গ্ৰামের লোকাল রাস্তার মধ্যে বাইক ভালো ভাবে চালানো শিখা। কেননা নতুন অবস্থায় গাড়িতে তিনজন লোক নিয়ে ড্রাইভ করা অনেক টা রিস্কি। তাদের এই সামান্য ভুলের জন্য একটি ছেলের জীবন পর্যন্ত চলে গিয়েছে।তার মারা যাওয়ার জন্য দায়ী হচ্ছেন ড্রাইভার।
আসলে যে ছেলে টি মারা গিয়েছিল, সে তার বাবার এক মাত্র সন্তান ছিল।তার মারা যাওয়ার খবর পেয়ে তার বৃদ্ধ বাবা মা অনেক টা ভেঙ্গে পড়ে। আসলে যে হারায় সেই বুঝে, হারানোর বেদনা কতটা কঠিন। তবে বাইক চালানোর সময় বেশ কয়েকটি নিয়ম অবলম্বন করতে পারলে আর তেমন কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হবে না বলে আমি মনে করি। যেমন: বাইক রাইড করার সময় সর্বপ্রথম মাথায় হেলমেট পরিধান করতে হবে।হাত এবং পায়ের মধ্যে গ্লোবস পরিধান করতে হবে, যাতে করে বাইক থেকে পড়ে গেলেও তেমন কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হয়।আর বিশেষ করে, বাইকের স্পিড সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
পরিশেষে সকলের জন্য একটি ম্যাসেজ হচ্ছে, কিংবা অন্যান্য যানবাহন ড্রাইভ করার সময় অবশ্যই আপনারা স্পিড নিজের আয়ত্তের মধ্যে রাখবেন, যাতে করে আপনি সেই স্পিড অনুযায়ী গাড়ি টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।আর অতিরিক্ত স্পিড দিয়ে গাড়ি চালানো আমার কাছে তেমন একটা পছন্দের মনে হয় না। তাড়াহুড়ো কখনো ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। তাড়াহুড়ো সব সময় বিপদ ডেকে আনতে সাহায্য করে।তাই আমাদের সকলের উচিত সব সময় ধীর গতিতে চলাফেরা করা। কেননা একটি জীবন চলে গেলে আর কখনো ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া দূর্ঘটনা কখনো বলে কয়ে আসে না ঠিক তবে আমরা সতর্ক থাকলে সেটা একটু কম হতে পারে। সত্যি নতুন বাইক নিয়ে আগে মেইল রোডে আসা উচিত হয়নি। তারপরে এভাবে একজন মারা গিয়েছে সত্যি অনেক দুঃখজনক ব্যাপার। সতর্ক থাকলে সত্যি বিপদ কম আসে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
সত্যি বলতে এমন দুর্ঘটনা আমাদের কারই কাম্য নয়। আপনি এমন একটি দুর্ঘটনা নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন যেটা নাকি এ দেশে অহরহ ঘটে চলেছে। আসলে এমন বিষয় গুলোতে আমাদের সবারই বেশ সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমাদের দেশে বাইক এক্সিডেন্ট এর পরিমাণ অনেক বেশি হয়। বিশেষ করে যারা নতুন শিখে অর্থাৎ উঠতি বয়সের ছেলেরাই মূলত বাইক এক্সিডেন্ট করে বেশি। অতিরিক্ত স্পিডে বাইক রাইড করার কারণেই তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। অনেক সময় তারা বুঝে উঠতে পারে না যে কি করা উচিত। কয়েক মাস আগে আমাদের এদিকেও দুটো ছেলে নতুন রাইডার, কিন্তু তারা জোরে স্পিডের রাইড করার কারণে একজন বয়স্ক লোক মারা গিয়েছিল। আসলে কিছু কিছু দুর্ঘটনা মেনে নেয়ার মত না। যাই হোক সবাইকে এর থেকে সাবধান হওয়া উচিত।
বাইক বিষয়টা আমার কাছে অনেকটা ভয় লাগে এবং বর্তমানে নিউজ দেখলেই এই ধরনের দুর্ঘটনার কথা সামনে চলে আসে কিন্তু তারপরও আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
একটি বাইক দুর্ঘটনা কিভাবে যে একটি পরিবারের সমস্ত স্বপ্নকে ধ্বংস করে দেয় এই ঘটনা তার উদাহরণ। প্রতিদিন বাইক রাইড করতে হয় বলে জানি এই গাড়ি চালানো বড় রাস্তায় কতটা বিপদজনক। দুই চাকায় ভর করে এগিয়ে যাওয়া আর চার চাকার ব্যালেন্সে যাওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য। বাইক চালানোর জন্য সবথেকে আগে দরকার সাবধানতা। অসাবধান হলেই বিপদ। একটি দুর্ঘটনা যে কিভাবে একটি পরিবারকে শেষ করে দেয় আপনার উল্লেখ করাই ঘটনা তার একটি উপমা। কিন্তু তবু আমাদের রাস্তায় বের হতে হয়, গাড়ি চালাতে হয় এবং ঝুঁকির মুখে ও নিজেদের পড়তে হয় বারবার। তবে সাবধানতা অবশ্যই মেনে চলা উচিত।
ভাইয়া বাবা-মার একমাত্র সন্তান হোক বা অনেকজন সন্তান হারানোর কষ্টটা যে কতটা খানি সেটা শুধু বাবা-মাই বোঝে। ডাইভারের উচিত ছিল প্রথমে গ্রামের রাস্তায় বাইক চালানো শেখা তারপর হাইরোডে ওঠা। তবে এখন বর্তমানে বাইক এক্সিডেন্ট এর পরিমাণটা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সচেতনতার সাথে বাইক চালানো। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ভালো একটি পোস্ট নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আসলে ভাইয়া এই বাইক দূরঘটনা আমাদের চারিপাশে যে কত ঘটে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এ দূরঘনা হয় অসচেতনতার কারনে। বাহিয়ে বের হলেই বাইকের স্পিড আর আওয়াজে মাথার ব্রেন অকেজো হয়ে যায়। আর কান বন্ধ বয়েরা হয়ে যায়। আশা করি যারা বাইক চালায় ও আপনার পোস্টি পড়েছে তারা সবাই আপনার পোস্টি পড়ে উপকৃত হবে।
বাইক দুর্ঘটনায় আমাদের এইখানেও অনেক জন মারা গেল। আসলে বাইক চালানোর সময় সবাই সচেতন থাকা দরকার। বিশেষ করে কিছু লোক বাইক এর মধ্যে বসে মনে করে তারা আকাশে বিমান চালাচ্ছে। তবে আপনার পোস্ট পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। ছেলেটির নতুন বাইক চালাচ্ছে এবং এক বাবার একমাত্র ছেলে। আসলে যারা আপন মানুষ হারায় তারাই বুঝে কষ্টটা কি জিনিস। তবে আপনার পোস্ট পড়ে অনেকে সচেতন হতে পারবে যারা বিশেষ করে বাইক চালায়। বাস্তব একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।