পৃথিবীর স্বার্থপর এবং নিষ্ঠুর মানুষগুলো (20% beneficiary for shy-fox)
বলা হয়ে থাকে, মানব জাতি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি। মানবজাতিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি বিবেচনা করার কারণ হল মানুষকে বুদ্ধি-বিবেক এবং চিন্তা ধারা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে, যা পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীদের দেয়া হয়নি। মানবজাতিকে এসব গুণ প্রদানের কারণ হলো তারা যাতে সুচিন্তা করে পৃথিবীর ভালো বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। মানবজাতি কি আদৌ তাদের বুদ্ধি এবং বিবেকের সঠিক ব্যবহার করছে,তা নিয়ে আমার মধ্যে সন্দেহ কাজ করছে। তারা কি তাদের স্বজাতি কিংবা অন্যান্য প্রাণীদের ভালোর দিক বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, নাকি স্বার্থপরের মত নিজেদের কথাই শুধু ভাবছে। মানবজাতির কর্মকাণ্ডেই তার প্রমাণ হারে হারে টের পাওয়া যাবে। মানবজাতির মধ্যে হিংসা ও রেষারেষিতে ভরপুর। এক দেশ অন্য দেশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে, একজন মানুষ অপর জনের সাথে ঝগড়াঝাঁটি নিয়ে পড়ে থাকে। এ পর্যন্ত অনেক বিশ্বযুদ্ধ এবং খন্ড খন্ড যুদ্ধও হয়ে গেছে। স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার জন্য খুনাখুনির মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে নিতে হয়। এযাবত সংঘটিত এসব যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে কোটির উপরে। আবার স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কিছু একটা হয়ে গেলেই দুই বা ততোধিক দেশের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হানাহানি, কাটাকাটি। তারা শুধু চিন্তা করে কিভাবে অন্যের ক্ষতি করে নিজেকে উপরে উঠানো যায়। যাদের স্বজাতির মধ্যে এত হানাহানি,ঝগড়া-বিবাদ, খুনাখুনি তারা কিভাবে শ্রেষ্ঠ জাতি হয় তা নিয়ে আমার মধ্যে ব্যাপক সন্দেহ কাজ করে। মনুষ্য জাতি শুধু যে নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি এবং রেষারেষিতে লিপ্ত হয়ে নিজেদের ক্ষতি করছে তা নয়, অন্যান্য প্রাণী এবং উদ্ভিদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের কর্মকান্ড গুলো। আধুনিকায়নের নামে তারা গাছপালা এবং আবাদি জমি গুলো নষ্ট করে গড়ে তুলছে দালানকোঠা। ফলে একদিকে বনভূমির পরিমাণ তো কমে যাচ্ছেই, সেইসঙ্গে পশুপাখিও আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। এর ফলে বিলুপ্ত হয়ে গেছে হাজার রকমের অতিথি পাখি। আর বড় বড় বন জঙ্গল ধ্বংসের ফলে বন্যপ্রাণীর বাসস্থানও নষ্ট হচ্ছে।ভরাট করে ফেলছে নদী-নালা এবং খাল বিল , গড়ে তুলছে দালানকোঠা। আর অতিরিক্ত গাছপালা কাটার ফলে আমরা প্রয়োজনীয় অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।ফলে সুস্বাস্থ্যকর জীবনব্যবস্থায় বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আধুনিকায়নের নামে এয়ারকন্ডিশন, রেফ্রিজারেটর, মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করছি। এসব ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে সিএফসি গ্যাস নির্গত হয়, যা ধ্বংস করছে পৃথিবীর ওজন স্তরকে। আর ওজোন স্তর ধ্বংসের ফলে সূর্য থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকর রশ্মি গুলো পৃথিবীতে এসে মানুষ এবং অন্যান্য জীব জন্তুর ক্ষতি করছে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতির কাছ থেকে এমন বর্বরতা এবং নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড গুলো কখনোই কাম্য নয়। তারা শুধু নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থের কথাই সব সময় চিন্তা করে।অন্যের ভালো তারা সহ্য করতে পারে না। এত স্বার্থপর এবং নিষ্ঠুর মানবজাতিকে তাহলে কিভাবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়!
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
একটা গল্পে পড়েছলাম মানুষ জাতি পৃথিবীর নিকৃষ্ট জাতি। মহাজাগতিক কিউরেটর নামে একটা গল্পে পড়েছিলাম। পীপিলিকাকে নেওয়া হয়েছে সৃষ্টি সৃষ্ট প্রাণী হিসেবে। ভাই অনেক সুন্দর লিখেছেন
সঠিক বুঝতে পেরেছেন ভাই।আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।