শিকড় | নানী বাড়িতে কাটানো মুহূর্ত
টানা দুই দিন ধরে ঠান্ডা জ্বরে ভুগছি, এর পিছনে অবশ্য বেশ কিছু কারণ আছে। এমনিতেই আবহাওয়ার পরিবর্তন, তাছাড়া দীর্ঘ অনেকটা বছর পরে মামাতো ভাই ইমু কে নিয়ে সেদিন গিয়েছিলাম নানু বাড়িতে।
শেষ যেবার নানু বাড়িতে গিয়েছিলাম, তখন নানী বেঁচে ছিলেন। তারপরে তো পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে নানী চলে গেলেন আর সেভাবে যা হয়ে ওঠেনি সেখানে। মুহূর্তেই বাড়িটা বড্ড ফাঁকা হয়ে গেল। যে মানুষটাকে কেন্দ্র করে সবাই ওই বাড়িতে যেত, সেই মানুষটাই যখন আর নেই, তখন যেন সেই বাড়ির প্রতি সবার দূরত্ব বেড়ে যেতে লাগলো।
তাছাড়া আমার তো আবার বিভিন্ন রকম ব্যস্ততা, সব মিলিয়ে জীবনের সঙ্গে অনেকটা তালগোল পাকিয়ে ফেলেছি। তাই চাইলেও আর সেভাবে সময় বের করে উঠতে পারি না। তবে গত কয়েকদিন আগে কিছুটা সময় পেয়েছিলাম, তাই ছুটে চলে গিয়েছিলাম একদম শিকড়ের কাছাকাছি।
কেউ নেই বাড়িটাতে, পুরোটাই ফাঁকা পড়ে আছে। সবাই যে যার গন্তব্যে চলে গিয়েছি, সবাই হয়ে গিয়েছে শহরমুখী। দীর্ঘ অনেকটা বছর পরে যখন সেদিন গিয়ে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন যেন মুহূর্তেই বুকের বাম পাশে কিছুটা চিনচিন ব্যথা অনুভব করছিলাম। এ ব্যথা শৈশব কে খুঁজে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, হারানো মানুষকে ফিরে পাওয়ার আকুলতা। কাউকেই দেখানো বা বোঝানো যায় না এ ব্যাথার তীব্রতা, শুধু নিজেকেই অনুভব করতে হয়।
আগের মতো আর কোলাহল নেই, নেই বাড়ি ভর্তি লোকজনের সমাগম । তারপেরও স্থানীয় আত্মীয়-স্বজন খোঁজখবর নেওয়ার জন্য এসেছিল, তবে সেটা শুধুমাত্র আন্তরিকতার খাতিরে এর বাইরে আর কিছুই না। একটা বিষয় খুব করে ভাবলাম, কাছের মানুষের অনুপস্থিতি ঠিক তখনই ভালোভাবে বুঝতে পাওয়া যায় যখন সে থাকে না।
যাইহোক, অবশেষে দুই ভাই মিলে নিজেদের মতো করে বাড়ি-ঘর ও জমিজমার খোঁজখবর গুলো নিলাম, চেষ্টা করলাম যারা সেগুলো দেখাশোনা করছে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। যদিও সময় স্বল্প ছিল, তারপরেও দু-ভাই মিলে দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। চেষ্টা করেছি কিছু ফটোগ্রাফি করার জন্য, আশা করছি সেগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
ডিভাইসঃ Samsung Galaxy S10
লোকেশনঃ কালিতলা-পাঠানপাড়া, কোচাশহর ইউনিয়ন
গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.