দিদির হলুদ সন্ধ্যা❤️
#হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আমার পিসতুতো দিদি নাম শ্যামলি।এমএ পাস করেছেন ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।মনের মতো ছেলে, পরিবার পাচ্ছিলো না তাই বিয়ে করেনি।আমার অনেকটাই বড়ো শুধু আমার নয় আমার দিদির ও বড়ো।অনেক সমন্ধো এসেছে কিন্তুু রাজি হয়নি।
পিসামশা শিক্ষা অফিসার ছিলেন এখন অবসরপ্রাপ্ত। ওরা তিনবোন এক ভাই।দাদা ওসি।বেশ সুখি সচ্ছল পরিবার।সব ভাই বোনের বিয়ে হয়েছে। পিসি সব সময় মেয়েকে নিয়ে টেনশন করতো। বিয়ে দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলো কিন্তুু পারেনি।আসলে নিয়ে সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে ছারা সম্ভব নয়।জন্ম,মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে।
শ্যামলি দিদির এবার বিয়েতে মত হয়েছে কারণ এবারের ছেলে ওর পছন্দ। ছেলে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে জব করে।ছেলেরা দু ভাই একবোন। বোন বরের চাকুরির সুবাদে আমেরিকায় থাকে।ছেলের বাবা অবসরপ্রাপ্ত আর্মি কর্মকর্তা। নিরিবিলি এক পরিবার।ছেলের বাড়ি সিলেট। বিয়ে দিন তারিখ ঠিক হওয়ার পরেই দেশের পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ আকার ধারণ করে আর সেজন্য বিয়েটা পিছিয়ে যায়।
বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। মেয়ের ইচ্ছে ছিলো ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিয়ে করবে।বিয়ের জন্য মন্দিরে বিশ হাজার টাকা দিয়ে বুকিং করা হয় কিন্তুু বিয়েটা ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আর নেয়া হয় না নিজেদের নিরাপত্তা ও ঢাকার অবস্থা বিবেচনা করে।
ছেলের কর্মস্থল ঢাকায় এবং ঢাকায় বাসা নিয়ে থাকে তাই ইচ্ছে ছিলো ঢাকায় বিয়ে নেয়ার।
ছেলে যেহেতু বিয়ে করার জন্য ও বউ তোলার জন্য ফ্লাই ভাড়া করেছে তাই ফ্লাটের যতো ফার্নিচার তা দাদা কিনে সাজিয়ে দিয়েছে। সময় সুযোগ মতো ফ্লাট কিনে দেবে যাতে করে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে না হয়।
এরপর বিয়ের তারিখ ঠিক হয় গব মাসের ২৯ তারিখে। বিয়ের আয়োজন করা হয় রংপুরের বাসায়।আমাকে অনেক আগে থেকেই ফোন দিয়ে বলেছে সবাই বিয়েতে যাওয়ার জন্য । আমি গিয়েছিলাম গায়ে হলুদের দিন।ঝুম বৃষ্টি ছিলো।এই মেঘ এই রদ্রর এরকম আবহাওয়ায় রওনা দিয়েছিলাম এবং একটি অটো রিজার্ভ করে রওনা হয়েছিলাম। আমার সাথে গিয়েছিল আমার ভাইয়ের বউ ও কাকাতো বোন।
রংপুর গিয়ে রংপুরের সব থেকে সেরা মিষ্টির দোকান বনফুল থেকে কয়েক কেজি মিষ্টি কিনে নিয়ে গেলাম বিয়ে বাড়িতে।
দিনে গায়ে হলুদ হয়েছে রিনিতি মেনেই। এরপর সন্ধ্যায় হয় হলুদ সন্ধ্যা।হলুদ সন্ধ্যার স্টেজ সাজানো হয় ছাদে।
ফ্লাটের সবাইকে রাত আটটায় হলুদ সন্ধ্যা বলা হলেও হলুদ সন্ধ্যা শুরু হয় রাত দশটায়। টিপটিপ বৃষ্টি পড়েছিলো। বৃষ্টি পড়ার কারণে আনন্দ ম্লান হয়নি একদমই। সবাই মিলে ভীষণ আনন্দ করা হয়েছে। কেক কাটাও হলুদ ছোঁয়ানোর পর শুরু হয় নাচানাচি তারপর নাস্তা খাওয়া। সব মিলিয়ে রাত বারোটা বেজে যায়।ফ্লাটের সবাই ভীষণ আন্তরিক।সবাই খুব সুন্দর পরিপাটি হয়ে আনন্দ করতে এসেছে হলুদ সন্ধ্যায়।
সবাই বসে হলুদ সন্ধ্যা উপভোগ করছিলো।
বাচ্চাদের কে নিয়ে কেক কাটানো হলো। বেশ ইনজয় করলো বাচ্চারা।
সবাই মিলে ফটোশুট করা হয়েছে এবং নাচ করা হয়েছে। উপস্থিত সবাই নেচেছ এবং অনেক কাপল নেচেছ। আমি আমার ফোনে ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে নিজের ফটো তোলা হয়নি নিজের ফোনে।আগের মতো সেলফি তোলার আর আগ্রহ নেই তেমন।
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ সবাই নিচে আসলাম এবং শুয়ে পড়লাম তারাতাড়ি কারণ পর দিন বিয়ে আর বিয়ে উপলক্ষে অনেক কিছু আচার নিয়ম করতে হবে।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট পিসতুতো দিদির গায়ে হলুদে সুন্দর সময় কাটানো।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
হলুদ সন্ধ্যাগুলি অনেক সুন্দরভাবে কাটিয়েছেন মনে হচ্ছে।আসলে সবাই একই রঙের হলুদ শাড়ি পড়াতে বেশ সুন্দর দেখতে লাগছে।আর আপনার দিদির বিয়েতে বেশ অনেক প্ল্যান ভেস্তে গিয়েছে দেখলাম।যাইহোক সবার সব আশা পূরণ হয় না এটাই স্বাভাবিক।ছবিগুলো সুন্দর ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনাদের গায়ে হলুদ সন্ধেতে হয় জানতাম না৷ এদেশে সকালে হয়৷ পরের এপিসোড গুলো নিশ্চই লিখবেন তাহলে জানতে পারব আপনাদের নিয়মকানুনগুলো৷ বিয়ের কথাবার্তা শুনেও বেশ ভালো লাগল৷ আপনি অনেক মিষ্টি নিয়ে গেছেন। দিদির বিয়ে বেশ জমকালোই ছিল আশা করি৷
আমাদের এখানে গায়ে হলুদ হয় সকালে আর হলুদ সন্ধ্যা হয় সন্ধ্যায়।
যেন ভাললাগার এক সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনি। দিদির গায়ে হলুদ বিয়ের অনুষ্ঠান অনেক মানুষের উপস্থিতি আর খাওয়া-দাওয়া। যেন ভাললাগার কমতি নেই কোন খানে। কাদের জন্য শুভ কামনা করি পাশাপাশি আপনাদের সকলের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দিদির হলুদ সন্ধ্যায় সকলে মিলে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছ। একটা বিয়ে বাড়ি হলে সময়টা খুব আনন্দে কাটে। সব ভাই বোনদের সঙ্গে দেখা হয়। গল্প গুজব নিয়ে একেবারে হই হই কান্ড। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল শুনে ভালো লাগলো। কিন্তু যা কপালে আছে তা তো হবেই। মা ঢাকেশ্বরী সকলকে ভালো রাখুন এবং আশীর্বাদ করুন।
ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।