মানব চরিত্রে হিংস্রতা
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
এখন আমাদের চিন্তা করা উচিত হঠাৎ করে মানুষ এত বেশি হিংস্র হয়ে উঠলো কেনো? কেনো মানুষ অতি সামান্য কারণেই আরেকজনকে হত্যা করে ফেলছে। কেনো মানুষ হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত হচ্ছে না। লাশগুলোর উপর বীভৎসভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে। আসলে মানুষ দিন দিন অমানবিক হয়ে যাচ্ছে। মানুষে মানুষের ভেতরে বৈষম্য আর দূরত্ব মানুষকে আরো অমানবিক বানিয়ে ফেলছে। তাছাড়া মানুষের ভেতর ধীরে ধীরে তৈরি হওয়া পুঞ্জিভূত ক্ষোভ এবং রাগের কারণেও এই ধরনের নৃশংস কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের করণীয় কি আসলে? আমাদের তেমন কিছুই করনীয় নেই। তারপরও যদি আপনি কিছু করতে চান তাহলে আমাদেরকে বদলে যাওয়া এই সমাজ ব্যবস্থাটাকে ঢেলে সাজাতে হবে। মানবিক একটা সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। মানুষে মানুষের ভেতর যোগাযোগ বাড়াতে হবে। মানুষের ভেতরে যাতে মানবিক গুণাবলী ফুটে উঠে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জুলুম নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠ্যপুস্তক এর পাশাপাশি মানুষের ভেতরের মানবিক গুণাবলী কিভাবে বিকশিত হয় সেই চর্চাটাও চালাতে হবে। আর এভাবেই হয়তো আমরা মানুষের ভেতরের হিংস্রতা কিছুটা হলেও কমাতে পারবো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আসলেই এখনকার কিছু কিছু মানুষ পশুর চেয়েও হিংস্র হয়ে গিয়েছে। মানুষ মানুষকে খুন করে কিভাবে টুকরো টুকরো করে ফেলে,এটা আমার বোধগম্য হয় না। আমাদের পরিবর্তন আসলেই খুব জরুরী। নয়তোবা এই পৃথিবীটা একসময় বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।