বোবা জিন নাকি রোগ?
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে আপনাদের সাথে আমার একটি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে এসেছি। যেটা অনেকের কাছে অনেক রকমের ব্যাখ্যা থাকে। অর্থাৎ এক এক মানুষ এক এক রকম ভাবে ব্যাখ্যা দেয় এই সমস্যাটির। তো ভাবলাম যে এই সমস্যা নিয়ে আপনাদের সাথে একটু আলোচনা করা যাক এবং আপনাদের মতামত জানা যাক।
আসলে আমার মূল ব্যাপারটি হলো, যেটা আগে অনেক বেশি হতো এখন বলতে গেলে অনেকটাই কম হয়ে গিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। কারণ মাঝে আমি সত্যিই অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছি। অর্থাৎ সাফার করেছি এই ব্যাপারটি নিয়ে। তবে এখন অনেকটা ধীরে ধীরে কমে গিয়েছে বলা চলে।
ব্যাপারটি হলো, আগে ঘুমের মধ্যে আমার বারবার মনে হতো যে আমাকে কেউ অনেক বেশি জোরে চেপে ধরেছে এবং আমি কোনোভাবেই নড়তে পারতাম না এবং কথাও বলতে পারতাম না। এখন অনেকের ভাষায় এটা হলো অর্থাৎ ইসলামিক দিক দিয়ে চিন্তা করলে এটা হল বোবা জিন ধরেছে। এই ধরনের একটা কথা প্রচলিত রয়েছে। তবে এর সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা ও রয়েছে। যদিও আমার এই মুহূর্তে ওই রোগটির কথা মনে নেই। কিন্তু এমন একটি রোগ রয়েছে যেখানে আসলে রাতে কথা বলা কিংবা যাই হোক সেসব সম্ভব হয় না।
এখন আমার মূল প্রশ্ন হলো৷,এটা কি সত্যি বোবা জিনের কাজ নাকি কোনো রোগ?এ দুটোর যেটাই হোক না কেনো।কিন্তু আমি যে কি পরিমান সাফার করেছি এই ব্যাপারটি নিয়ে সেটা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। কারণ তাই প্রতি রাত আমার একটা ভয় এ ভয় এ কাটতো। কারণ ঘুম এলেই এমন একটা পরিস্থিতির শিকার আমার হতে হবে। এটা আমি আগে থেকেই জানতাম। যার কারণে আসলে ঘুমাতেও প্রচন্ড কষ্ট হতো। পরবর্তীতে আসলে ব্যাপারগুলো নিজে নিজেই অনেকটা ঠিক হয়ে গিয়েছে। তবে আমার মনে এই প্রশ্নটি থেকেই গিয়েছিলো।
জি এটা আসলেই একটি রোগ। যখন মানুষ ঘুমায় তখন মাঝে মাঝে স্লিপিং প্যারালাইজড হয়ে যায়। তখন তার পুরো শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করা ছেড়ে দেয়। এমন অবস্থায় সে যদি হাত-পা নাড়াতে চায় নাড়াতে পারে না। আর ওই সময়টা হ্যালুসিনেশন কাজ করে, মনে হয় কিছু আমার গায়ের উপর ভর করেছে। বিষয়টা মূলত এরকম কিন্তু মানুষ এটাকে অন্য আঙ্গিকে দেখে। যাই হোক ভয়ের কিছু নেই এটা আসলেই একটি রোগ।